খুব অভিমান করে বলেছিলি, “এখন আর আমাকে নিয়ে কোন কবিতা লিখে দিস না।” ডাহা মিছে কথা, রাগ হয়েছিলাম খুব। গাল ফুলিয়ে একগাদা কবিতার কথা মনে করিয়ে দিলাম। ওতে তোর মন ভরে না। আরো কবিতা, শব্দবালকের প্রতিটা নিঃশ্বাস নিংড়ানো শব্দ তোর চাই।
প্রতিটা দেহ ভাঁজে খুঁজে পাওয়া কবিতার ছন্দ শব্দের জালে আটকানোর চেষ্টা করি। আজকাল শব্দগুলোও তোর মতো লুকোচুরি খেলা শিখে গেছে। ‘টুকি’ বলে মুচকি হাসি দিয়েই আবার লুকিয়ে পরে। আমি হয়রান হয়ে তোর মাঝে শব্দ খুঁজি। নানান রঙের, নানান ঢঙ্গের শব্দের হৈ-হুল্লোড়ে বিমোহিত তোর চোখের কৃষ্ণগহ্বরে তলিয়ে যেতে থাকি। ঠোটে ঠোট রেখে তুই আঁকড়ে ধরিস, বহুদিনের তৃষ্ণার্তের মতো সমস্ত শব্দ শুষে নিতে চাস। আমিও বাধা দিই না।
-আমার হবি?
জানি না।
-পাশে থাকবি?
তাও জানি না।
-আমাকে ধরে রাখতে পারবি?
বললাম তো জানি না।
মিথ্যে বলিস নি। তুই সত্যিই জানিস না। ভীত হরিণীর মতো তীর তীর করে কাপতে থাকা তোর চোখের তারায় শুধু ভালোবাসার নিশ্চয়তা খুঁজে নেই। জাগতিক জঞ্জালে ভীত দূরে ঠেলে দিতে চাস। আবার তোর ঠোট আঁকড়ে ধরি। পরম আবেগে বলে উঠিস, এভাবে নয় এভাবে ঠিক হয়না! খাপে খাপ মিলে যাওয়া বন্ধনে জীবনের স্বপ্ন দেখি।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:১০