somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আত্ম সাধনার অপরূপ সৃষ্টি দেবী ও কবি।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



“প্রতিটি মানুষ সৃষ্টিশীলতার কিছুটা বিকাশ ঘটিয়ে যায়, তার লেখার মধ্য দিয়ে। তেমনি একজন লেখক আমাদের সকলের প্রিয় ব্লগার ডাঃ দাউদ। লেখক হওয়াটাকে তিনি খুব বড় ব্যাপার মনে করেন না গভীর উপলব্ধিবোধ এবং সৌন্দর্যচেতনাকে হৃদয়ে ধারন করেই তা লিখেন। চমৎকার অভিব্যক্তি-গভীর উপলব্ধিবোধ আর সৌন্দর্য বোধ থেকেই তার লেখার ইচ্ছা।

মানবচরিত্র কখনো অবিমিশ্র হয় না। আলো-আঁধার নিয়েই জীবনের খেলা। আর এই আলো-আঁধারির সার্থক রূপকার দেবী ও কবির জনক । জীবন জেনে তার সত্য আর সৌন্দর্যকে উদ্ঘাটিত করার জন্যই দেবী ও কবি কাব্যের সৃষ্টি। প্রেম শাশ্বত। প্রেম পবিত্র। পবিত্রতার চাদরে একে অন্যের মিলন বিরহের ভাষা পাঠক মাত্রই দোলা দেবে মনে। পৃথিবীতে মানুষ একা আসে, যায় একা কিন্তু এই যাওয়া-আসার মাঝখানে তাকে কারো না কারো সঙ্গ নিতেই হয়। পৃথিবীতে প্রত্যেক মানুষেরই অন্য আরেক মানুষের বন্ধুত্ব লাভ অত্যন্ত জরুরি। বিজ্ঞান বলে এ প্রয়োজন আমাদের জৈবিক প্রয়োজন। যেমন প্রয়োজন খাদ্য গ্রহণ, তৃষ্ণা নিবারণ।থাকে।মানুষের অবচেতন মনের যে বিচিত্র ধারা, যা সহজে চোখে পড়ে না অথচ বাস্তবেরও অধিক বাস্তব, তা সুস্পষ্টভাবে নিপুণ পরিসরে প্রকাশ পায় তার লেখনীর মাধ্যমে। তিনি সহজ সাবলীল ভাষায় প্রকাশ করেন জীবনের স্বার্থকতা জীবনের উপলব্ধিতে।মৃত্যুগন্ধী সময়ের আবেগই তাঁর কাছে বড় হয়ে ওঠে। তাই তিনি আমার আত্মার আত্মীয় ব্যক্তিগত আত্মার শ্রদ্ধার আসনে আসীন। কারণ ব্যক্তিগতভাবে আমি তাঁর পাঠক এবং আমরা একই সময়ের মানুষ।তাঁর ভিতর বাহির আমার চেনা জায়গা। তার লেখায় উঠে আসে চেতনা কোনো ছেঁড়া ছেঁড়া টুকরো ব্যাপারও নয়। নদীর পানির মতো তা এক অবিচ্ছিন্ন স্রোত। তাই মানব মনের জটিলতা বা আত্মদ্বন্দ্বকে প্রকাশ করার জন্য পরিবেশ পরিস্থিতিও এখানে বিদ্ধমান।অস্তিত্বহীন জীবনকে পুঁজি করেই একজন মানুষ অস্তিত্ববান হয়ে উঠে । অস্তিত্ববান মানুষ সবসময়ই মানসিক ও অর্থনৈতিক যন্ত্রণাকে পরিহার করে জীবনকে নদীর স্রোতের মতো গতিময় করতে পারে। তিনি তার লেখার মাধ্যমে বুঝাতে সক্ষম জীবনের স্বার্থকতা জীবনের উপলব্ধিতে। মরণের প্রত্যয় কিংবা ভাবকল্পের মধ্যে একাকার হয়ে যাওয়ায় নয়। ব্যক্তি মানুষ তার সমৃদ্ধ অতীতকে চেতনার ভবিষ্যতের দিকে মেলাতে চায়।অনেক সময় মেলাতে পারে আবার অনেক সময় ব্যর্থ হয়।

প্রেমে যেমন দুই পক্ষের ভূমিকা থাকে, বিচ্ছেদেও থাকে সমান দায়। তিনি একজন রক্ত-মাংসের মানুষ হিসাবে ভালবাসার। আবেগ,ভালোবাসা অনুভূতি ভালবাসা মানবিক মন তুলে ধরেছেন তার কাব্যে। তিনি কাব্যিক ছন্দে তুলে এনেছেন নারী পুরুষ এক দেহে ধারণ করে আবির্ভূত। আধ্যাত্বিকতার চর্চায় মানবদেহকে ঈশ্বরের আবাস মনে করে দেহ্তত্ত্বে (Physiology) ব্যাপক জ্ঞান অর্জন দ্বারা তার দেবী ও কবি কাব্যের ভান্ডার ভরপুর করেছেন। তিনি আত্ম সাধনার মাধ্যমে যেমন দেহতত্ত্বের সাধনা করেন তেমনি তার কব্যে সেটা তুলে আনার চেষ্টা করেছেন। তিনি দেখাবার চেষ্টা করেছেন দেহ থেকে দেহে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ঈশ্বরের ধারাবাহিকতায় সঙ্গম বা নারী-পুরুষের মিলন সাধনার মূল কেন্দ্রবিন্দু। ডঃ উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের মতে-”কীভাবে পুরূষ-প্রকৃতি বিভক্ত হ’ল এবং কীভাবে দুই দেশে না থেকে একত্রে রইল। পদ্ম কোথায় প্রস্ফুটিত হয়, পদ্ম পুস্পের রসে কীভাবে সাধন হয় এবং সহস্রদল হতে রজঃস্রোতের সঙ্গে রসরাজ লীলা করতে করতে অগ্রসর হয়ে তিন দিন তিন রূপ ধারণ করে শেষে ‘সহজ মানুষ’ রূপে আত্মপ্রকাশ করেন।তারপর প্রকৃতি-পুরুষের শৃঙ্গার দ্বারা উর্ধ্বগত হয়ে স্বস্থানে যেয়ে যুগল হয়ে নিত্যরস লীলা আস্বাদন করেন- আত্ম সাধনার মূলভাবটি মোটামুটি এর মধ্যে ব্যক্ত।” এই সব কিছুই কবি ও দেবী কাব্যে সহজ সাবলিল ভাবে ফুটে উঠেছে।লালন যেমন তার গানে কী বলছে -

“আমি কী সন্ধানে যাই সেখানে মনের মানুষ যেখানে।
আঁধার ঘরে জ্বলছে বাতি দিবা রাতি নাই সেখানে।
যেতে পথে কাম নদীতে পারি দিতে ত্রিবিণে (ত্রিবেণী)
কত ধনীর ধারা যাচ্ছে মারা পইড়ে নদীর তোড় তুফানে।
রসিক যারা চতুর তারা তারাই নদীর ধারা চিনে
উজান তরী যাচ্ছে বেয়ে তারাই স্বরূপ সাধন জানে।
লালন বলে মইলাম জ্বলে মইলাম আমি নিশি দিনে
আমি মনিহারা ফণির মতো হারা হলাম পিতৃধনে”।

তেমনি আত্ম সাধনার কবি ডাঃ দাউদ নারী পুরুষের ভিতরগত রূপ কাব্যিক ভাব ব্যঞ্জনায় পাঠক মহলে তুলে ধরেছেন।মানবমনে নানান ভাবের উদয় হয়। সৃষ্টিশীল মানুষেরা সেই সব ভাবনাকে ভাষার কারুকাজে উপস্থাপন করেন। তাদের সেই ভাবনার কারুকাজ কবিতা, গল্প, ছড়া, প্রবন্ধ, নিবন্ধ প্রভৃতি অবয়ব পায়। কখনো তুলির আঁচড়ে ভাবগুলো বাগময় হয় ক্যানভাসে। তেমনি ভাবে আরোড়ন তুলে পাঠক মনে। দেবী ও কবি সেই ভাবগুলির অভাব পূরন করবে এটাই আমার বিশ্বাস।

***************************


সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৩০
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪



বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×