somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ফেসবুকের বন্ধু

১৭ ই মে, ২০১৬ সকাল ১১:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ফেসবুকে এসেছি অনেক পরে । কেনও জানি মনে হতো ফেসবুকের চেয়ে ব্লগে লেখাল্রখি করাই বোধ হয় ভালো । ফেসবুকে লিখতে লিখতে একদিন এক জনের লিখা দেখে তাকে অনুসরণ করতে থাকলাম । মনে হোলও তার লিখা দেখে যে তিনি দুইটি জিনিষ কে পছন্দ করেন না । তিনি ইউরোপের একটি দেশে প্রবাসী হিসাবে বসবাস করেন । কখনো কখনো প্রবাস জীবন নিয়েও লিখেছেন বা লিখে থাকেন । তাই তাকে কোন একদিন বার্তা দিলাম এবং কেনও পছন্দ করেন না । তার উত্তরে তিনি জানেলেন তার মনের কথা । যা শুনে মনে হোলও আমরা মানুষ সারা পৃথিবী জুড়ে বসবাস করছি নানা সমস্যায় বোধ হয় কিংবা নানা চাওয়া /পাওয়া নিয়ে । কেউ পাচ্ছে কেউ পাচ্ছে না কিংবা কেউ যা পেয়েছে তা নিয়ে খুসি হতে পারছে না । যার যার মনের কোঠায় যার যার পাওয়া না পাওয়া নিয়ে রয়েছে নানা কথা যা কখনো প্রকাশ করছে আবার করছে না । কিন্তু আমরা বাহ্যিক দিক দিয়ে মনে করছি অনেককে দেখে যে তারা কতো সুখী বা তারা কতো আনন্দের জীবন কাটাচ্ছে । আসলে কি তাই ? যার যার মনের কথা শুনলে বোধ হয় মিলানো যাবে না মোদের জীবন কাহিনী । কিংবা শুনে শিহরিত হতে হবে কিংবা চমকে উঠবেন কিংবা সুজোগ খুজবেন । তারপরও আমরা চলছি / বলছি / লিখছি । ফেসবুকে কেউ কেউ দেখাচ্ছে তার চেহারা বা রূপ । কেউ দেখাচ্ছে তার ও নিজের পরিবারের দৈনন্দিন জীবন কাহিনী । কেউ আবার পরের জীবন কাহিনি । কেউ করছে ৪২০ গিরি । কেউ আবার করছে আস্ফালন কিংবা অন্য কথা । কেউ বলছে তার মনের কথা বা ভালোবাসার কথা । কেউ আবার করছে অভিনয় । কেউ আবার ফেক আইডি খুলে করছে প্রতারনা । কেউ চালাচ্ছে অপপ্রচার । কেউ দেখাচ্ছে রূপ যৌবন । তবে সবাই বোধ হয় লাইক চাচ্ছে । কেউ আবার ফেসবুকে আইডি খোলার পর শুধু শেয়ার দিয়ে খোলেন পরে পছন্দ ওপেন করেন । শেষ পজন্ত মন্তব্য করার করার সুযোগ দিয়ে আইডি চালু রাখেন । কিন্তু শুরুর সময় কেনও শুধু শেয়ার করার সুযোগ দিয়ে চালু করেছিলেন । আমার মনে হয় এর কারন প্রথমে ভাবি যে হয়তো অনেকে আজে / বাজে মন্তব্য করে বিরক্ত করবে । তাই সেই সুযোগ না দোয়াই ভালো । আবার যখন দেখা যায় শেয়ারে আসতে চাচ্ছে না পাঠক রা বার্তার মাধ্যমে । তখন সব খুলে দেয় । কেউ আবার সব রাস্তা ওপেন করে না । অনেকে আবার ফেসবুকে অনেক সময় লজ্জিতও হয়ে থাকে নানা ভাবে । অনেকক্ষেত্রে কেউ আবার শত্রুও বনে যাচ্ছেে ফেসবুকে । কেউ আবার প্রেমে পড়ে যাচ্ছে বা কারো কারো ঘরও ভাঙছে । কেউ আবার ছুটছে গন্তব্ববিহিন পথে । অনেকে হারাচ্ছে অনেক কিছু ।, আবার নুতন কিছু পাচ্ছেও কেউ কেউ । কেউ আবার ঘুরছে মরীচিকার পিছনে । ফেসবুকে নুতন নুতন কিছু জানাও যাচ্ছে , চেনা যাচ্ছে রঙ বেরঙের লোকজনকে । সেই সাথে বিশ্বের আনাচে কানাচের লোকজনকে চেনা যাচ্ছে সহজ ভাবে । আদান প্রদান হচ্ছে মনের ভাব । ফেসবুকে অনেকেরই বন্ধু হিসাবে অ্যাড নেই কেউ । আবার অ্যাড দিতে গিয়ে দেখা যায় ঐ বন্ধুর সাথে অন্যজন যারা বন্ধু অ্যাড আছেন তাদের আমার পছন্দিয় নয় । তাই তাকে আর অ্যাড দেওয়া হচ্ছে না বন্ধু হিসাবে । কেউ অনুসরনিয় করে রেখেছেন অনেককে দিনের পর দিন । তারপরও তাদের সাথে চলছে বার্তার মাধ্যমে কথপথন । যা অনেকেই বুঝতে পারছে না । অনেকে আবার নিজেরা সামী / স্ত্রীর আইডি কেউ কারো আইডি দেখতে পারে না বা অ্যাড নেই দুজন /দুজনার মধ্যে । কতো রকমের ফেসবুক আইডি । কেউ আবার সুন্দরী মেয়েদের ছবি অ্যাড করে তার আইডির সাথে কিংবা নাম করা ব্যক্তির নিদর্শন দিয়ে নিজের আইডি খুলছেন । কখনো মেয়ে ছেলে সেজে আইডি খুলছে আবার ছেলে মেয়ে সেজে আইডি খুলছে । কেউ কেউ নিজের পরিচয় নাম ঠিকানা অন্য দিয়ে খুলছে আইডি । মজার ব্যাপার নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা কম বেশী করে বয়সও কমাচ্ছে তার আইডিতে । অন্যজন আবার পরের আইডি হ্যাক করে নিজের অপকর্ম চালিয়ে দিচ্ছেন অহ্নের ঘাড়ে । অনেকে আবার দামী দামী স্কুল / কলেজ / বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন বলে লিখছেন । কাউকেই আন্ডার ম্যাট্রিক পাওয়া যাচ্ছে না । এমনকি ৫ম শ্রেণিও পাওয়া যাচ্ছে না ।কেউ বিবাহিত হয়েও বলছে অবিবাহিত । কেউ দেশের একটি প্রতান্ত অঞ্চলে বাস করেও বলছে প্রবাসে আছি । জানিনা কেউ নিজের বাপ /মায়ের নাম অন্য দিয়ে আইডি খুলেছে কিনা ? এই যদি মুক্ত মত প্রকাশের প্লাটফর্ম বলে বিবেচিত হয় তাহলে তা কিভাবে মেনে নেয়া যায় । ফেসবুকে ছদ্ধ মেয়ের সংখা বেশী না ছদ্ধ ছেলের সংখা বেশী তার তথ্য কারো কাছে আছে কিনা জানিনা । ফেসবুকে নাকি কেউ কেউ পড়ে আছে নাওয়া / খওয়া ছেড়ে । এ এক ভয়ংকর নেশা । সার্বিক দিক দিয়ে বিবেচনা করলে দেখা যায় যে লেখালেখির সংখ্যার আইডি কম । অনেকেই মন্তব্য করতেই পছন্দ করেন সেই সাথে ব্যবসা / বাণিজ্যের প্রচারও বেশী । তবে সুন্দরী মেয়েদের ছবি হলে বা সেই ছবি যদি একটু খোলামেলা হয় । তাহলে পুরুষরা হুমড়ি খেয়ে পড়ছে মন্তব্য করতে আর পছন্দ করতে শীর্ষের তালিকায় থাকতে চাচ্ছেন । আবার কেউ ফেসবুকে পোস্ট বা লিংক করতে করতে কখন যে দোতলায় সিঁড়ি দিয়ে উঠতে গিয়ে কখন ছাদে উঠে গেছে তা বুঝতেই পারেনি । চিলেকোঠায় গিয়ে আর সিঁড়ির ধাপ না পেয়ে তাকিয়ে দেখে খোলা আকাসের খোলা ছাদ । পরে আবার নামছে নিচে সিঁড়ি দিয়ে । কখনো লিফটে উঠেও চলছে চ্যটিং । তা করতে করতে কখন যে লিফট চলে গেছে ২৪ তলায় তা বুঝতে পারেনি । আবার ৫ তলায় নামতে নামতে চলে এসেছে গ্রাউনড ফ্লোরে । এভাবে কয়েকবার উঠা / নামা করে শেষ পজন্ত গলা ধাক্ষা খাচ্ছে লিফট থেকে নামতে কেউ কেউ । অনেকে আবার হটাত করে ফেসবুক বব্ধ করে দিচ্ছে । আসছে নুতন নামে । কেউ আবার নেট স্লো হলে নানা অপারেটর বদলাচ্ছে নানা সময়ে । এম বি হটাত ফুরিয়ে গেলে হন্যে হয়ে খুজছে ইনটারনেট কিনতে । গভীর রাতে খুজছে ফ্লেক্সি আলাদের । রঙ রসের কথা বা ছবি লেনদেনের সময় যদি হটাত বিদ্যুৎ চলে যায় তখন মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে ফেস না থেকে । অন্যদিকে ফেসবুকের মাধ্যমে অনেক দিনের পুরাতন বন্ধু / আত্মীয়স্বজনদের / দূর দূরান্তের আত্মীয়স্বজন সহ বন্ধু বান্ধবীদের তাৎক্ষনিক ভাবে দেখা যাচ্ছে বা কথা হচ্ছে । আদান /প্রদান হচ্ছে সহজ ভাবে । সুতারাং ফেসবুক এক কথায় মানুষের জন্য উপকারিতার ভূমিকাই পালন করছে বলে মনে করি । যাকগে যে কথা বলতে আমি লিখা শুরু করেছিলাম সেই দিকে চলে আসি । তাহলো যার আমার ফেসবুকে বার্তায় কথা হচ্ছিলো তিনি একদিন বার্তায় বললেন যে সে ফেসবুকের বন্ধুদের বিশ্বাস করেন না । তিনি অবশ্য লিখে যাচ্ছেন ফেসবুকে নিয়মিত ভাবে । লিখাও খারাপ নয় । তার ফেসবুকে কোনও বন্ধু অ্যাড নেই কিন্তু অসংখ্য অনুসারী আছে । তিনি আবার নিজেকে ধর্ম ভীরু বলেও প্রকাশ করতে চান । কিন্তু তার আচরনে বা তার ছবি প্রদর্শনীতে তা মনে হয় না । তার লেখায় যে ধরনের অশ্লীল মন্তব্য অনুসারীরা করছে । আর সে তা হজম করে যাচ্ছে । তাতে মনে হোলও হায়রে ফেসবুকের বন্ধুহীন বন্ধুরা আমরা কার বা কাদের ফেসবুকের আইডিতে বন্ধু বা অনুসারী হয়ে আছি । আমার দৃষ্টিতে ফেসবুকে অল্প বিদ্দান হয়েও উচ্চ শিক্ষিত বনে যাওয়া যায় । তাই কখনো কখনো অল্প বিদ্যা ভয়ংকর বন্ধুরা ।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মে, ২০১৬ সকাল ১১:৫০
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেকোন বাংগালীর ইন্টারভিউর সময়, 'লাই-ডিটেক্টটর' যোগ করে ইন্টারভিউ নেয়ার দরকার।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৫ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



আপনার এনলাকার এমপি, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী কামাল সাহেব, যেকোন সেক্রেটারী, যেকোন মেয়র, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, বিএনপি'র রিজভী, আওয়ামী লীগের ওয়ায়দুল কাদের, আপনার থানার ওসি, সীমান্তের একজন বিজিবি সদস্য, ঢাকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×