somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অনেক কথা এলোমেলো মনে হল

১৪ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ১১:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



ছেলেটা: কেমন কাটালে এ কটা দিন? কি করলে? কোথায় কোথায় ঘুরলে?

মেয়েটা: অনেক অনেক ভালো কাটিয়েছি। সত্যি মন ভাল করে দেবার মত একটা জায়গা বান্দরবান। নাম টা শুনে কখনই ধারনা করা যাবেনা বিধাতার এই অপুর্ব সৃস্টিকে। যেন বিধাতা ছবি এঁকেছেন বসে বসে।এত সুন্দর একটা জায়গা বোধ হয় বাংলাদেশের কোথাও নেই! এই ঝড় জল উপেক্ষা করে বান্দরবান যাওয়াটা সফল হল আমার সে নৈসর্গিক সৌন্দর্য দেখে। পৌছুতে রাত ১২ টা বেজেছিলো , ভোর হতে যখন জানালার পর্দাটা সরালাম। জানালার পর্দা সরাতেই যেন চোখের সামনে ফুটে উঠলো যেন ক্যানভাসে আঁকা কোনো এক ছবি! ত্রিভুজাকৃতি পাহাড়ের পর পাহাড়, মাঝখানে ছোট জলাশয়, একধারে আঁকাবাঁকা রাস্তা চলে গেছে। সেসব দৃশ্য দেখেমাত্র আমি কি করেছি জানো? সেই সাত সকালেই ছবি আঁকতে বসে গেলাম রেস্ট হাউজের বারান্দায়। শুধুই পেনসিল স্কেচ। যেন ভুলে না যাই কোনোদিন।

ছেলেটা: পেনসিল স্কেচটা আমাকে দিয়ে দিও। আমি বাঁধিয়ে রাখবো আমার ঘরের দেয়ালে।

মেয়েটা: আচছা । তাই হবে। তোমাকে ছাড়া আর কাকে দেবো আমি?

ছেলেটা : ঠিক তো ? ভুলে যেওনা যেন? আর কাউকে দিয়ে দিয়োনা আবার?

মেয়েটা: হুম ! নানা তাই হবে।
এ্যাই শুনোনা। আমরা ওখান থেকে কি করলাম জানো? চিম্বুক পাহাড় ছাড়িয়ে নিলগিরিতে গিয়েছিলাম। নিলগিরির উচ্চতাটা চিম্বুকের চাইতেও বেশি জানো তো?

ছেলেটা: হাহাহাহা ! জানি বাবা । মায়ের কাছে মাসির বাড়ির গল্প! ভুলে যাও কেনো আমি ঐ পাহাড়ের ই ছেলে? ছোট থেকে পাহাড়ের কোলেই বড় হয়েছি।

মেয়েটা: আচছা বাবা হয়েছে। তুমি আমার গল্প শুনো, তোমার গল্প শুনতে চাইনি।

ছেলেটা: ওকে তুমি বলো।

মেয়েটা: জানো? এত্ত মেঘ ছিলো আর এত ঠান্ডা ঐ নিলগিরীর চুড়ায়। কিন্তু পাহাড়ের আঁকাবাঁকা পথে যখন গাড়ি ছুটছিলো। আঁকাবাঁকা ঐ বিপদসংকুল রাস্তা দেখে অনেকেই ভয় পাচ্ছিলো। নানা রকম বিপদের কথাও বলছিলো। আমার কিন্তু একটা কথাই মনে হচ্ছিলো শুধু , লুকি্য়ে থাকার জন্য বান্দারবান খুবই ভালো একটা জায়গা।আমার ভাবনায় শুধু ছিলে তুমি।ভাবছিলাম সবাইকে ছেড়ে যদি চলে আসা যেত এই গহীন বনে। কোথাও কেউ নেই ! কেউ নেই চেনা পরিচিত একজনও। বাঁধা দেবারও কেউ নেই। শুধুই তুমি আর আমি।কারু কখনও কোনো সাধ্যি ছিলোনা আমাদেরকে খুঁজে পাবার। হাহাহাহা কি পাগলামি চি্ন্তা!!! চিন্তা করে দেখো!!!

ছেলেটা: হুম!! আসলেই লুকিয়ে থাকার মত জায়গা বটে। জানো চিম্বুক পাহাড়ের উপরের রেস্ট হাউজটা আমাকে ডিজাইন করতে দেওয়া হয়েছিলো।আমি অনেক দিন সময় নিয়েও কিছুই ঠিক করতে পারলাম না। মনে হচ্ছিলো, যাই করবো জায়গাটাকেই স্পয়েল করা হবে! সাইট ও দেখতে গিয়েছিলাম তারপরে আর করা হলনা।

মেয়েটা: জানো এত বড় একটা টিমের সাথে থাকার পরেও, সবার মাঝে থেকেও আমি মনে মনে উড়ে চলেছিলাম অজানা কোনো এক দেশে।মাঝে মাঝে আমি কবি হয়ে যাই, তাই তো মন মোর মেঘেরও সংগি হয়ে উড়ে চলেছিলো দিক দিগন্তের পানে।
মাঝে মাঝে যখন একা থাকি, মনে পড়ে যায়, একদিন অনেক দুরে চলে যেতে হবে আমাকে। ইচ্ছে করেনা একদম জানো?

ছেলেটা: আবার ও শুরু করলে? একটা দিন দুরেই তো ছিলে। কত দূরে যেতে পেরেছো? আদৌ কি আমার থেকে দূরে ছিলে? সারাটা সময় কি বুকের ভিতরে ছিলাম না আমি ?

মেয়েটা: এ্যাই.........

ছেলেটা: কি? কখখনো এসব ভাববে না তুমি। কখনো এমন করে বলবেও না। তোমাকে আমি হারাতে পারবোনা।
থাক সেসব কথা।

তুমি এলে , অনেক দিনের পরে যেন বৃস্টি এলো।




সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:২২
১৭টি মন্তব্য ১৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=হিংসা যে পুষো মনে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৮


হাদী হাদী করে সবাই- ভালোবাসে হাদীরে,
হিংসায় পুড়ো - কোন গাধা গাধিরে,
জ্বলে পুড়ে ছাই হও, বল হাদী কেডা রে,
হাদী ছিল যোদ্ধা, সাহসী বেডা রে।

কত কও বদনাম, হাদী নাকি জঙ্গি,
ভেংচিয়ে রাগ মুখে,... ...বাকিটুকু পড়ুন

গণমাধ্যম আক্রমণ: হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিলেন নূরুল কবীর ও নাহিদ ইসলাম !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:০৫


জুলাই গণঅভ্যুত্থানের রক্তস্নাত পথ পেরিয়ে আমরা যে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলাম, সাম্প্রতিক মব ভায়োলেন্স এবং গণমাধ্যমের ওপর আক্রমণ সেই স্বপ্নকে এক গভীর সংকটের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। নিউ এজ... ...বাকিটুকু পড়ুন

রিকশাওয়ালাদের দেশে রাজনীতি

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৪৯

রিকশাওয়ালাদের দেশে রাজনীতি

সবাই যখন ওসমান হাদিকে নিয়ে রিকশাওয়ালাদের মহাকাব্য শেয়ার করছে, তখন ভাবলাম—আমার অভিজ্ঞতাটাও দলিল হিসেবে রেখে যাই। ভবিষ্যতে কেউ যদি জানতে চায়, এই দেশটা কীভাবে চলে—তখন কাজে লাগবে।

রিকশায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিএনপিকেই নির্ধারণ করতে হবে তারা কোন পথে হাটবে?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:০৫




অতি সাম্প্রতিক সময়ে তারেক রহমানের বক্তব্য ও বিএনপির অন্যান্য নেতাদের বক্তব্যের মধ্যে ইদানীং আওয়ামীসুরের অনুরণন পরিলক্ষিত হচ্ছে। বিএনপি এখন জামাতের মধ্যে ৭১ এর অপকর্ম খুঁজে পাচ্ছে! বিএনপি যখন জোট... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় আগ্রাসনবিরোধী বিপ্লবীর মৃত্যু নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৭



শরিফ ওসমান হাদি। তার হাদির অবশ্য মৃত্যুভয় ছিল না। তিনি বিভিন্ন সভা-সমাবেশ, আলোচনা ও সাক্ষাৎকারে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি অনেকবার তার অস্বাভাবিক মৃত্যুর কথা বলেছেন। আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও ভারতবিরোধী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×