somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নারীদের ঊচ্চশিক্ষা অর্থের অপচয়- আপনি কী মনে করেন?

০২ রা আগস্ট, ২০২৩ রাত ১২:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বস্তুত: মেয়েদের ঊচ্চ শিক্ষিত করা অর্থের আপচয়। অনেকেই হয়ত কথাটা সহজ ভাবে মেনে নিতে পারবেন না। সেটাই স্বাভাবিক। কারন ভিন্ন দৃষ্টি দেবার যোগ্যতা হয়ত ততটুকু নেই। অথবা আপনি নিজেই নারী বা কথাটা আপনার - আপনার আপন জনের জন্যে খাটে না।



আসলে যে ঊচ্চ শিক্ষিত প্রতিষ্ঠিত নারীরা নিজের শিক্ষাকে কাজে লাগিয়েছেন, তাদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা রইল এবং তারা আমার এই চিন্তা ধারার বাইরে।

চীনা একটা প্রবাদ আছে, আমাকে একটা শিক্ষিত মা দাও, আমি শিক্ষিত জাতি দেব। চীন আর বাংলাদেশ এক নয়। সি জিনপিং গ্রেস দিয়ে পাস করা শিক্ষিত নয়। তিনি দেশকে পারিবারিক সম্পত্তি মনে করেন না।

আমার সোনার বাংলায় এত যে বৃত্তি-উপবৃত্তি আর সুযোগ সুবিধা নারী শিক্ষায় আগ্রাধিকার বাস্তবায়নের জন্যে তার কত টুকু সফল হয়েছে? কতটুকু প্রভাব সমাজে পড়েছে?



যে টাকা সরকার ছাত্রীদের জন্যে বরাদ্দ দিয়েছে, তার কিছু অংশ যাচ্ছে শিক্ষকদের পকেটে, কিছু বাবা মার হাতে। আর তা না হলে যাচ্ছে মোবাইলের ফ্লেক্সি লোডে। বিনোদনে...

যারা সত্যিকার অর্থেই পড়বে, তারা বৃত্তির টাকা না পেলেও পড়বে, ইভটিজিং এর শীকার হলেও পড়বে। পড়ার জন্যেই পড়বে। শিক্ষাকে সম্মান দিতেই পড়বে। নিজের পায়ে দাড়াবে। আর যারা ঠেলে ঠুলে পড়ে অথবা পরিবারের চাপে বা উপরি পাওনার জন্যে (প্রেম, ভালবাসা, ঘোরা ফেরার স্বাধীনতা ইত্যাদি) পড়ে, তারা স্কুল কলেজ পেরিয়ে কেউ কেউ বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত গড়ায়। তারপর বিয়ে থা হলে, চুলায় আগুন ঠেলে, বাচ্চা পয়দা করে। বংশের বাত্তি জ্বালায়।

ভাই রে ভাই... যদি রান্না বান্নাই করবি, সংসার গোছাবি তাহলে ১৬-২০ বছর পড়া শোনার অজুহাতে বাবা মার কষ্টের টাকা উড়ানোর কি দরকার? নিজের ছেলে মেয়ে কে ক্লাস টু এর পর তো আর নিজে পড়াবি না। টিউটর রাখবি নয়ত কোচিং এ দিবি। তাইলে এই ঝুলে ঝুলে ১৬-২০ বছর পড়াশোনার কি মানে?

ছাত্রদের সাথে কম্পিটিশন করে বই খাতা কোচিং সবই করবি তোরা, শেষে গিয়ে টুপ করে সংসারী? সেটা পরিবারের চাপে হোক আর মন দেয়া নেয়া থেকে হোক...

আমি মনে করি না এদেশের আর্থিক সামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় গড় পড়তা রেজাল্ট করা মেয়েদের এস,এস,সি র পর আর পড়ানো উচিত বা পড়া উচিত। ঐ টুকুই যথেষ্ট। এস,এস,সি র পর তাদের উৎপাদন মুখী, হস্তশিল্প বা কারিগড়ি শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়া উচিত।

প্রতি বছর হাজার হাজার নারী শিক্ষার্থী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ভর্তি হচ্ছে। বেশির ভাগ কোন রকম পাশ করছে, কিছু অংশ ঝড়ে পড়ছে। অন্যদিকে প্রাইভেট ভার্সিটিতে প্রতি সেমিষ্টারে নূন্যতম ৫০হাজার টাকা ফি দিতে হচ্ছে, সাথে প্রতি ৪ মাসে আনুসঙ্গিক আরও ৫০-৭০হাজার টাকা খরচ। তারপর দেখা যায়, অনার্স মাস্টাসের পর ভাল পাত্র দেখে বিয়ে করে ঘরনী। খুবই নগন্য যারা চাকরি করার অনুমতি পায় বা চাকরি নামের সোনার ডিমের দেখা পায় অথবা যদিও পায় সে হয় প্রাইভেট অফিসের প্রাণ, আইকোন, ডেকোরেশন বা সো পিস।

কেউ কেউ হয়ত বলবে, বাবার বাড়িতে জোড় খাটে, শ্বশুড় বাড়িতে সম্ভব না। সংসার টিকিয়ে রাখতে ছাড় দিতে হয়। যদি ছাড়ের প্রশ্ন থেকেই যায়, তাহলে বাপের বাড়ির টাকা উড়ানোর দরকার নেই, নিজেকে দৌড়াদোড়ির ছোটাছুটির ভেতর অযথা জড়িয়ে কি লাভ?

কেউ যদি বলে, উচ্চ শিক্ষিত হবার ভেতরে আত্মতৃপ্তি আছে, খ্যাতি আছে, শুধু সেজন্যেই পড়েছি, পড়ছি, তাহলে তার প্রতি আমার অন্তর থেকে শ্রদ্ধা।


একটা ব্যক্তিগত তথ্য দেই: আমার মা দু'বার H.S.C পরীক্ষা দিয়েছে। একবার ১৯ বছর বয়সে আর ২য় বার ৩৮ বছর বয়সে। দু বারই সেকেন্ড ক্লাস। মার নাকি ভীষণ সখ ছিল, ফার্স্ট ক্লাস রেজাল্ট করার।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা আগস্ট, ২০২৩ রাত ১২:৩৬
৯টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শোকের উচ্চারণ।

লিখেছেন মনিরা সুলতানা, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:১৬

নিত্যদিনের জেগে উঠা ঢাকা - সমস্তরাত ভারী যানবাহন টানা কিছুটা ক্লান্ত রাজপথ, ফজরের আজান, বসবাস অযোগ্য শহরের তকমা পাওয়া প্রতিদিনের ভোর। এই শ্রাবণেও ময়লা ভেপে উঠা দুর্গন্ধ নিয়ে জেগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

যা হচ্ছে বা হলো তা কি উপকারে লাগলো?

লিখেছেন রানার ব্লগ, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:২৮

৫ হাজার মৃত্যু গুজব ছড়াচ্ছে কারা?

মানুষ মারা গিয়েছে বলা ভুল হবে হত্যা করা হয়েছে। করলো কারা? দেশে এখন দুই পক্ষ! একে অপর কে দোষ দিচ্ছে! কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

আন্দোলনের নামে উগ্রতা কাম্য নয় | সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যবাদকে না বলুন

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:২৭



প্রথমেই বলে নেয়া প্রয়োজন "বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার সমস্ত অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে" ধীরে ধীরে দেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসছে। ছাত্রদের কোটা আন্দোলনের উপর ভর করে বা ছাত্রদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কোন প্রশ্নের কি উত্তর? আপনাদের মতামত।

লিখেছেন নয়া পাঠক, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৬

এখানে মাত্র ৫টি প্রশ্ন রয়েছে আপনাদের নিকট। আপনারা মানে যত মুক্তিযোদ্ধা বা অতিজ্ঞানী, অতিবুদ্ধিমান ব্লগার রয়েছেন এই ব্লগে প্রশ্নটা তাদের নিকট-ই, যদি তারা এর উত্তর না দিতে পারেন, তবে সাধারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাকুরী সৃষ্টির ব্যাপারে আমাদের সরকার-প্রধানরা শুরু থেকেই অজ্ঞ ছিলেন

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:০৭



আমার বাবা চাষী ছিলেন; তখন(১৯৫৭-১৯৬৪ সাল ) চাষ করা খুবই কষ্টকর পেশা ছিলো; আমাদের এলাকাটি চট্টগ্রাম অন্চলের মাঝে মোটামুটি একটু নীচু এলাকা, বর্ষায় পানি জমে থাকতো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×