খালেদা জিয়া কারাগার থেকে কবে মুক্তি পাবেন তারও নিশ্চয়তা নেই। দুটি মামলায় তাঁর মোট ১৭ বছর সাজা হয়েছে। গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি একটি দুর্নীতি মামলায় সাজা হওয়ার পর থেকে কারাগারে রয়েছেন। বিএনপির নেতারা মনে করেন, ‘রাজনৈতিকভাবে’ সমস্যার সমাধান না হলে শুধু আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে খালেদা জিয়ার মুক্তি মিলবে না।
অপরদিকে ফখরুল ভাইয়া বলছেন -খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন আরো বেগবান করার জন্য দলের সপ্তম জাতীয় সম্মেলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। এ জন্য ইতিমধ্যে দলীয় কার্যক্রম শুরু হয়েছে। জেলা কমিটিগুলো পুনর্গঠনের কাজ শুরু হয়েছে। বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির নতুন দুজন সদস্যসহ দলটির অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের নিয়ে জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করেন মির্জা ফখরুল।
তখন সাংবাদিক ভাইয়েরা প্রশ্ন করেন -
মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিতে কেন স্থায়ী কমিটির নতুন সদস্য মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে? বিএনপির নির্বাহী কমিটি থেকে অনেকে চলে যাচ্ছেন, সে ক্ষেত্রে সম্মেলনের আগে সেগুলো পূরণ করা হবে কি না?
প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেছেন -জাতীয় স্থায়ী কমিটিতে যেকোনো সময় নিয়োগ এবং সদস্য নির্বাচিত করা যায়। আমরা দলের পক্ষ থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির নবনির্বাচিত দুজন সদস্যকে নিয়ে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে এসেছিলাম শ্রদ্ধা জানাতে। এখানে এসে আমরা নতুন করে স্থায়ী কমিটির সদস্যদের নিয়ে শপথ নিয়েছি। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও গণতন্ত্রের মুক্তির সংগ্রামকে আরও বেগবান করা হবে। অবিলম্বে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অতি দ্রুত নতুন নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করবে।
তার এই কথাতে ওবায়দুল কাদের ভাইয়া বলেন - 'আন্দোলন করে তারা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করুক। এখানে আমাদের কোন বিষয় নেই। তার আন্দোলন করবে বলেই বেড়াচ্ছে। এখনও সেই পুরনো কথারই পুনরাবৃত্তি আমরা শুনতে পাচ্ছি। তাদের যদি সক্ষমতা থাকে, সাহস থাকে আন্দোলন করে দেখাক। দশ বছরেত দেখলাম না।'
আবার আরেকটা সংবাদে দেখলাম - কমিটিতে বয়সসীমা নিয়ে বিক্ষুব্ধ ছাত্রদল, নয়াপল্টন অফিসে তালা।
যাহ শালা ! কাদের নিয়ে আন্দোলন করবে বিএনপি?
মির্জা ফখরুল কি পারবে দলকে বিলুপ্তির হাত থেকে বাঁচাতে? দেখা যাক কি হয় !!!
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জুন, ২০১৯ রাত ৮:৫২