somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কানার ঘ্রাণশক্তি =p~ =p~ =p~ =p~ :-P :-P :-P :-P (হালকা ১৮+)

৩১ শে জুলাই, ২০১১ বিকাল ৪:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এক অন্ধ লোক আসলো এক হোটেলে খাবার খেতে।
ওয়েটার, যে কিনা হোটেলটার মালিকও, এসে অন্ধ লোকটাকে মেন্যুটা বাড়িয়ে দিল।

“দুঃখিত জনাব।”, বললো অন্ধ লোকটা। “আমি চোখে দেখতে পাইনা। তাই আপনার মেন্যুতে কি আছে সেটা আমার পক্ষে দেখা সম্ভব না।”

“ওহহো, আমি দুঃখিত।”, বললো মালিক। “তো আপনার অর্ডার আমি কিভাবে নেব।”

“আপনি এক কাজ করুন”, অন্য কোন কাস্টমারের ব্যবহৃত একটা চামচ নিয়ে আসুন। আমি সেটার গন্ধ শুঁকে বলে দিতে পারবো খাবারটা কী। তারপর আপনাকে জানাব, সেটা আমি খাব কিনা।”

হোটেলের মালিক এমন নতুন ধরণের কৌশলে একটু অবাক হল। সে গিয়ে পূর্বতন কাস্টমারের ব্যবহৃত একটা তেল চিটচিটে কাঁটাচামচ এনে লোকটাকে দিল। অন্ধ লোকটা সেটা নাকের কাছে নিয়ে কুকুরের মত কিছুক্ষণ শুঁকে বললো, “আহ, মনে হচ্ছে গরুর সিনার গোশত দিয়ে মাসকলাইর ডাল। আমার খুব পেয়ারের খানা। নিয়ে আসেন, এটাই চলবে।”

অন্ধ লোকটার ঘ্রাণশক্তির কারিশমা দেখে মালিক অবাক হল ভীষণ। তাকে খাবারদাবার রেডি করে দিয়ে হোটেলের মালিক গেল রসুইঘরের দিকে। সেখানকার প্রধান রাঁধুনী তার স্ত্রী আলেয়া। আলেয়াকে পুরো কাহিনীটা সবিস্তারে খুলে বললো সে। ওদিকে লোকটা খানাদানা শেষ করে বিল মিটিয়ে বিদায় হল।

কয়েক হপ্তা পর সেই হোটেলে আবার এল লোকটা। ওয়েটার-কাম-মালিক তাকে মেন্যুটা আবার বাড়িয়ে দিল। অন্ধলোকটা বললো, “দেখুন, আপনি হয়তো ভুলে গেছেন আমার কথা। আমি কিছুদিন আগেও এ হোটেলে এসেছি। আমি আসলে চোখে দেখতে পাইনা। মেন্যু দিয়ে তাই কোন লাভ নেই।”

“ওহহো” বললো মালিক। “আপনাকে প্রথমে চিনতে না পারার জন্য দুঃখিত। তো, আমি কি এখন একটা ব্যবহৃত চামচ নিয়ে আসবো?”

“নিয়ে আসুন”, অন্ধ লোকটা বললো।

মালিক গেল আবার ধৌতঘরে। সেখান থেকে বেজায় হলদেটে একটা চামচ নিয়ে অন্ধলোকটাকে দিল। অন্ধ লোকটা প্রথমে একেবারে বন্য শৃগালের মত সেটা শুঁকে দেখলো। তারপর উৎফুল্ল কণ্ঠে বললো, “আরে এযে দেখি কচুর লতি দিয়ে পাঠার পাছার মাংস। আমার খুব- খুউব ফেভারিট। তাড়াতাড়ি নিয়ে আসেন দেখি, চেটেপুটে খাই।”

এবারও মালিক চমৎকৃত হলো। তবে তার মনে খটকা লাগলো যে লোকটা বোধয় ফাও ভাব নেয়ার জন্য এমনটা করছে, আসলে সে অন্ধ না। সে ব্যাপারটা তার বউ আলেয়াকে বললো, এবং তাকে জানিয়ে রাখলো যে পরেরবার কানাটা এলে তাকে ভালোমত যাচাই করে দেখবে।

সপ্তাহকাল পরেই অন্ধলোকটা আবার সেই হোটেলে এলো খেতে। আসার পথেই হোটেলের মালিক তাকে দূর থেকে দেখলো, তাই সে একটা চামচ নিয়ে ভোঁ দৌড়ে গেল তার বউয়ের কাছে। গিয়ে আলেয়ার কানে কানে তার কষে রাখা কুপরিকল্পনাটা উগরে দিল।

আলেয়া প্রথমে একটু গাঁইগুঁই করলেও স্বামীর একান্ত অনুরোধের মুখে ঠিকই শেষপর্যন্ত ঢেঁকিটা গিলতে বাধ্য হল। সে তার স্বামীর কাছ থেকে চামচটা নিল। অন্যহাতে তার সেলোয়ারের বাঁধনটা টেনে খুললো…।

অন্ধলোকটা সিটে এসে বসলো। তৎক্ষণাৎ হোটেলের মালিক সেই বিশেষ চামচটা নিয়ে লোকটার সামনে হাজির হয়ে বললো, “শুভসন্ধ্যা জনাব! আমি আপনার জন্য ইতোমধ্যেই একটা চামচ রেডি করে রেখেছি।”

“হে হে, চামচটা তাহলে তাড়াতাড়ি দিন।”, বললো অন্ধলোকটা।

চামচটা হাতে পাওয়া মাত্রই অন্ধলোকটা সেটাকে বুনো নেকড়ের মতো শুঁকতে থাকলো। নাসাছিদ্রকে এগিয়ে নিয়ে ভালোমত চামচের আগার উপর বিচরণ করলো সে। হোটেল মালিককে অবাক করে দিয়ে লোকটা চামচের আগায় তার জিহ্বার ডগাও ছোঁয়ালো বারদুয়েক। পুঙ্খানুপুঙ্খ নিরীক্ষণ শেষে হঠাৎ অন্ধ লোকটা বলে উঠলো, “তার্মায়রেবাপ!! আলেয়া যে এইখানে কাজ করে সেটাতো আগে জানতাম না!!”
১৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কম্বলটা যেনো উষ্ণ হায়

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৭


এখন কবিতার সময় কঠিন মুহূর্ত-
এতো কবিতা এসে ছুঁয়ে যায় যায় ভাব
তবু কবির অনুরাগ বড়- কঠিন চোখ;
কলম খাতাতে আলিঙ্গন শোকাহত-
জল শূন্য উঠন বরাবর স্মৃতির রাস্তায়
বাঁধ ভেঙ্গে হেসে ওঠে, আলোকিত সূর্য;
অথচ শীতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

'জুলাই যোদ্ধারা' কার বিপক্ষে যুদ্ধ করলো, হ্তাহতের পরিমাণ কত?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৫১



সর্বশেষ আমেরিকান ক্যু'কে অনেক ব্লগার "জুলাই বিপ্লব" ও তাতে যারা যুদ্ধ করেছে, তাদেরকে "জুলাই যোদ্ধা" ডাকছে; জুলাই যোদ্ধাদের প্রতিপক্ষ ছিলো পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, ছাত্রলীগ; জুলাই বিপ্লবে টোটেল হতাহতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×