ঈদের মাঠে বা সাংগাঠনিক মঞ্চেই শুধু মনে হয় বগুড়ায় জন প্রতিনিধি আছে। কারন মাইকটা তাদের হস্তগত থাকে। অন্যথায় মনে হয় এতিম একটা শহর।
ডিসির/এসপির বাংলো + পৌর মেয়রের বাসার এলাকা + জলেশ্বরীতলা ছাড়া পুরো শহরটাই আবর্জনার ভাগার, রাস্তাঘাট গর্তে ভরা, এমনকি ১০ মিনিটের বৃষ্টিতে কোথায় ড্রেন কোথায় রাস্তা বোঝা মুশকিল। সব তলিয়ে যায়। ৯০% ড্রেন ময়লায় ঠাসা। পরিষ্কার করে নাম মাত্র, তাও খুব রেয়ার। ৫ফুট গভীর ড্রেন কাদায় ঠাসা। ওপর থেকে পলিথিন কিছু তুলে কাজ খতম।
কনজারভেন্সী অফিসার সারা বছর কি করে আমি বুঝিনা। ইঞ্জিনিয়াররা কোন ব্রান্ডের সরিষার তেল ব্যবহার করে জানলে খুব ভাল হত। ডাক্তার বলছে আমার অন্তত ৬ ঘন্টা ঘুমান দরকার। আমিও সে তেল নাকে মাখতে চাই।
শুনেছি এখন কোন স্থাপনার নকশা পাশ হয়না ১০ হাজারের নিচে। এলাকাবাসীর আবেদনেও কোন পরিচ্ছন্ন অভিজানের কাজ হয় না যদি না ওয়ার্ড কমিশানের ফায়দা থাকে।
কিছুদিন আগে তুফান মিডিয়ার দৃষ্টি কেরেছিল। সেটা থেমে গেছে। এখনও শহরে ব্যাটারী রিক্সা, অটো রিক্সা, নাম্বার ছাড়া সিএনজি চলে। সাতমাথা, চামাড়া পট্টি, বাদুড়তলা, নামাজগড়, সবুজবাগ সহ ৭০% এলাকা পানিতে ডুবে থাকে। সুয়ারেজের পানি আর বৃষ্টির পানির মাখামাখিতে ভয়ঙ্কর অবস্থা।
ভোট নেবার সময় কত আকুতি মিনতি, ভোট মারার সময় কত সিস্টেম, কিন্তু ভোট হয়ে গেলে যে লাউ সেই কদু। নদী ভরাট, ভিআইপি দের দূষণ কে পাত্তা না দেয়া, মাদকের ছড়াছড়ি, রাস্তা ঘাট সংস্কার না করা... আর কত লেখা যায়?
আমি বুঝিনা, কেন পৌর মেয়র লোক সঙ্কটের অজুহাত টানেন ? যেখানে যত ঘনবসতি যেখানে যত ভোটার সে অনুপাতে পৌরসভাকে সাবলম্বী হতে হবে। ট্যাক্স উঠছে সেটা তো পকেটে ঢুকানোর জন্যে না, জনগনের সেবায় ব্যয় করার জন্যে।
উন্নয়নে বরাদ্দকৃত টাকা কেন ফেরত যাবে? নিজ শহরের দীর্ঘমেয়োদী পরিকল্পনা কেন থাকবে না, থাকলেও তা কেন বাস্তবায়ন হবে না? জবাব দিহিতা নেই কেন?
মিডিয়া কই? মিডিয়া চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় না কেন? নাকি তাদেরও ঘুষ দরকার ? আফসোস, ১৫ বছর আগের বগুড়ার তুলনায় আজকের বগুড়া সত্যিই হাড়গিলা হয়ে গেছে... এতিম বা তারওচেয়েও নিচু স্তরের...
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২৭