somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সহজ অঙ্কে ভ্যাট ও ট্যাক্স

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাংলাদেশে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ৫ লক্ষ
যদি গড়ে প্রতি সেমিসটারে প্রত্যেকের টিউশন ফি ৪০ হাজার টাকা হয়
তবে সরকার ৭.৫% হারে ভ্যাট পাবে ১৫০ কোটি টাকা, যা বছরে ৪৫০ কোটি টাকা।
(এর জন্যই আন্দোলন)

অথচ সরকার ছাত্রদের থেকে ভ্যাট না নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইনকাম ট্যাক্স নেয় তাহলে হিসাব টা কেমন হয়ঃ

৫ লক্ষ শিক্ষার্থীর সেমিসটার প্রতি টিউশন ফি ৪০ হাজার হারে ২০০০ কোটি
যা বছরে ৬০০০ কোটি টাকা
যদি ১৫% হারেও ট্যাক্স নেয় তবে সরকার পাবে বছরে ৯০০ কোটি টাকা
(যেহেতু এইদেশে আমার মত চুনোপুটীকেও ২০% হারে সরকারকে ট্যাক্স দিতে হয়)

তাহলে সরকারে লাভ কোথায়…? সরকার কি তা জানেন না……?
জানেন…।। তাহলে সমস্যা টা কোথায়…?

---ট্যাক্সের টাকা আদায় করায়।

সরকার মনে করে ঐ সব চোরেরা কোন না কোন ভাবে ট্যাক্স ফাঁকি দিবে।
সেই তুলনায় ছাত্রদের কাছ থেকে খুব সহজেই ভ্যাট আদায় করা যাবে।
(যেমন ভোক্তা হিসাবে আমরা শপিংমল বা চেইন সপ গুলিতে ভ্যাট দিতে বাধ্য থাকি)

--- ঐ সব রাঘব বোয়াল চোর, যারা বিশ্ববিদ্যালয়কে ব্যাবসায়ীক প্রতিষ্ঠান বানিয়ে নিজের ফায়দা লুটছে, তাদের কাছ থেকে সরকার কতটা ট্যাক্স আদায় করতে পারবে তা মনে হয় আমারাও কম বেশী সবাই জানি।

এখানে একটা বিষয় না বলে পারছি না, অনেকে বলছেন সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন ভ্যাট না থকলে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন থাকবে। সরকারের কেন এই দ্বৈত নীতি। খুবই যুক্তি সঙ্গত প্রশ্ন। তাই এই আন্দোলন কে আমি স্বাগত জানাই। তবে সাথে সাথে আরো একটি প্রশ্ন আমার মাথায় আসে যা হল, সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের বেতন যদি ৫০ টাকা হয় তবে বেসরকারীর ৫০০০ টাকা কেন? এই বৈষম্য নিয়ে কি কেউ কোন আন্দোলন করছেন?

যেখানে ছাত্ররা প্রতি বছর ৬ হাজার কোটি টাকা বিশ্ববিদ্যালয় নামক ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দিচ্ছে, আন্দোলন করছে না, বাবার পেনশন, মায়ের গয়না, সব বিক্রি করে ঐ সব কসাইদের হাতে তুলে দিচ্ছে বিনা বাক্যে, কোন আপত্তি ছাড়া, সেখানে সরকারের কোষাগারে অল্পকিছু টাকা দিতে এই আন্দোলন করাটা কতটা যুক্তি সঙ্গত।

তাই বলছি, চলুন না এই আন্দোলনের পাশাপাশি টিউশন ফি কমানোর আন্দোলন টাও শুরু করি। তাহলে কিছুটা হলেও বেঁচে যাবে আমাদের বাবা মায়ের রক্ত পানি করা টাকার একটা অংশ। যা দিয়ে আমার ও আপনার বাবা মা আমাদের কিনে দিতে পারবে একটা ডেক্সটপ কিম্বা ল্যাপটপ। যে স্বপ্নটা এই মধ্যবিত্ত জীবনে আমি ও আপনি দেখি, প্রতিদিন, প্রতিমূহুর্তে।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৯
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

সচিব, পিএইচডি, ইন্জিনিয়ার, ডাক্তারদের মুখ থেকে আপনি হাদিস শুনতে চান?

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:৪৫


,
আপনি যদি সচিব, পিএইচডি, ইন্জিনিয়ার, ডাক্তারদের মুখ থেকে হাদিস শুনতে চান, ভালো; শুনতে থাকুন। আমি এসব প্রফেশানেলদের মুখ থেকে দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজনীতি, বাজেট,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×