রাজনৈতিক সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাজনৈতিক একটিভিটিতেও প্রয়োজনে সবার একাত্ম হতে হবে। এগুলি যেমন বইয়ের কথা, তেমন বাস্তবানুগও। কিন্তু বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে সরকারী এবং বিরোধী দলের পৃষ্ঠপোষকতায় যা হয়, তাতে বইয়ের ঐ পাতাগুলি ছিড়ে ফেলা ছাড়া উপায় দেখি না।
বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকারের মদদপুষ্ট দলগুলি কী করে?
টেন্ডারবাজি
র্যাগিংয়ের নামে টর্চার
বাকি খেয়ে ক্যান্টিন মালিককে পথে বসানো
ইভ টিজিং
এমন কী তারা হত্যা করে ছাত্রদের।
বুয়েটে দীপ (এর কথা অবশ্য কেউ বলবে না), আবরার, সনি এদের লাশ ছাড়া এই রাজনৈতিক পান্ডারা কী দিয়েছে?
আমার প্রতিষ্ঠান কুয়েটে কিছুদিন আগে উনারা এক শিক্ষককে মানসিক নির্যাতন করে মেরে ফেললেন।
ছাত্রদের অধিকার আদায়ের জন্যে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে একটা কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ থাকতেই পারে। কিন্তু সেখানে যেন সরকার এবং বিরোধী দল থেকে অস্ত্র, টাকা, বাকি খাওয়ার ক্ষমতা , নির্যাতন করার ক্ষমতা না দেয়া হয়। তাদের যেন বিন্দুমাত্র এক্সেস না থাকে সেখানে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা শেষ, ঐ ছাত্র সংসদ থেকে তার দায়িত্বও শেষ। ছাত্রদল, ছাত্রলীগের ৪৫ বছর বয়স্ক বুড়ো খোকারা যেন চাইলেই হলে এসে রাত কাটিয়ে যেতে না পারে।
আর কারো যদি কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে সংশ্লিষ্টতা থাকে, সে যদি আন্দোলন করতে চায়, করবে। রাস্তাঘাট খোলা আছে। সেখানে তো তাকে বাধা দেয়ার কিছু দেখি না।
"বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ" শুনলেই যাদের মনে হয় যে "আহা, বেচারা ছাত্রছাত্রীদের অধিকার কীভাবে পূরণ হবে" তারা এই মুখস্থ বাইনারি চিন্তার জগৎ থেকে বের হয়ে একটু স্বস্তি আর নিরাপত্তা দেন বেচারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০০