somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কোথায় চলেছে প্রাণপ্রিয় শান্তির স্বদেশভূমি!!

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আজ সন্ধ্যায় যখন থানা থেকে ৫০গজ দুরত্বে একে একে ৫টি শক্তিশালী ককটেল বিস্ফোরনে পুরো এলাকা প্রকম্পিত হলো, আমি ঠিক তখন তার ১০গজ আগে ফুটপাথ ধরে বাসায় ফেরার পথযাত্রী। পিছনে থানার দিকে তাকিয়ে দেখলাম স্ট্যাচুয়ের মত পুলিশদের ভাবলেশহীন মুখচ্ছবি। যেখানে কিছুদিন আগেও যে কোন ত্রাসসৃষ্টিকারী কর্মযজ্ঞের বিরূদ্ধে পুলিশ বাহিনীর কর্মতৎপরতা ইতিবাচক ছিল সেখানে তাদের এমন নির্লিপ্ততা দেখে নিজেকে কোন ভাবেই নিরাপদ করছি না। যে সরকার একান্ত নিজেদের প্রয়োজনে কৌশলগত কারনে পুলিশ বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ করে, আপাত দৃষ্টিতে আমার কাছে মনে হয় সে সরকার জনগণের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। এই ব্যর্থতার বিপরীতে বেড়ে উঠছে ত্রাস কিংবা সন্ত্রাসের বীজমূল। সম্ভবত সে কারনেই হরতালের দিনে ৪/৫ বছরের ছিন্নমূল ৩ ফুট উচ্চতার শিশু ৪ ফুট লম্বা লাঠি নিয়ে ইদানিং ভ্যান/রিক্সা/সাইকেল অবলিলায় ভাংচুর করতে দেখি, কাঁচামাল ভর্তি ভ্যানের চাকার বাতাস ছেড়ে দিয়ে মজা পেতে দেখি। ব্যক্তিগত ভাবে আমি যে কোন পার্টির 'হরতাল' নামের অপকর্মকান্ডকে 'জনদুর্ভোগ' নামে ডাকি কেননা দেশ ও জনগণকে উদ্ধারের নামে যারা পলিটিক্স করেন তাদের সিংহভাগকেই আমাদের মত খেটেখুটে/চাকরী-বাকরী/ব্যবসা-বাণিজ্য করে খেতে হয় না। যেকোন ক্ষমতালোভী পলিটিক্যাল পার্টির নেতা থেকে কর্মীকে সরাসরি কিছু না করলেও চলে, শ্রমজীবি/কর্মজীবি মানুষদের ঘাম ঝরানো পয়সার প্রকারান্তে বৈধ/অবৈধ পার্সেন্টেজে তাদের চা-পান-পানি-পানিয়/ ঘর-সংসার/ রাজনীতি চলে। রাজনীতির নিন্দুকেরা একে পেটনীতিও বলে। এই পেটনীতিই (আকারে/প্রকারে বিভিন্নতা সহ) গ্রাস করছে পুরো দেশ,সমাজ ও জাতিকে।
আপনি যে দলের সমর্থক/অন্ধসমর্থক হোন না কেন আপাতাত আপনার কাছে একটা অনুরোধ, একট মিনিট নিরবতা নিয়ে ভাবুন - আপনার দলের রাজনীতিতে কতটুকু নীতি আছে? আপনার দল নাগরিক হিসেবে আপনাকে (ক্ষমতায় থেকে এবং না থেকে) কী দিচ্ছে? কোথায় চলেছে প্রাণপ্রিয় শান্তির স্বদেশভূমি!!
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×