somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এক অনুপ্রেরণার নাম!

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ক্যানসার তাকে হারাতে পারেনি। টানা ১২বার আক্রান্ত হয়েও জয় করেছেন এ দুরারোগ্য ব্যধি; গানও থামেনি। মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে ফিরেছেন সৃষ্টির শক্তিতে। ক্যানসারের সঙ্গে তার নিরন্তর যুদ্ধের দিনিলিপি শোনা গেছে সম্প্রতি প্রকাশিত তার ‘ক্যানসারের নিশিকাব্য’ অ্যালবামে।


এদিকে অক্টোবরেই প্রকাশ পেয়েছে তার আন্তর্জাতিক ইনস্ট্রুমেন্টাল অ্যালবাম ‘সোলফুড পার্ট ওয়ান’। দুই যুগ ধরে সংগীতসাধনা করছেন অর্থহীন ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা সাইদুস খালেদ সুমন, বেইজবাবা হিসেবেই ভক্তদের কাছে যার পরিচিতি। এবার তার লক্ষ্য আন্তর্জাতিক অঙ্গন। শুক্রবার গ্লিটজ-এর মুখোমুখি হলেন তিনি।


গ্লিটজ: বছরখানেক আগে ক্যান্সার থেকে মুক্ত হয়েছেন । এখন কেমন আছেন?

সুমন: আগে তিনমাস পরপর গিয়ে চেকআপ করাতে হতো। তারপর কিছুদিন ছয়মাস। এবার যাওয়ার পর ডাক্তার বললেন আগামী একবছর আর চেকআপ করাতে হবে না। এখন আমার শারিরীক অবস্থা বেটার। একটু নিয়ম করে চলতে হচ্ছে। দেখা যাক সামনে কি হয়। ক্যানসারের তো কোন বিশ্বাস নাই।

গ্লিটজ: দীর্ঘ সময় ধরে অসুস্থ আপনি। অসুখ নিয়েও কিভাবে গান করছেন?

সুমন: প্রথমে এটা ক্লিয়ার করা দরকার। মিউজিক আমি করি শখে। এটা আমার প্রফেশন না, প্যাশন। যে কারনে মিউজিক কখনো ছাড়তে পারি নাই।

মিউজিক করতে সবচেয়ে বড় যে প্রবলেম সেটা হচ্ছে টাইম। টাইমের জন্য অনেক কিছু করতে পারি না। মাঝে মাঝে এ রকম মনে হয়, দিন চব্বিশ ঘন্টা না হয়ে যদি ছত্রিশ ঘন্টা হতো তাহলে আমি অনেক কিছু করতে পারতাম। এখন আমার হাতে যা কাজ আছে, এগুলো যদি প্রকাশ করতে থাকি তাহলেও আগামী দেড় দুই বছর দিতে পারব।

এ প্রসঙ্গে একটা মজার কথা বলি- এই কিছুদিন আগে অর্থহীন-এর নতুন অ্যালবাম বের হলো ‘ক্যানসারের নিশিকাব্য’। অ্যালবাম করার আগে ব্যান্ডের সবাই মিলে দেখলাম গান কম পড়ছে। তারপর নতুন গান করে অ্যালবাম রিলিজ করলাম। গত সপ্তাহে ঢাকার বাইরে শো করতে গেলাম। সেখানে গিয়ে কম্পিউটার ঘাঁটতে গিয়ে দেখি অপ্রকাশিত ছয়টা গান। গানগুলোর কথা মনেই নাই। মনে থাকলে আর নতুন করে বানাতে হতো না।

এ রকমই, মিউজিক যখনই পারি তখনই করি, সামনেও করব।

অনেকেই জিজ্ঞাসা করেন ক্যানসার নিয়ে গান কিভাবে করছি, আমার ধারণা মিউজিক করছি বলেই ভালো আছি। এমনিতে আমাদের সবারই মানসিক চাপ থাকলে আমাদের যেটা করতে ভালো লাগে তা করা দরকার। এটা করলে মানসিক চাপ কম পড়ে। মানসিক চাপ কম পড়লে শরীরও ভালো থাকবে।

আমি মাঝে মাঝেই ভাবি, মিউজিক ছাড়া আমি থাকবো কিভাবে। আমার এমনও মনে হয় যে বুড়ো হয়ে গেছি, হাত পা নাড়াতে পারছিনা, গিটার বাজাতে পারছিনা, তখনও মিউজিক আসবে, থেমে যাওয়া সম্ভব নয়।

আমার প্রথম যখন ক্যানসার ধরা পড়ে আমাকে ডাক্তার যখন জানালেন, শুনে খুব মন খারাপ হয়েছে, কান্নাকাটি করেছি। তখন আমার মনে হয়েছে ফাইট করতে হবে। এমনও হয়েছে এরপর অনেকবার ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছি, অনেকবার অপারেশন থিয়েটারে যেতে হয়েছে। সার্জারির পর এমনও হয়েছে জ্ঞান ফিরছেনা এমন পরিস্থিতির ভেতরও আমাকে যেতে হয়েছে। সব কিছুর পর যখনই মেন্টাল স্ট্রেসের ভেতর দিয়ে গেছি তখন আমি একটা গান লিখেছি।

গ্লিটজ: এই গানগুলোই কি ‘ক্যানসারের নিশিকাব্য’ অ্যালবামে পেয়েছি আমরা?

সুমন: অ্যালবামটিতে ১৪ মিনিটের একটি গান আছে। গানটিতে মূলত ক্যানসারের সঙ্গে আমার ফাইট করার ব্যাপারগুলো উঠে এসেছে। আক্ষরিক অর্থেই জীবনযুদ্ধ যাকে বলে। সুতরাং ক্যানসারের সাথে মার্চ করার ব্যাপারগুলো এ রকম।

গ্লিটজ: এ সপ্তাহে আপনার একটা বেজ ইনস্ট্রুমেন্টাল আন্তর্জাতিক অ্যালবাম (সোল ফুড পার্ট-১) প্রকাশ হয়েছে। অ্যালবামটি প্রসঙ্গে বলুন?

সুমন: এ অ্যালবামে পাঁচটা ট্র্যাক আছে। আরও পাঁচটা ট্র্যাক দিয়ে নতুন অ্যালবাম করব শিগগিরই। তবে অ্যালবামটা, ইটস নট অনলি অ্যাবাউট বেইজ। আমার ব্যাপারটা ছিল আমি যেটা বানাচ্ছি সেটার একটা ভিউ থাকতে হবে, ভিশন থাকতে হবে। এটা একটা কম্প্লিট মিউজিক হতে হবে। আমার টোটাল একটা এরেন্জমেন্ট, টোটাল কম্পোজিশন, ওই চিন্তা মাথায় রেখে করেছি। আমি পারসোনালি খুব হ্যাপি কাজটা করে।

যেহেতু আমার সঙ্গে এখানে বাইরের অনেক মিউজিশিয়ান কাজ করেছেন, ওটাতে আমি বলব আমি ব্লেজড। যেসব ইন্টারন্যাশনাল মিউজিশিয়ান আমার সঙ্গে কাজ করেছেন, পাঁচ বছর আগে আমি ভেবেছি যে, এদের যদি আমি সামনা সামনি দেখতে পেতাম তাহলেই আমার চলবে। সে জায়গায় তারা আমার বন্ধু হয়েছেন। এ ব্যাপারগুলো মানসিকভাবে আমাকে নাড়া দিয়েছে। এত বছর পর বাংলাদেশের একটা বেইজ ইনস্ট্রুমেন্টাল অ্যালবাম বের হলো। এটা অনেক আগে হবার কথা ছিল। আমি আশা করি সামনে দেখব আরও অনেকেই এমন কাজ করবেন।

গ্লিটজ: অ্যালবামের গানগুলোতে প্রাচ্যের কোন সুর বা বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার করেছেন?

সুমন: আমরা যখন বাংলায় গান গাই, কেনিয়ার একটা লোক কিন্তু সেটা বুঝবে না। এ অ্যালবাম যখন শুনবেন তখন আর এমন হবে না, তারা এটাকে মিউজিক হিসেবেই নেবেন। ভাববেন, আচ্ছা বাংলাদেশের একটা ছেলে বাজিয়েছে, শুনি। ইচ্ছা ছিল আমার মিউজিকটাকে গ্লোবালি পরিচিত করা। এ জন্য আমি খুব বেশি এদিককার মিউজিক করিনি অ্যালবামটাতে। জাস্ট দুইটা ট্র্যাকে আমি এদিকের রাগ ব্যাবহার করেছি।

গ্লিটজ: আর কোন আন্তর্জাতিক অ্যালবামের পরিকল্পনা আছে কি?

সুমন: আপাতত একটা মিক্সড অ্যালবামের প্ল্যান করছি। যেখানে চারটা করে বাংলাদেশ ও আমেরিকান ব্যান্ডের গান থাকছে। বাংলাদেশ থেকে এ অ্যালবামে অর্থহীন ছাড়াও আপাতত নেমেসিস ও আরবোভাইরাসের নাম কনফার্ম করেছি। বাকি যে একটা ব্যান্ড ওটা এখনও বলতে পারছি না। আমেরিকার কিছু লোকাল ব্যান্ডের চারটা গান থাকছে। আর অর্থহীনের সঙ্গে লুজিয়ানার একটা ব্যান্ডের যৌথভাষার গান থাকছে এ অ্যালবামে।

গ্লিটজ: এ আইডিয়াটা কিভাবে আসলো?

সুমন: আমার টার্গেট বাংলাদেশকে পরিচিত করা। টানা তিনবারের মতো আমেরিকার সবচেয়ে বড় সংগীতের আসর ন্যাম উৎসবে যাচ্ছি। সেখানে সব বিখ্যাত শিল্পীদের সঙ্গে পরিচয় ঘটছে। তারা শুধু জানত বাংলাদেশে খুব বন্যা হয়। এখানে যে গানও হয় তা জানত না। আমি তাদের কাছে বাংলা গানকে পরিচিত করতে চাইছি।

সামনেই মোহান ফাহিমের সঙ্গে আমার একটা ফুল অ্যালবাম আসছে। এই অ্যালবামটার নামই হচ্ছে ‘কফি ক্লাউড ফ্রম বাংলাদেশ’। গান যেমনই হোক, ‘বাংলাদেশ’কথাটা কিন্তু আছে। আমার কথা হচ্ছে তোমরা এ টাইপের গান শুনতে পছন্দ করো, শোন, কিন্তু বাংলাদেশকে চিনতে হবে। অ্যালবামটি ফেব্রুয়ারিতে আসবে।

গ্লিটজ: শুনেছি আনিলার সঙ্গে আপনার নতুন দ্বৈত অ্যালবামটিও আসছে। এছাড়া আর কি কি পাচ্ছি আপনার কাছ থেকে?

সুমন: ডিসেম্বরে আসবে আনিলার সঙ্গে আমার যৌথ অ্যালবামটি। আনিলার ভয়েজটুকু পাঁচবছর আগেই রেকর্ডিং হয়ে আছে। অসুস্থতাসহ নানা ব্যস্ততায় আমার অংশটুকু করা হয়নি। এবার হবে।

এছাড়া অর্থহীনের চারপাঁচটা মিউজিক ভিডিওর কাজ চলছে। এর মধ্যে ইনস্ট্রুমেন্টাল অ্যালবামের একটা মিউজিক ভিডিও আসবে ৩০ নভেম্বর। জানুয়ারীর ১৫ তারিখ আমি তৃতীয়বারের মতো ন্যাম শো-তে যাচ্ছি। এটা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ব্যান্ডসঙ্গীত উৎসবগুলোর একটি। ওখানে আমার কিছু পারফর্ম আছে। সেসব পারফরমেন্সের কিছু মিউজিক ভিডিও করার ইচ্ছা আছে।

গ্লিটজ: গিটারিস্ট, কম্পোজার, ভোকাল হিসেবে কাজ করা ছাড়াও আপনি লিরিসিস্ট। এ পরিচয়টাকে কিভাবে ব্যাখ্যা করবেন?

সুমন: আমি নিজেকে প্রথমত একজন বেইজ প্লেয়ার মনে করি, তারপর লিরিসিস্ট, তারপর একজন গায়ক। লিরিক আমার কাছে ভয়ংকর টেনশন, স্ট্রেস থেকে রিলিফের মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। হয়তো আমার অনেক মন খারাপ বা খুব অসুস্থতার ভেতর দিয়ে যাচ্ছি তখন আমি লিরিক লিখি।

আমি খুব সাধারণ সাহিত্য চর্চা করেছি। আমার লিরিকের ভাষাও তাই। আমি জীবনে যা লিখেছি তার শতকরা নিরানব্বই ভাগ হচ্ছে সত্য কথা। আমি যা দেখেছি যা ফিল করেছি তাই লিখেছি। মুক্তিযুদ্ধ আমি দেখিনি, তবু মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আমি লিরিক লিখেছি। ওটা ফিল করেছি। আমার ভেতর প্রচণ্ড রাগ, দু:খ, ক্ষোভ এসেছে- আমি লিরিক লিখেছি।

উদাহরণ হিসেবে বলি, আমার একটা সিরিজ গান আছে ‘নিকৃষ্ট’। ওখানে আমি নেতিবাচক ভাষা ব্যাবহার করেছি। ‘নিকৃষ্ট-৩’ নিয়ে সবাই খুব সমালোচনা করেছেন। কিন্তু আমি তাদের বলি, তারাতো ১২টা ক্যানসার ফেস করেনি। ১২টা সার্জারি ফেস করেনি। ‘নিকৃষ্ট-৩’ আমার ক্যানসারের সময়কার অনুভূতি নিয়ে লেখা। লিরিক আমার সঙ্গীতজীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। লিরিক আছে বলেই বেঁচে আছি।

গ্লিটজ: প্রায় দুই যুগ ধরে গান করছেন। শিল্পীতো কখনও তৃপ্ত হয় না। এখন আপনার অতৃপ্তি কি নিয়ে?

সুমন: মানুষ হিসেবে আমাদের অতৃপ্তি সারাজীবন থাকবে। চাওয়া তো কখনও ফুরায় না। তবে, রেগুলার যে শো করার ইচ্ছা ছিল তা করতে পারছি না। চাইলেই যা ইচ্ছা তাই করতে পারি না। নিজের অসুস্থতা, ব্যাবসায়িক ব্যস্ততায় চাইলেই যে কোন কোথাও চলে যেতে পারিনা, এটাই অতৃপ্তি।

গ্লিটজ: পাইরেসি সঙ্গে লড়াইয়ের যুগে আপনার মতো গানও কি এখন চাইলেই শ্রোতাদের কানেপৌঁছাতে পারছে?

সুমন: খোদ আমেরিকান হিট মিউজিশিয়ানরাই আমাকে বলে, ‘ধুর, বইলোনা গান কেউ শুনতেসেনা’। এ রকমই অবস্থা। আগে যেভাবে গানগুলো ছড়াতো এখন তা ছড়াচ্ছে না। এ প্রবলেম সারা পৃথিবীতেই। আমার মনে হয় ডিজিটাল যুগে ইন্টারনেট স্ট্রিমিংয়ের সঙ্গে যত দ্রুত মানুষ অভ্যস্থ হবে তত দ্রুত এ অবস্থার অবসান ঘটবে। এছাড়া পাইরেসির কারণে এতো বেশি ফ্রি এতো বেশি এভেইলেবল হয়ে পড়েছে সবকিছু অ্যালবাম কিনে গান শুনতে হবে এ মানসিকতাই হারিয়ে যাচ্ছে।

‘ক্যানসারের নিশিকাব্য’-শুধুমাত্র রবি ইয়ন্ডারে প্রকাশ হয়েছে। রবির গ্রাহকরা ছাড়া আর কেউ শুনতে পারছেন না। আমরা ভাবছি সামনেই সিডি প্রকাশ করব। তখন হয়তো সবার কাছে গান পৌঁছাতে বাধা থাকবে না। এছাড়া ইন্টারনেটে গান শোনা, টাকা দিয়ে ডাউনলোড করা- এগুলো আসলে অভ্যস্থতার বিষয়। সারা পৃথিবীতে যখন এ অবস্থার অবসান ঘটবে তখন বাংলাদেশেও ঘটবে।

গ্লিটজ: ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করে আর কতো বছর বাঁচতে চান?

সুমন: ডাক্তাররা আমাকে তিন মাস, ছয় মাস- নানা সময় বেঁধে দিয়েছিলেন। কিন্তু কিছু হলো না তো। বেঁচে থাকলেই নানা স্বপ্ন এসে ভীড় করে। তবে, এ মুহুর্তে আমি হিসেব করে দেখেছি আর তিন মাস বাঁচলেই আমার হয়ে যায়। আমার গান, আমার পরিবারের জন্য যা কিছু প্রয়োজন তা হিসেব করেই বললাম

ছবি:গ্রাভ গিয়ার
©bdnews24.com
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫০
৬টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কম্বলটা যেনো উষ্ণ হায়

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৭


এখন কবিতার সময় কঠিন মুহূর্ত-
এতো কবিতা এসে ছুঁয়ে যায় যায় ভাব
তবু কবির অনুরাগ বড়- কঠিন চোখ;
কলম খাতাতে আলিঙ্গন শোকাহত-
জল শূন্য উঠন বরাবর স্মৃতির রাস্তায়
বাঁধ ভেঙ্গে হেসে ওঠে, আলোকিত সূর্য;
অথচ শীতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

'জুলাই যোদ্ধারা' কার বিপক্ষে যুদ্ধ করলো, হ্তাহতের পরিমাণ কত?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৫১



সর্বশেষ আমেরিকান ক্যু'কে অনেক ব্লগার "জুলাই বিপ্লব" ও তাতে যারা যুদ্ধ করেছে, তাদেরকে "জুলাই যোদ্ধা" ডাকছে; জুলাই যোদ্ধাদের প্রতিপক্ষ ছিলো পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, ছাত্রলীগ; জুলাই বিপ্লবে টোটেল হতাহতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×