somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ছবির ব্লগ: ঢাকা শহরের পুরানো কিছু ছবি (১৮৭০-১৮৮০) (রেয়ার কালেকশন) পার্ট-১

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
নারিন্দা সিমেট্রি, ১৮৭০


নারিন্দা সিমেট্রি- ১৮৭০। এর ফটোগ্রাফারের নাম জানা যায় নি। এখানে বাম দিকে একটি প্রবেশদ্বার দেখানো হয়েছে, যার আর্চের ধরণ অনেকটা মোঘল স্টাইলের এবং ডান দিকে ইন্দো-গোথিক স্টাইলের সমাধি সৌধ লক্ষ করা যায়।

পাগলা পুলের ধ্বংসাবশেষ, ১৮৭০


পাগলা পুলের ধ্বংসাবশেষ: এটি ঢাকা হতে ৫ মাই দুরে অবস্থিত। ছবিটি ১৮৭০ সালে তোলা হয়েছিল তবে এর ফটোগ্রাফারের নাম জানা যায় নি। এটি নির্মিত হয়েছিল ১৭ শতকে, যখন ঢাকা মোঘলদের অধীনে ছিল। মোঘল শাসকগণ ঢাকায় অনেক পুল (ব্রীজ) নির্মান করেছিল, এটি ছিল সেগুলোর মধ্যে অন্যতম। আবহাওয়া বা পরিবেশ গত কারণে এই ব্রীজের গুলোর অধিকাংশই ধ্বংস হয়ে যায়।

পানাম নগরী, সোনারগাঁও, ১৮৭০


পানাম নগরীর (সোনারগাঁও) রাস্তা । এই ছবিটি তোলা হয়েছিল ১৮৭০ সালে, এর চিত্রগ্রাহক সম্পর্কেও জানা যায় নি। ১৬০৮ সাল পর্যন্ত সোনারগাঁও পূর্ব বাংলার রাজধানী ছিল। মোঘল সুবাদার ইসলাম খান ১৬১০ সালে সোনারগাঁও হতে রাজধানী ঢাকাতে স্থানান্তরিত করেন।

ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর কুটি, ১৮৭২


এই ছবিটি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর কুটির একটি ছবি। এই কুটিটি সোনারগাঁও এর পানামে অবস্থিত। ছবিটি ১৮৭২ সালে তোলা হয়েছে। এর চিত্রগ্রাহক W. Brennand ছবিটি বর্তমানে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়র কাছে সংরক্ষিত রয়েছ্ । সোনারগাঁও একসময় মসলিনের জন্য বিখ্যাত ছিল, এই কারণে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী এখানে একটি কুটি স্থাপন করেন। জেমস্ ওয়াইজের বর্ণনায়ও এই কুটির কথা উল্লেখ রয়েছে।

রমনা গেইট থেকে রেসকোর্স ( এটি এখন সহরোয়ার্দী উদ্দান নামে পরিচিত।), ১৮৭০


রমনা গেইট থেকে রেসকোর্স শিরোনামের ছবিটি তোলা হয়েছিল ১৮৭০ সালে। এর চিত্রগ্রাহক সম্পর্কে জানা যায় নি। ছবিটিতে কয়েক হাতি দেখা যাচ্ছে।

মিল বিল্ডিং, গেন্ডারিয়া, ১৮৭০


গেন্ডারিয়ার মিল বিল্ডিং এর এই ছবিটি ১৮৭০ সালে তোলা হয়েছে এবং এর চিত্র গ্রাহক সম্পর্কেও জানা যায় নি।

নারিন্দা খ্রিষ্টান সিমেট্রি, ১৮৭০


নারিন্দার খ্রিষ্টান সিমেট্রির এই ছবিটি তোলা হয়েছে ১৮৭০ সালে। এর চিত্র গ্রাহক কে তা জানা যায় নি। এখানে সমাধি সৌধের নাম ফলকের পাথর দেখানো হয়েছে।

ময়ূরপঙ্খী খালের উপর নির্মিত একটি ব্রিজ, ১৮৭০


সোনারগাঁয়ের ময়ূরপঙ্খী খালের উপর নির্মিত একটি ব্রিজের ছবি। ছিবিটি ১৮৭০ সালে তোলা, এর চিত্রগ্রাহক সম্পর্কে তেমন কিছু জানা যায় নি। এই ব্রিজের অবস্থান সম্পর্কে বিতর্ক রয়েছে। অনেকে মনে করেন এটি ঢাকার কোন এক খালের উপর নির্মিত ছিল, আবার অনেকে মনে করেন এটি সোনারগাঁয়ে নির্মিত ছিল। তবে অধিকাংই মনে করেন এটি সোনারগাঁয়ের ময়ূর পঙ্খী খালের উপর নির্মিত । তবে এই ব্রিজটির অবস্থান কোথায় তা এখনো সনাক্ত করা যায় নি।

ঢাকার টঙ্গীর লোহার পুল, ১৮৮০


টঙ্গীর লোহার পুলের এই ছবিটি নেয়া হয়েছে Johnston ও Hoffman এর আর্কিটেক্চারাল ভিউ অব ঢাকা নামক একটি বই থেকে । এই ছবিটি ১৮৮০ সালে তোলা।

ঢাকার সাসপেন্সন ব্রিজ, ১৮৮০


সাসপেন্সন ব্রিজের এই ছবিটিও নেয়া হয়েছে আর্কিটেক্চারাল ভিউ অব ঢাকা গ্রন্থ থেকে । এই ব্রিজটি নির্মিত হয়েছিল ১৮৩০ সালে এবং এই ছবিটি তোলা হয় ১৮৮০ সালে।

হিন্দু মন্দির, ১৮৮০



ঢাকার কাছাকাছি কোন এক স্থানের ছবি।১৮৮০



মাহামুদ মসজিদ, ১৮৮০


মাহামুদ মসজিদ, ১৮৮০ সালের তোলা একটি ছবি। এই ছবিটি সংগ্রহ করা হয়েছে আর্কিটেক্চারাল ভিউ অব ঢাকা ১৩ তম সংস্করণ থেকে।

দিলখুশা আনন্দ ভবন, ১৮৮০


আর্কিটেক্চারাল ভিউ অব ঢাকা গ্রন্থের ১৩ তম সংষ্করণ থেকে এই ছবিটি নেয়া হয়েছে। ছবিটি ১৮৮০ সালে তোলা।

বুড়িগঙ্গা নদী, ১৮৮০


ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদী । ছবিটি ১৮৮০ সালে তোলা, আর্কিটেক্চারাল ভিউ অব ঢাকা থেকে নেয়া হয়েছে। ছবিতে নদী তীরবর্তী একটি হিন্দু মন্দির দেখা যাচ্ছে।

ঢাকার লালবাগ কেল্লা , ১৮৮০


ঢাকার লালবাগ কেল্লার এই ছবিটি ১৮৮০ সালে তোলা । এই ছবিটিও নেয়া হয়েছে আর্কিটেক্চারাল ভিউ অব ঢাকা থেকে। এখানে পরীবিবির সমাধি সৌধ দেখা যাচ্ছে।

চক বাজার, ১৮৮০


ঢাকার চক বাজারের এই ছবিটি ১৮৮০ সালে তোল এবং এই ছবিটি নেয়া হয়েছে আর্কিটেক্চারাল ভিউ অব ঢাকা গ্রন্থ থেকে। এই ছবিটি ব্রিটিশ ঢাকার বাজার এলাকার চিত্রকে প্রতিনিধিত্ব করে।

ঢাকার টঙ্গীর একটি ব্রিজের ধ্বংসাবশেষ, ১৮৮০


এটি একটি ব্রিজের ধ্বংসাবশেষ। এটি লোহার পুলের পাশে অবস্থিত ছিল। ছবিতে লোহার পুলও দেখা যাচ্ছে। এই ছবিটি একতে ব্রিজের কয়েকটি ভাঙ্গা পিলার দেখা যাচ্ছে। ছবিটি আর্কিটেক্চারাল ভিউ অব ঢাকা থেকে নেয়া হয়েছে। ছবিটি ১৮৮০ সালে তোলা হয়েছে।

ঢাকা কলেজ ও কোর্ট ভবন, ১৮৭০


ছবিটির বাম পাশের ভবন টি ঢাকা কলেজের (পুরাতন) এবং ডান পাশের ভবন টি কোর্ট ভবন (পুরাতন) । ছবিটি ১৮৭০ সালে তোলা। এই দুইটি ভবনই ১৯৮৫ সালে ভেঙ্গে ফেলা হয়।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৩২
৩৬টি মন্তব্য ১৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পিরিতের সংস্কৃতিওয়ালা তুমি মুলা’র দিনে আইলা না

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:৫৬


---- আমাদের দেশে ভাষা, সংস্কৃতি এবং সামাজিক সমুন্নয়ন তলানিতে। তেমন কোন সংস্কৃতিবান নেই, শিরদাঁড়া সোজা তেমন মানুষ নেই। সংস্কৃতির বড় দান হলো ভয়শূন্য ও বিশুদ্ধ আত্মা। যিনি মানবের স্খলনে, যেকোন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসরায়েল

লিখেছেন সাইফুলসাইফসাই, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৪৮

ইসরায়েল
সাইফুল ইসলাম সাঈফ

এ মাকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ বাবাকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
নিরীহ শিশুদের হত্যা করেছে ইসরায়েল
এই বৃ্দ্ধ-বৃদ্ধাদের হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ ভাইক হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ বোনকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
তারা মানুষ, এরাও মানুষ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

গ্রামের রঙিন চাঁদ

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১২


গ্রামের ছায়া মায়া আদর সোহাগ
এক কুয়া জল বির্সজন দিয়ে আবার
ফিরলাম ইট পাথর শহরে কিন্তু দূরত্বের
চাঁদটা সঙ্গেই রইল- যত স্মৃতি অমলিন;
সোনালি সূর্যের সাথে শুধু কথাকোপন
গ্রাম আর শহরের ধূলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১৭



পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের ধ্বংসাবশেষঃ
পালবংশের দ্বিতীয় রাজা শ্রী ধর্মপালদেব অষ্টম শতকের শেষের দিকে বা নবম শতকে এই বিহার তৈরি করছিলেন।১৮৭৯ সালে স্যার কানিংহাম এই বিশাল কীর্তি আবিষ্কার করেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরবাসী ঈদ

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:২৩

আমার বাচ্চারা সকাল থেকেই আনন্দে আত্মহারা। আজ "ঈদ!" ঈদের আনন্দের চাইতে বড় আনন্দ হচ্ছে ওদেরকে স্কুলে যেতে হচ্ছে না। সপ্তাহের মাঝে ঈদ হলে এই একটা সুবিধা ওরা পায়, বাড়তি ছুটি!... ...বাকিটুকু পড়ুন

×