আদি থেকেই কথা আছে কুটুমদের কুটুম তালী করতে হয় । আমাদের দেশে কুটুমরা কুটুম তালী করতে সিজেনাল ফল / মুল এর সময় তা কুটুমদের পাঠিয়ে থাকে । তা কখনো বাজার থেকে কিনে বা নিজের গাছ থেকে পেড়ে পাঠানো হয় । পাঠাতে কেউ গাড়ী ব্যবহার করে কেউবা লোক পাঠিয়ে বা নিজে কিংবা কোরিয়ার মাধ্যমে পাঠান বা পাঠিয়ে থাকে । এই কুটুম তালী একটা দায়িত্ব পালনের কাজ বলে মনে করা যায় । যেমন বোনের বিয়ে হয়ে গেলে কুটুম তালীতা বেশী করতে হয় বা করে বোনের শ্বশুর বাড়ীর জন্য । কেউ আবার নিজের শ্বশুর বাড়ীতেও করে থাকে । কেউ আবার নূতন কুটুম দের ক্ষেত্রেও বেশী বেশী করে । কেউ কুটুম দের জন্য নানা রকমের শাঁক / সবজি সহ মাছ নিয়ে হাজির হয় কুটুম দের বাড়িতে । অনেকে আবার কুটুম বাড়ী জিনিষ পত্র নিয়ে গিয়ে যদি ভালো আদর / যত্ন না পায় । তাহলে বাড়ী ফিরে নানা রকম কুট উক্তি করে যে কুটুম বাড়ী গিয়েছিলাম ঠিকই কিন্তু আদর পেলাম না । কুটুম দের খাওয়া / দাওয়া নিয়েও রয়েছে নানা কথা । যেমন ভালো / মন্দ খাওয়া / দাওয়া আলাদা করে তুলে রাখা হয় । জামাইরা সে নুতন হউক আর পুরাতন হউক শ্বশুর বাড়ী গেলে ভালো ভালো খেতে চায় । আবার আদর / যত্নও বেশী বেশী আশা করে । আবার নুন / আনতে পান্তা ফুরালে নানা অভিমান বা অভিযোগ মুলক কথা তুলে ফেলে জামাইরা । অনেক ক্ষেত্রে বোন বাপের বাড়ী জামাইয়ের সাথে কখনো না গেলেও বাপের বাড়ি আগেই বলে দেয় যে , মা তোমার জামাই যাচ্ছে দেখো কোনও অযত্ন যেনও না হয় । কখনো দেখা যায় বউয়ের বাড়ীর লোক ভুল করে নানা দোষ হয় কিন্তু জামাইয়ের বাড়ীর লোক ভুল করলেও কোনও দোষ হয় না । কখনো কখনো অনেক কুটুম রা কুটুমের জন্য রান্না খাবার পাঠায় বা পাঠায়ে থাকে কিন্তু অনেক পরিবারই অহ্নের রান্না খাবার খেতে চায় না । তাই হয় ঐ খাবার বাড়ীর চাকর / বাকর খায় কিংবা ফেলে দেয় কিংবা রান্নার নানা খুত ধরা হয় । কোনও কোনও জামাইরা শ্বশুর বাড়ীর যাবতীয় দায়িত্ব পালন করে থাকে মুক্ত হস্তে কিন্তু অনেক জামাইরা আবার বুড়া হোলেও জামাই আদর এখনো আশা করে শ্বশুর বাড়ী থেকে । অনেক দুলাভাই আবার শ্বশুর বাড়ী পছন্দ করে না কিন্তু শ্যালিকাদের খুব পছন্দ করে । কেউ আবার শ্যালকদেরও পছন্দ করে । কিন্তু দেবর / ভাবী / ননদ ভাবী / বউ / ঝি / বউ শাশুড়ি / বিয়াই / বিয়ান ও শ্যালক / শ্যালিকা নিয়ে কুটুম তালির তালিকায় রয়েছে নানা কথা নানা বিবাদ ।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মে, ২০১৬ রাত ১১:৩০