somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এতিম শহর বগুড়া, অবিভাবকশূন্য বললে একটু ভাল শোনায়...

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ঈদের মাঠে বা সাংগাঠনিক মঞ্চেই শুধু মনে হয় বগুড়ায় জন প্রতিনিধি আছে। কারন মাইকটা তাদের হস্তগত থাকে। অন্যথায় মনে হয় এতিম একটা শহর।

ডিসির/এসপির বাংলো + পৌর মেয়রের বাসার এলাকা + জলেশ্বরীতলা ছাড়া পুরো শহরটাই আবর্জনার ভাগার, রাস্তাঘাট গর্তে ভরা, এমনকি ১০ মিনিটের বৃষ্টিতে কোথায় ড্রেন কোথায় রাস্তা বোঝা মুশকিল। সব তলিয়ে যায়। ৯০% ড্রেন ময়লায় ঠাসা। পরিষ্কার করে নাম মাত্র, তাও খুব রেয়ার। ৫ফুট গভীর ড্রেন কাদায় ঠাসা। ওপর থেকে পলিথিন কিছু তুলে কাজ খতম।

কনজারভেন্সী অফিসার সারা বছর কি করে আমি বুঝিনা। ইঞ্জিনিয়াররা কোন ব্রান্ডের সরিষার তেল ব্যবহার করে জানলে খুব ভাল হত। ডাক্তার বলছে আমার অন্তত ৬ ঘন্টা ঘুমান দরকার। আমিও সে তেল নাকে মাখতে চাই।

শুনেছি এখন কোন স্থাপনার নকশা পাশ হয়না ১০ হাজারের নিচে। এলাকাবাসীর আবেদনেও কোন পরিচ্ছন্ন অভিজানের কাজ হয় না যদি না ওয়ার্ড কমিশানের ফায়দা থাকে।

কিছুদিন আগে তুফান মিডিয়ার দৃষ্টি কেরেছিল। সেটা থেমে গেছে। এখনও শহরে ব্যাটারী রিক্সা, অটো রিক্সা, নাম্বার ছাড়া সিএনজি চলে। সাতমাথা, চামাড়া পট্টি, বাদুড়তলা, নামাজগড়, সবুজবাগ সহ ৭০% এলাকা পানিতে ডুবে থাকে। সুয়ারেজের পানি আর বৃষ্টির পানির মাখামাখিতে ভয়ঙ্কর অবস্থা।

ভোট নেবার সময় কত আকুতি মিনতি, ভোট মারার সময় কত সিস্টেম, কিন্তু ভোট হয়ে গেলে যে লাউ সেই কদু। নদী ভরাট, ভিআইপি দের দূষণ কে পাত্তা না দেয়া, মাদকের ছড়াছড়ি, রাস্তা ঘাট সংস্কার না করা... আর কত লেখা যায়?

আমি বুঝিনা, কেন পৌর মেয়র লোক সঙ্কটের অজুহাত টানেন ? যেখানে যত ঘনবসতি যেখানে যত ভোটার সে অনুপাতে পৌরসভাকে সাবলম্বী হতে হবে। ট্যাক্স উঠছে সেটা তো পকেটে ঢুকানোর জন্যে না, জনগনের সেবায় ব্যয় করার জন্যে।

উন্নয়নে বরাদ্দকৃত টাকা কেন ফেরত যাবে? নিজ শহরের দীর্ঘমেয়োদী পরিকল্পনা কেন থাকবে না, থাকলেও তা কেন বাস্তবায়ন হবে না? জবাব দিহিতা নেই কেন?

মিডিয়া কই? মিডিয়া চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় না কেন? নাকি তাদেরও ঘুষ দরকার ? আফসোস, ১৫ বছর আগের বগুড়ার তুলনায় আজকের বগুড়া সত্যিই হাড়গিলা হয়ে গেছে... এতিম বা তারওচেয়েও নিচু স্তরের...
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২৭
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×