করোনার সংক্রমণে আরেকটি দুর্যোগের অপেক্ষায় পুরো পৃথিবী।।
দুর্ভিক্ষ গরিবদের করোনা ভাইরাসের পূর্বেই লাশ বানিয়ে ফেলবে।।
খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৬.৬ মিলিয়ন অর্থাৎ ছেষট্টি লক্ষ লোক চাকরিচ্যুত হয়েছে।।
অবশ্য তাদের সরকারের ক্ষমতা আছে এটা পুনরুদ্ধার করার, তবে সম্ভাবনা কিছুটা ক্ষীণ এজন্য যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান রপ্তানি খাত অস্ত্র বিক্রি পুরোটাই বন্ধ।।
অন্যদিকে পৃথিবীর অন্যতম শস্যভাণ্ডার আফ্রিকাতে পঙ্গপালের আক্রমণে সব ফসল নষ্ট হয়ে গেছে, এবং দুর্ভিক্ষ শুরু হয়ে গেছে।
আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়াতে এ সময়ে লাসা ভাইরাসও ভয়ংকর হয়ে উঠছে, যা ইবোলার মত আফ্রিকাকে আবারো ধ্বংস করে দিতে পারে।
ভারতে লক ডাউনে উৎপাদন বন্ধ, জাপানে জরুরি আইন চলছে তাও উৎপাদন বন্ধ।
ইউরোপের উপর পুরো পৃথিবী নির্ভর অথচ সে ইউরোপ নিজেই নির্ভার হয়ে আছে।
অস্ট্রেলিয়া বিগত কয়েক মাস ধরে চলা দাবানলে বিপর্যস্ত।
বাংলাদেশেও বেসরকারি কর্মী ছাটাই, বেতন কর্তন, অবৈধ প্রবাসীদের বাধ্যতামূলক দেশে ফিরিয়ে আনা,
পোশাক খাতের রপ্তানি ধস, লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম উৎপাদন হওয়ায় বাংলাদেশ পুরোটাই অর্থনৈতিক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
চরম দারিদ্র্য ও দারিদ্র্য এ দুই শ্রেণিতে বাংলাদেশের এক কোটি লোক রয়েছে যারা উৎপাদন খাত ও দৈনিক মজুরির উপর নির্ভরশীল।।
পৃথিবীব্যাপী এ সংকট উত্তরণে বাংলাদেশক পরনির্ভরশীল না হয়ে এখন থেকেই উৎপাদন শুরু করতে হবে।।
কোনো প্রকার অনাবাদি জমিকে ফেলে রাখা চলবে না।।
প্রধানমন্ত্রী নিজে একথা জোর দিয়ে বলেছেন।।
কেননা পৃথিবীর ভৌগোলিক অবস্থান গত কারণে বাংলাদেশ অন্যতম এক দেশ যেখানে বছরের সব ঋতুতে ফসল উৎপাদন করা সম্ভব।
ভাবুন তো একবার, শুধু মাত্র মসলা জাতীয় পেঁয়াজ সংকট আমাদের কতটা ভুগিয়েছে৷ সেক্ষেত্রে যদি পেঁয়াজের মত মৌলিক খাদ্য দ্রব্য চাল, ডাল, শাকসবজি, মাছ, মাংসে সংকট পড়ে তবে সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের পরিণতি কি হবে?
খাদ্যসংকটের ফলে মানুষ ক্রমশ দুর্বল হয়ে যাবে, তখন সে উৎপাদনসহ বিভিন্ন কাজে শ্রম দিতে পারবে না এবং শারীরিক সক্ষমতা হারিয়ে ফেলবে এবং রোগাক্রান্ত হয়ে অন্যের বোঝা হবে।।
আমাদের নিজেদের স্বার্থে এখনই উৎপাদনমুখী হওয়া উচিত, অন্তত জীবন ধারণের জন্য যা প্রয়োজন।।
সরকারের উচিত সামরিক বাজেট কমিয়ে তা কৃষিখাতে বরাদ্দ করা এবং ভূমির মালিকানা আছে কিংবা নেই উভয় পক্ষের জন্য প্রণোদনা ঋণ ব্যবস্থা করা।।