somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আউলা প্যাঁচাল

২৫ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ৯:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একটা ঘটনা দিয়ে শুরু করি...
আমরা কজন বন্ধু একসাথে ক্লাসে টিফিনের সময় বসে আলোচনা করছিলাম, সবচে' দ্রুত কোন জিনিস।
তো বিরাট আলোচনা।কেউ কারও সাথে একমত হতে পারছিনা......।মূলত শেহরান ফয়সাল আর নাহিদই আলোচনা করছিল।আর আমরা কজন জ্ঞানী ভাব নিয়ে বসে মাঝে মাঝে মন্তব্য করছিলাম।
শেহরানের ধারণা,মানুষের চিন্তা সবচেয়ে দ্রুত জিনিস।তার যুক্তি হল,হাতে কাঁটার খোঁচা খেলে, কিংবা কোথাও ব্যাথা পেলে কী হয়? সেটা চিন্তা হয়ে সাথে সাথে মাথায় ঘা দ্যায়!

ফয়সাল সাথে সাথে বলে উঠল , 'তোর মাথা বেটা। চোখের পাতা ফেলা হচ্ছে সবচে দ্রুত। চোখের পলক ফেলতে না ফেলতেই আবার সব আগের মতো দেখা যায়।'

নাহিদও সিদ্ধান্ত দিল, 'উঁহু,তোরা সবাই ভুল...সবচেয়ে quickest হলো আলো।দ্যাখিস না, সুইচ টিপতেই ঘর থেকে কিভাবে অন্ধকার সরে যায়?'
তার এই সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনার বদলে হাসাহাসি শুরু হয়ে গেল।

এমন সময় হঠাত আমাদের ক্লাস ক্লাউন রোগা অন্তুর আগমন।সব শুনে সে ঘোষণা করল, 'ঘেঁচু। সবচে দ্রুত হচ্ছে ডায়রিয়া।'

আমরা সবাই ঘাবড়ে গেলাম, 'কিভাবে, কিভাবে?'

'গেলো সপ্তাহে আমার ডায়রিয়া হয়েছিল।বুঝলি?সারাদিন দৌড়ের উপরে ছিলাম।রাতে
অবস্থার উন্নতি হইছে মনে কইরা বিছানায় শুইছি, হঠাৎ পেটটা কেমন যেন করে উঠলো। তারপর আমি কোন চিন্তাও করতে পারলাম না, চোখের পাতিও ফেলতে পারলাম না, এমনকি ঘরের সুইচও টিপতে পারলাম না, তার আগেই ...হে হে হে এইবার বুঝছিস কোনটা সবচেয়ে দ্রুত?'এই বলে আমাদের দিকে একটা হাসি দিয়ে সে চলে গেল। আমাদের এটা হজম করতে কিছুটা সময় লেগেছিল।এক মিনিটের মধ্যে হাসির রো্ল উঠল।সে কি চরম হাসি,হাসতে হাসতে টিফিন ফেলে টেলে একদম বিচ্ছিরি অবস্থা করে ফেললাম।খালিদ তো চেয়ার থেকে পরেই গেল......
___________________________________

একবার এক স্বর্গবাসি ভদ্রলোকের খুব সখ হল নরক দর্শনের। ঈশ্বরকে তার মনোবাসনার কথা জানাতেই ঈস্বর তার মনোবাঞ্ছনা পূর্ণ করলেন। তো ভদ্রলোক একে একে সমস্ত ছোটখাট নরকগুলো ভ্রমন করে গেলেন সবচেয়ে বড় নরকটিতে। সেখানে দেখা গেল, বিশাল বিশাল কড়াইতে কোটি কোটি পাপিদের ফ্রেনচ ফ্রাই করা হছে। এক একটা কড়াইতে এক এক দেশের পাপি। সবগুলো কড়াইয়ের সামনে একজন করে যমদূত গদা হাতে দাঁড়িয়ে দাঁত কিড়মিড় করছে। কোন পাপি যদি কড়াই থেকে উঠে আসতে চায়, তাহলে তাদের মুন্ডুতে এক ঘা বসিয়ে সস্থানে ফেরত পাঠানই এই সব যমদুতের ডিউটি।

এদিক সেদিক ঘোরাঘুরির পর খুব অবাক হয়ে দেখলেন একটি কড়াইয়ের সামনে দাঁড়ান যমদুত, দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ঝিমাচ্ছে। ভদ্রলোক একটা খোঁচা দিয়ে যমদূতকে ঘুম থেকে ডেকে বললেন, "ওরে বেটা অকাল কুষ্মান্ড, তুমি যে এইভাবে ঘুমাচ্ছ, ঈশ্বর জানতে পারলে তো তোমাকেই ফ্রাই করবেন।

যমদূত লজ্জিত হয়ে বলল, "কি করব বলুন, এটা যে বাংলাদেশের কড়াই।"

-"বাংলাদেশের কড়াই তো তাতে কি হয়েছে?" ভদ্রলোকের প্রশ্ন।

-"না মানে যখনি এই কড়াই থেকে কেউ বের হতে চায়, নিচের মানুষজন তাকে টেনে নামিয়ে দেয়। আমাকে আর কিছু করতে হয় না। এখন ঘুমান ছাড়া আর কি করতে পারি বলুন?"
এবার ছাত্র-শিক্ষক জাতি নিয়ে কিছু কৌতুক।একদম ফালতু,পইরা যদি কেউ চুপ থাকেন তিনি বুদ্ধিমান হিসেবে গণ্য হবেন,আর হাসলে বোকা।এবং এই কৌতুক পড়ে যদি কেউ বলেন,বিরক্তিকর,তাহলে ভাই আপ্নাকেই হ্যা হ্যা আপনাকেই বলছি,
ভাই আপনি নিজেকে সফলতার সাথে একজন আতেল এ পরিণত করেছেন।হে হে


শিক্ষক: ঘুম পেলে আমরা বিছানায় যাই কেন?
ছাত্র : ঘুম পেলেও বিছানা আমাদের কাছে আসেনা তাই।
২.
শিক্ষক: বল, আকবরের জীবনকাল কত সাল থেকে কত সাল পর্যন-?
ছাত্র: পারিনা স্যার। এটা বইয়ে নেই।
শিক্ষক বই খুললেন, সেখানে লেখা—আকবর (১৫৪২-১৬০৫)
ছাত্র: স্যার, আমি ভেবেছিলাম ওটা আকবরের ফোন নাম্বার।
৩.
শিক্ষক: বলতো বিবিসি তে কি হয়?
আরিফ: ব্রিটিশ ব্রড কাষ্টিং।
শিক্ষক: গুড। বিবি তে কি হয়?
জহির: বাংলাদেশ ব্যাংক।
শিক্ষক: ভেরী গুড। ইএসপিএন এ কি হয়?
মদন: সারাদিন শুধু খেলা হয় স্যার।
৪.
বায়োলজির শিক্ষক ব্যাঙের পেট কেটে ছাত্রদের কোথায় কি আছে দেখাচ্ছেন।
: ধর, মানুষের পেট এভাবে কাটলে, তখন কি কি দেখবে?
: সবার আগে পুলিশ, তারপর জেলখানা স্যার।
৫.
স্কুলের প্রথম দিনে ছেলে বাড়ি ফিরল ।
বাবা আদর করে কাছে ডেকে বললেন, স্কুলে কি শিখলে বাবা ?
ছেলে বলল, কিছুই না। আবার নাকি কাল যেতে হবে।
৬.
যুক্তিবিদ্যার ক্লাস চলছে-
শিক্ষক: আমি টেবিল ছুয়েছি, টেবিল মাটি ছুয়েছে, সুতরাং আমি মাটি ছুয়েছি। এভাবে একটি যুক্তি দেখাওতো।
ছাত্র: আমি আপনাকে ভালবাসি, আপনি আপনার মেয়েকে ভালবাসেন, সুতরাং আমি আপনার মেয়েকে ভালবাসি।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মব রাজ্যে উত্তেজনা: হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

রোম যখন পুড়ছিল নিরো নাকি তখন বাঁশি বাজাচ্ছিল; গতরাতের ঘটনায় ইউনুস কে কি বাংলার নিরো বলা যায়?



বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদটি সবসময় ছিল চ্যালেঞ্জিং।‌ "আল্লাহর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×