*কর্প has been initiated from Corporate or Corpse.
* The letter stated below is extremely personal & confidential.
(চিঠি নম্বর-১- কর্পচারী)
তাং-৮ই সেপ্টেম্বর ২০১২
বরাবর,
ম্যানেজিং ডিক্টেটর
কর্পস-নেশন লিমিটেড
অনুলিপি: বৃটিশ রাজাধিরাজ (১৭৫৭-১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দ)
বিষয়: অনির্দৃষ্টকালের জন্যে ছুটি চাহিয়া আবেদনপত্র।
জনাব,
বিনীত নিবেদন এই যে, আমি উক্ত প্রতিষ্ঠানের একজন পূর্ণ সময়কালীন বেতনখেকো কর্পচারী। আমি নিয়মিত অফিসে হাজিরা প্রদান করি এবং মাসান্তে আপনার বিদেশ ভ্রমণের সময় কম বয়সী বালিকাদের সরবরাহ করার দায়িত্ব সূচারূ রূপে সম্পন্ন করিয়া থাকি। আমি শপথ করিয়া বলিতেছি যে উক্ত বালিকাগন সতেজ এবং কুমারী ছিলো এবং তাহাদিগকে দেখিয়া আমার কামভাব উৎপন্ন হইলেও নিভৃতে হস্তমৈথুন ব্যতীত অন্য কোনভাবে আমার যৌনকামনাকে তৃপ্তি প্রদান করি নাই।
জনাবের সন্তুষ্টি প্রদানের নিমিত্তে আরো জানাইতে চাই যে, সাম্প্রতিক ঋণবিষয়ক ঘটনাপঞ্জিতে আমাদিগের প্রতিষ্ঠানের বিব্রত অবস্থার নেপথ্যে যাহারা কলকাঠি নাড়াইয়াছিলেন তাহাদিগকে বশীকরণের জন্যে এই অধম নিজেকে বিলাইয়া দিয়াছে, এবং অবস্থার উত্তরোত্তর উন্নতি ঘটিতেছে। শীঘ্রই আমরা পরিস্কার ভাবমূর্তি লইয়া পুনরায় চলাফেরা করিতে পারিবো বলিয়া আশাবাদী হইতে পারি।
হুজুর অবগত থাকিবেন যে হালফিলের দূর্যোগপূর্ণ সময়ে এই বিনয়াবত কর্মচারীর ওপর প্রচুর ধকল গিয়াছে। এমতাবস্থায় কিছু ভীনদেশী তরল সহকারে নিজেকে উদ্দীপ্ত করিতে না পারিলে আগামী দিনগুলোর কর্মস্পৃহার অবনমনের আশঙ্কা উড়াইয়া দেয়া যায় না।
সুতরাং, জনাবের নিকট আকূল প্রার্থনা, আমাকে ১১.৮% এ্যালকোহল সম্বলিত রয়্যাল ডাচের এক বাক্স এবং কিছু নির্জলা স্কচ হুইস্কির মওজুদ সহ অনির্দৃষ্টকালের জন্যে ছুটি মঞ্জুর করিয়া বাধিত করিবেন যাহাতে আমি নতুন প্রাণোদ্যম সহকারে দেশ ও জাতির অনিষ্ট বিধানে এবং কোম্পানীর কল্যাণে নিয়োজিত থাকিতে পারি।
আরজ গুজার
গুলজার আহমেদবহুল
এ্যাডমিন, এইচ আর ডিভিশন।
আবেদনপত্রটি যথাস্থানে যাবার পরে গুলজার আহমেদবহুলকে ডেকে পাঠানো হল প্রেসিডেন্ট এবং সিইও'র রুমে।
-আপনার আবেদনপত্রটি আসলে কী ছিলো? ছুটির আবেদন নাকি রেজিগনেশন লেটার বলুন তো?
-স্যার, আমি স্পষ্ট করেই তো সব লিখেছি। এখানে কনফিউশনের কী হল!
-বাংলায় লিখেছেন কেন? অফিস এটিকেট কি সব গুলে খেয়েছেন?
-সেটা ভুল হয়ে গিয়েছিলো স্বীকার করছি। আর সব ঠিক আছে তো?
-আর সব ঠিক আছে মানে? কিছুই ঠিক নেই। ইনডেফিনিট টাইমের জন্যে ছুটি চেয়েছেন, এটা হয় নাকি? এ্যাটেনশনে বৃটিশ রাজাধিরাজ এবং প্রাচীন সময়কালের উল্লেখ করেছেন । এছাড়াও নারকোটিকস সংক্রান্ত জটিলতা আছে। মাদককে গ্লোরিফাই করেছেন। আমাদের এথিকসের সাথে যা একদমই যায় না। কর্মক্লান্তি ভুলে থাকতে এ্যালকোহলের দ্বারস্থ হতে হবে কেন? মাদককে না বলুন। সম্প্রতি আমরা প্রথম শ্রেণীর একটি দৈনিক পত্রিকার সাথে এ ব্যাপারে একটা মুভমেন্টে যুক্ত হচ্ছি। আপনার আচরণ সত্যিই হতাশাজনক।
-কিন্তু স্যার, এথিকসের কথা বলছেন, এথিকাল মুভমেন্টের কথা বলছেন সেখানে তো একটা কনফ্লিক্ট করছেন নিজেই। আমরা তো সর্বস্তরে বাংলা ভাষা প্রচলনের একটা মুভমেন্টের সাথেও জড়িত মহান মিডিয়াদের কোলাবরেশনে । তাহলে বাংলায় আবেদনপত্র লিখতে সমস্যা কোথায় হল?
-কাম অন মাইট! হোয়াই আরগুইং উইথ মিনিংলেস ম্যাটারস? ইউ নো দ্যা সিস্টেম, ডোন্ট ইউ? কাম অন, হ্যাভ আ ড্রিংক!
-নাউ ইউ আর কুকিং, প্রেসিদেন্তো! নাউ উই ক্যান স্কিপ আরগুয়িং। সো, দেয়ার ইজ নো প্রবলেম উইথ দ্যা বুজেস রাইট?
-ইয়াহ! এ্যালকোহল ইজ গুড! তবে বালিকাদের ব্যাপারটা...?
-ডোন্ট ওয়ারি এল ক্যাপিতানো, These are extremely personal & confidential. কাকপক্ষীও জানবে না।
-ঠিক আছে। ছুটি মঞ্জুর করা হল।
-অনিদৃষ্টকালের জন্যে?
-সেটা কেবল অদৃষ্টই বলতে পারে!
-ওয়েল, আ কর্পোরেট মাফিয়া ইজ বিয়িং ফিলোসফিকাল! গ্রেইট টু সি!
হ্যাঁ, আমি আসলে তাই বলতে চাইছিলাম অন্যভাবে। অদৃষ্টের কার্যক্রম অনিদৃষ্টকালের জন্যে নিষিদ্ধ এখানে। এখানে নিয়মতান্ত্রিকতা এবং যান্ত্রিকতার যাঁতাকলে পিষ্ট অদৃষ্ট...
হাহ! ফরগেট ইট। কী ছাতামাথা যা-তা ভাবছি! গুলজার আমোদ পায়.
(চিঠি নম্বর-২)
Written to the girlfriend. Not so personal. Confidential level-3.5/10.
প্রিয় প্রেমিকা,
পত্রের প্রথমেই আমাকে ব্লোজব দিও। অনেকদিন পর তোমাকে লিখছি, তাই না? ফাকিং ওয়েস্ট অফ টাইম! তোমার কী মনে পড়ে সেই দিনগুলির কথা...ঘোরলাগা সাঁঝের আলোয় কাঁপা কাঁপা হাতে তোমার হাতে একটা নীল খাম দিয়েছিলাম। এ্যান্ড ইন নো টাইম উই ওয়ার এ্যানাউন্সড এ্যাস illegitimate সেক্স পার্টনারস। ফাক দ্যা সোসাইটি, ফাক দ্যা সিস্টেম!
মনট খুব বিক্ষিপ্ত হয়ে আছে, বুঝতেই পারছো চিঠির ভাষা দেখে! দাঁড়াও, ঠিক করে লিখছি আবার,
শোনো, একটা খুব ভালো খবর আছে। আমি ছুটি পেয়েছি। বেশ কদিনের জন্যে। বেশ কদিন মানে কদিন বলত? অনির্দৃষ্টকালের জন্যে! আমাকে আর কখনও ওখানে ফিরে যেতে হবে না এ্যালকোহলের মজুদ শেষ হবার আগ পর্যন্ত। কোথায় যাওয়া যায় বলত? আগে হিসেব করে নিই। এক কেস রয়্যাল ডাচ। তিন দিন। তিন বোতল স্কচ দুই দিন। সুতরাং, অনির্দৃষ্টকাল= তিন থেকে পাঁচ দিন। দেখ দেখি ঝামেলা! আজকে বসকে বলছিলাম ইনডেফিনিট টাইম আর নিয়তির কক্ষবিচ্যূতির কথা। অদৃষ্টের কার্যক্রম অনিদৃষ্টকালের জন্যে নিষিদ্ধ আমাদের এখানে। এখন তোমাকে লেখার সময় বুঝতে পারলাম এই নিয়ম শুধু ঐ চৌকোনো সাম্রাজ্যের ভেতরেই খাটে। যত বেরুতে চাই, অদৃষ্ট আগলে ধরে। ফিরে যেতে হয়। সময় নেই, সময় নেই! তোমাকে আর বেশি কিছু লিখে সময় নষ্ট করার কোন মানে হয় না। এই যুগে চিঠি লেখা ব্যাপারটাও কেমন সিলি! হাস্যকর। তারপরেও লিখতে হচ্ছে, বিকজ অফ দ্যা ফাকিং সিস্টেম!
আমার ভালোবাসা নিও। আমায় চুমু দিও। দিনে অন্তত একশ উনত্রিশ মিনিট আমার কথা ভেবো (Marathon world record, 2 hour & 9.01 minutes Gerard Nijboer, Netherlands, April 26, 1980 Amsterdam Marathon)
এখন রাখি কেমন? ছুটির অন্তত একটা দিন শুধু তোমারই সাথে কাটাবো। বাকি সময়গুলোর ব্যাপারে আমাদের প্রশ্ন করার ওপর অলিখিত নিষেধাজ্ঞা তো এখনও বলবৎ আছে, তাই না? সো, ইউ নো দ্যাট ইউ শুড'ন্ট আস্ক। রাইট?
(ছুটির দিন নং ৩)
Letter No. 3. Incoming. From an anonymous person.
প্রতি,
গুলজার আহমেদ
৩৫৩/৩, পাইকপাড়া, মিরপুর, ঢাকা।
হইতে
মোহাম্মদ মকবুল আহমেদ
গ্রাম:মুনিবপুর
পোঃ-দোগাছি
জিলা: পাবনা
গুলজার আহমেদ বমি করছিলো। ঠিকানা এবং প্রেরকের নাম দেখে তার বমির বেগ আরো বেড়ে গেলো। সবকিছু অস্পষ্ট হয়ে আসছে। চেতনা লোপ পাচ্ছে। কে পাঠালো চিঠিটা? কে? কে? কে? ওহ চিন্তিত অভিভাবকেরা! যারা এখনও প্রাগৈতিহাসিক মহাজাগতিক ডিমে তা দিয়ে বাৎসল্যের শল্য চিকিৎসা করছে। তবে তারাও তো আধুনিক আবেগযন্ত্রগুলোকে তরঙ্গায়িত করার কৌশল জানে। তবে কেন চিঠি? কেন না! কর্পোরেট জীবন, শহুরে ভাব ভালোবাসা, দূর্নীতি, তৈলমর্দন, লাল মদ, চতুষ্কোণ ভ্রমণ, সবকিছু একসাথে গাঁথার যে গঠনতন্ত্র উত্থাপিত হয়েছে নাগরিক সিদ্ধান্তসভায় তার মধ্যে বাৎসল্য বাদ যাবে কেন?
Letter No 4. Incoming. From parents.
প্রতি,
গুলজার আহমেদ
৩৫৩/৩, পাইকপাড়া, মিরপুর, ঢাকা।
হইতে
মোহাম্মদ মকবুল আহমেদ
গ্রাম:মুনিবপুর
পোঃ-দোগাছি
জিলা: পাবনা
(গুলজারের স্বগতোক্তি)
ওহ আবারও! আহা মানলাম তুমি অনেকদিন অচ্ছ্যুত ছিলে আমার কাছে, এখন ছুটির সুযোগ পেয়ে আমাকে গ্রাস করতে চাইছো। আগের চিঠিটার ইনভেলপই তো খোলা হয় নি। আচ্ছা পড়ছি দাঁড়াও, আর পাঠিও না!
Letter No 5. Incoming. From parents.
প্রতি,
গুলজার আহমেদ
৩৫৩/৩, পাইকপাড়া, মিরপুর, ঢাকা।
হইতে
মোহাম্মদ মকবুল আহমেদ
গ্রাম:মুনিবপুর
পোঃ-দোগাছি
জিলা: পাবনা
না, আর না প্লিজ! দরজাটা বন্ধ করে দিলো গুলজার। জানলাগুলোও। প্রবল বাতাসের তোড়ে সবকিছু ভেঙে পড়তে চায় যেন! উড়িয়ে নিয়ে যেতে চায় সবকিছু। মদের বোতল প্রায় শেষ। বমি করতে করতে পাকস্থলি শূন্য। এখন কী আর ওড়া যাবে? শূন্য মদের বোতলগুলোর দিকে হতাশ দৃষ্টিতে চায় গুলজার। নেই, কিছু নেই সেখানে। প্রচন্ড হাওয়ার দমকে জানলার শার্শি ভেঙে যায়। আসতে থাকে ইনভেলপ। অজস্র ইনভেলপ।
সব একই ঠিকানা থেকে। একই প্রেরকের। শর্ত ছিলো, এ্যালকোহলজনিত ঘোরগ্রস্থতা কাটিয়ে উঠতে পারার পরদিন থেকেই কাজে যোগ দিতে হবে। ঘোর কেটে যাচ্ছে। বাতাস থেমে আসছে। ছুটি ফুরিয়ে গেছে। মেঝেতে পড়ে আছে ভাঙা বোতল, উচ্চমাত্রার শর্করা সমৃদ্ধ বমি, আর চিঠি। বাবার চিঠি। বাবা, তুমিও এই সদাগরী ভালোবাসার আমলাতন্ত্রে ফাইলবন্দী হতে চাও! বাবা! যেকোন উপায়েই হোক তুমি আমার কাছে আসতে চাও, তাই না? আচ্ছা, চিঠিগুলো আমি গুছিয়ে রাখছি অন্য সব চিঠির সাথে। আশা করি, আমাদের কোম্পানির প্রেসিদেন্তোকে দেখালে সেখান থেকে আবেগের নির্যাস চুইয়ে নিয়ে সেলুলয়েড, বিলবোর্ড অথবা দাপুটে কাগজে প্রতিস্থাপিত করে তোমাকে সর্বজনীন প্রতিকৃতি প্রদান করা হবে, মুদ্রাঙ্কিত করে আমাদের সম্পর্কটাকে অনুমোদিত করা হবে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে। দারুণ হবে না বাবা? এত চিঠি পড়তে পারবো কী না কে জানে। নতুন আসা ইন্টার্নটাকে সবগুলো গছিয়ে দিয়ে একটা সামারি ফাইল তৈরি করতে বলব। আমাদের প্রেসিডেন্টও যদি এ্যাপ্রিসিয়েট করে কাজটা,
বাবা তুমি জাতে উঠে যাবে! আমি তোমার জন্যে গর্বিত হব।
ঘোর কেটে যাচ্ছে। কাল থেকে কাজে যোগ দিতে হবে। অনিদৃষ্টকালের সংক্ষিপ্ততা আমাকে কিছুটা ক্ষিপ্ত করে বটে! এ্যালকোহলিক ঘোর কেটে গেলে আর ওড়ার সরঞ্জাম থাকে না , ওড়া যায় নাএই কংক্রিট আকাশে । কিন্তু আবারও প্রচন্ড বেগে বাতাস আসছে জানলা দিয়ে। আমাকে উড়িয়ে নিতে চায়? কোথায়? আমি খাটের পাশে কাপড় রাখার স্ট্যান্ডটা আঁকড়ে ধরে থাকি। ছুটি শেষ। কোথাও যাওয়া যাবে না আর। কোথাও যেতে চাই না আমি। কারও আহবানেই কাজ হবে না। ছুটি শেষ। ওড়াউড়ি শেষ। গুডনাইট বাবা, হ্যাভ আ নাইস ড্রিম। চঞ্চলা বাতাসের চলাচল স্তিমিত হয়ে পড়ে। আমি বিছানায় শরীর এলিয়ে দিই।
(Show cause letter)
প্রতি
গুলজার আহমেদ
কর্পচারী, প্রেমিক, সন্তান।
হইতে
প্রেসিদেন্তো, গার্লফ্রেন্ডো, বাবা।
জনাব গুলজার আহমেদ,
আপনাকে নিম্নলিখিত অভিযোগগুলোর ব্যাপারে কারণ দর্শানোর আহবান করা গেলো। যথাযথ কারণ দর্শাতে না পারলে আপনাকে স্যাক করা হবে, ব্রেক আপ হয়ে যাবে, মৃদু ধমক দেয়া হবে।
#মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপান করে প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগ। (স্যাক)
# মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপান করে প্রমোদভ্রমণের কথা ভুলে যাওয়া (ব্রেক আপ)।
#মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপান করে নৈতিক স্খলন এবং স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটানো। (এক বোকা বুড়োর উপদেশ কী আর শুনবে!)
#অনির্দিষ্টকে অদৃষ্টের পরিণাম বলে চালিয়ে দেয়া ( এই ধরনের জীবন দর্শন নিষিদ্ধ)।
#অনির্দিষ্টটকে অদৃষ্টের পরিণাম বলে চালিয়ে দেয়া ( বিরক্তিকর!)
# অনির্দিষ্টকে অদৃষ্টের পরিণাম বলে চালিয়ে দেয়া ( এক বোকা বুড়ো...)
অভিযোগের শেষ নেই কোন। লিস্টি কেবল লম্বাই হচ্ছে! গুলজারের আর পড়ার ধৈর্য্য হয় না। প্রত্যেককে আলাদাভাবে জবাব দেবার কোন মানেই হয় না। সময় নষ্ট! গুলজার নিমিষে হিসেব কষে নেয়, কার কাছ থেকে অব্যাহতি পেতে হবে, কাকে ছুড়ে ফেলতে হবে এবং কার পা জড়িয়ে ধরতে হবে।
খুব একটু কঠিন না সিদ্ধান্তটা, একটাই মাত্র বিকল্প বেছে নেয়া তো? যেয়ে বললেই হয়,
"স্যার আমার ভুল হয়ে গেছে, আমাকে আরেকটি সুযোগ দিন"
না!
"আমাকে ভুল বুঝোনা, ছেড়ে যেয়ো না, আরে একটি সুযোগ দাও"
তা কেন!
"তোমার কাছে অত জবাবদিহির কিছু নেই বাবা। আমাকে নাও!"
তিনটে সিদ্ধান্ত নিয়ে জাগলিং করতে ভালোই লাগে গুলজারের। সে তো জানেই কোন বলটা হাতে রয়ে যাবে, কোন দুটো পড়ে যাবে, নাকি জানে না? নাকি সবগুলোই পড়ে যাবে জাগলিং করতে গিয়ে?
গেলে যাক! এখনও যথেষ্ট পরিমাণ টাকা আছে এ্যালকোহলের পেছনে বরাদ্দ করার জন্যে। আর একটা রাত একটু মাতাল হলে, আরো কিছু জবাবদিহিতা জমা হলে কিছু যায় আসে না। সে ভালো করেই জানে সামাল দিতে।
তিনটি চোখ তার দিকে যথাক্রমে অনুনয়, ক্রোধ, এবং অবহেলা নিয়ে তাকিয়ে রয়। চোখানুক্রমটা হয়তোবা তার কাছে অজানাই থেকে যাবে চিরকাল।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:১২