ফেসবুকে এসেছি অনেক পরে । কেনও জানি মনে হতো ফেসবুকের চেয়ে ব্লগে লেখাল্রখি করাই বোধ হয় ভালো । ফেসবুকে লিখতে লিখতে একদিন এক জনের লিখা দেখে তাকে অনুসরণ করতে থাকলাম । মনে হোলও তার লিখা দেখে যে তিনি দুইটি জিনিষ কে পছন্দ করেন না । তিনি ইউরোপের একটি দেশে প্রবাসী হিসাবে বসবাস করেন । কখনো কখনো প্রবাস জীবন নিয়েও লিখেছেন বা লিখে থাকেন । তাই তাকে কোন একদিন বার্তা দিলাম এবং কেনও পছন্দ করেন না । তার উত্তরে তিনি জানেলেন তার মনের কথা । যা শুনে মনে হোলও আমরা মানুষ সারা পৃথিবী জুড়ে বসবাস করছি নানা সমস্যায় বোধ হয় কিংবা নানা চাওয়া /পাওয়া নিয়ে । কেউ পাচ্ছে কেউ পাচ্ছে না কিংবা কেউ যা পেয়েছে তা নিয়ে খুসি হতে পারছে না । যার যার মনের কোঠায় যার যার পাওয়া না পাওয়া নিয়ে রয়েছে নানা কথা যা কখনো প্রকাশ করছে আবার করছে না । কিন্তু আমরা বাহ্যিক দিক দিয়ে মনে করছি অনেককে দেখে যে তারা কতো সুখী বা তারা কতো আনন্দের জীবন কাটাচ্ছে । আসলে কি তাই ? যার যার মনের কথা শুনলে বোধ হয় মিলানো যাবে না মোদের জীবন কাহিনী । কিংবা শুনে শিহরিত হতে হবে কিংবা চমকে উঠবেন কিংবা সুজোগ খুজবেন । তারপরও আমরা চলছি / বলছি / লিখছি । ফেসবুকে কেউ কেউ দেখাচ্ছে তার চেহারা বা রূপ । কেউ দেখাচ্ছে তার ও নিজের পরিবারের দৈনন্দিন জীবন কাহিনী । কেউ আবার পরের জীবন কাহিনি । কেউ করছে ৪২০ গিরি । কেউ আবার করছে আস্ফালন কিংবা অন্য কথা । কেউ বলছে তার মনের কথা বা ভালোবাসার কথা । কেউ আবার করছে অভিনয় । কেউ আবার ফেক আইডি খুলে করছে প্রতারনা । কেউ চালাচ্ছে অপপ্রচার । কেউ দেখাচ্ছে রূপ যৌবন । তবে সবাই বোধ হয় লাইক চাচ্ছে । কেউ আবার ফেসবুকে আইডি খোলার পর শুধু শেয়ার দিয়ে খোলেন পরে পছন্দ ওপেন করেন । শেষ পজন্ত মন্তব্য করার করার সুযোগ দিয়ে আইডি চালু রাখেন । কিন্তু শুরুর সময় কেনও শুধু শেয়ার করার সুযোগ দিয়ে চালু করেছিলেন । আমার মনে হয় এর কারন প্রথমে ভাবি যে হয়তো অনেকে আজে / বাজে মন্তব্য করে বিরক্ত করবে । তাই সেই সুযোগ না দোয়াই ভালো । আবার যখন দেখা যায় শেয়ারে আসতে চাচ্ছে না পাঠক রা বার্তার মাধ্যমে । তখন সব খুলে দেয় । কেউ আবার সব রাস্তা ওপেন করে না । অনেকে আবার ফেসবুকে অনেক সময় লজ্জিতও হয়ে থাকে নানা ভাবে । অনেকক্ষেত্রে কেউ আবার শত্রুও বনে যাচ্ছেে ফেসবুকে । কেউ আবার প্রেমে পড়ে যাচ্ছে বা কারো কারো ঘরও ভাঙছে । কেউ আবার ছুটছে গন্তব্ববিহিন পথে । অনেকে হারাচ্ছে অনেক কিছু ।, আবার নুতন কিছু পাচ্ছেও কেউ কেউ । কেউ আবার ঘুরছে মরীচিকার পিছনে । ফেসবুকে নুতন নুতন কিছু জানাও যাচ্ছে , চেনা যাচ্ছে রঙ বেরঙের লোকজনকে । সেই সাথে বিশ্বের আনাচে কানাচের লোকজনকে চেনা যাচ্ছে সহজ ভাবে । আদান প্রদান হচ্ছে মনের ভাব । ফেসবুকে অনেকেরই বন্ধু হিসাবে অ্যাড নেই কেউ । আবার অ্যাড দিতে গিয়ে দেখা যায় ঐ বন্ধুর সাথে অন্যজন যারা বন্ধু অ্যাড আছেন তাদের আমার পছন্দিয় নয় । তাই তাকে আর অ্যাড দেওয়া হচ্ছে না বন্ধু হিসাবে । কেউ অনুসরনিয় করে রেখেছেন অনেককে দিনের পর দিন । তারপরও তাদের সাথে চলছে বার্তার মাধ্যমে কথপথন । যা অনেকেই বুঝতে পারছে না । অনেকে আবার নিজেরা সামী / স্ত্রীর আইডি কেউ কারো আইডি দেখতে পারে না বা অ্যাড নেই দুজন /দুজনার মধ্যে । কতো রকমের ফেসবুক আইডি । কেউ আবার সুন্দরী মেয়েদের ছবি অ্যাড করে তার আইডির সাথে কিংবা নাম করা ব্যক্তির নিদর্শন দিয়ে নিজের আইডি খুলছেন । কখনো মেয়ে ছেলে সেজে আইডি খুলছে আবার ছেলে মেয়ে সেজে আইডি খুলছে । কেউ কেউ নিজের পরিচয় নাম ঠিকানা অন্য দিয়ে খুলছে আইডি । মজার ব্যাপার নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা কম বেশী করে বয়সও কমাচ্ছে তার আইডিতে । অন্যজন আবার পরের আইডি হ্যাক করে নিজের অপকর্ম চালিয়ে দিচ্ছেন অহ্নের ঘাড়ে । অনেকে আবার দামী দামী স্কুল / কলেজ / বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন বলে লিখছেন । কাউকেই আন্ডার ম্যাট্রিক পাওয়া যাচ্ছে না । এমনকি ৫ম শ্রেণিও পাওয়া যাচ্ছে না ।কেউ বিবাহিত হয়েও বলছে অবিবাহিত । কেউ দেশের একটি প্রতান্ত অঞ্চলে বাস করেও বলছে প্রবাসে আছি । জানিনা কেউ নিজের বাপ /মায়ের নাম অন্য দিয়ে আইডি খুলেছে কিনা ? এই যদি মুক্ত মত প্রকাশের প্লাটফর্ম বলে বিবেচিত হয় তাহলে তা কিভাবে মেনে নেয়া যায় । ফেসবুকে ছদ্ধ মেয়ের সংখা বেশী না ছদ্ধ ছেলের সংখা বেশী তার তথ্য কারো কাছে আছে কিনা জানিনা । ফেসবুকে নাকি কেউ কেউ পড়ে আছে নাওয়া / খওয়া ছেড়ে । এ এক ভয়ংকর নেশা । সার্বিক দিক দিয়ে বিবেচনা করলে দেখা যায় যে লেখালেখির সংখ্যার আইডি কম । অনেকেই মন্তব্য করতেই পছন্দ করেন সেই সাথে ব্যবসা / বাণিজ্যের প্রচারও বেশী । তবে সুন্দরী মেয়েদের ছবি হলে বা সেই ছবি যদি একটু খোলামেলা হয় । তাহলে পুরুষরা হুমড়ি খেয়ে পড়ছে মন্তব্য করতে আর পছন্দ করতে শীর্ষের তালিকায় থাকতে চাচ্ছেন । আবার কেউ ফেসবুকে পোস্ট বা লিংক করতে করতে কখন যে দোতলায় সিঁড়ি দিয়ে উঠতে গিয়ে কখন ছাদে উঠে গেছে তা বুঝতেই পারেনি । চিলেকোঠায় গিয়ে আর সিঁড়ির ধাপ না পেয়ে তাকিয়ে দেখে খোলা আকাসের খোলা ছাদ । পরে আবার নামছে নিচে সিঁড়ি দিয়ে । কখনো লিফটে উঠেও চলছে চ্যটিং । তা করতে করতে কখন যে লিফট চলে গেছে ২৪ তলায় তা বুঝতে পারেনি । আবার ৫ তলায় নামতে নামতে চলে এসেছে গ্রাউনড ফ্লোরে । এভাবে কয়েকবার উঠা / নামা করে শেষ পজন্ত গলা ধাক্ষা খাচ্ছে লিফট থেকে নামতে কেউ কেউ । অনেকে আবার হটাত করে ফেসবুক বব্ধ করে দিচ্ছে । আসছে নুতন নামে । কেউ আবার নেট স্লো হলে নানা অপারেটর বদলাচ্ছে নানা সময়ে । এম বি হটাত ফুরিয়ে গেলে হন্যে হয়ে খুজছে ইনটারনেট কিনতে । গভীর রাতে খুজছে ফ্লেক্সি আলাদের । রঙ রসের কথা বা ছবি লেনদেনের সময় যদি হটাত বিদ্যুৎ চলে যায় তখন মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে ফেস না থেকে । অন্যদিকে ফেসবুকের মাধ্যমে অনেক দিনের পুরাতন বন্ধু / আত্মীয়স্বজনদের / দূর দূরান্তের আত্মীয়স্বজন সহ বন্ধু বান্ধবীদের তাৎক্ষনিক ভাবে দেখা যাচ্ছে বা কথা হচ্ছে । আদান /প্রদান হচ্ছে সহজ ভাবে । সুতারাং ফেসবুক এক কথায় মানুষের জন্য উপকারিতার ভূমিকাই পালন করছে বলে মনে করি । যাকগে যে কথা বলতে আমি লিখা শুরু করেছিলাম সেই দিকে চলে আসি । তাহলো যার আমার ফেসবুকে বার্তায় কথা হচ্ছিলো তিনি একদিন বার্তায় বললেন যে সে ফেসবুকের বন্ধুদের বিশ্বাস করেন না । তিনি অবশ্য লিখে যাচ্ছেন ফেসবুকে নিয়মিত ভাবে । লিখাও খারাপ নয় । তার ফেসবুকে কোনও বন্ধু অ্যাড নেই কিন্তু অসংখ্য অনুসারী আছে । তিনি আবার নিজেকে ধর্ম ভীরু বলেও প্রকাশ করতে চান । কিন্তু তার আচরনে বা তার ছবি প্রদর্শনীতে তা মনে হয় না । তার লেখায় যে ধরনের অশ্লীল মন্তব্য অনুসারীরা করছে । আর সে তা হজম করে যাচ্ছে । তাতে মনে হোলও হায়রে ফেসবুকের বন্ধুহীন বন্ধুরা আমরা কার বা কাদের ফেসবুকের আইডিতে বন্ধু বা অনুসারী হয়ে আছি । আমার দৃষ্টিতে ফেসবুকে অল্প বিদ্দান হয়েও উচ্চ শিক্ষিত বনে যাওয়া যায় । তাই কখনো কখনো অল্প বিদ্যা ভয়ংকর বন্ধুরা ।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মে, ২০১৬ সকাল ১১:৫০