জীবনটা কেন অনিশ্চয়তার দোলাচলে দুলছে? আমি কেন? আমি কেন পারি না আমার জীবনটাকে পুর্ণভাবে উপভোগ করতে?
অভিনেতার অভিনয়ে ফুটে উঠে আমার জীবনের ছায়া, আমি দেখি আর হাসি। এ হাসি- আক্ষেপের, অভিনয়ে কখোনোও আমাকে পূর্ণ আমাকে ফুঁটিয়ে তোলে না কেউ, হয়তো পারেই না। বন্ধুরা কেউ কেউ আমাকে সুপরামর্শ দেয়, কিন্তু ওরা তো জানে না- আমার মানসিক দ্বন্দ্ব !!
আশৈশব যে মানসিকতা ধারণ করে ছিলাম, যৌবনের আগমণে তা আজ ভূলুন্ঠিত হলো। আমার এমন পরিবর্তিত মানসিকতায় আমি অবাক হয়ে যাই। কিন্তু শৈশব আমায় যৌবনকে টেনে ধরে রাখে, আমায় আর এগুতে দেয় না। আমার এই অন্তর্দ্বন্দ্ব আমায় কুঁকড়ে ফেলে। যন্ত্রণায় কাতরায় আমার মন, মুখে ফুঁটে ওঠে কষ্টের প্রতিবিম্ব। তবুও আমার পরিজনেরা বুঝতে পারে না আমাকে- কখোনো পারবেও না।
আত্মকেন্দ্রিকতা আর অক্ষমতা আমাকে পিছিয়ে দেয় যেন সহস্র বর্ষ পেছনে। জাগতিক সময়ের চেয়ে মানসিক সময় অন্য ধারার। আমি মনের ভেতর হাজার বছর পেছনে পড়ে থাকি। কেউ আমাকে সান্ত্বনা দেয় না, কারণ তারা আমায় বুঝতে পারবে না, কখনও না। এমনকি যে কিনা আমার আত্মার আপন সেও না।
অদম্য যৌবন আমার কুঁকড়ে যায়, আমি হয়ে পড়ি শতোর্ধ্ব বৃদ্ধ- যার বেঁচে থাকার অদম্য আকাঙ্খা আর কথা বলে না।