ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে, দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী লড়াই ও সশস্র প্রতিরোধ যুদ্ধের পর সাড়ে সাত কোটি মানুষ পেয়েছিল নিজস্ব মানচিত্র। পেয়েছিল নিজের মতো করে একটি লাল-সবুজ পতাকা। স্বাধীনতাকামী জনতার বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে আজকের এই বাংলাদেশ ; স্বাধীন এবং স্বতন্ত্র জাতিসত্তা।
দেশপ্রেম'কে বলা হয়ে থাকে ঈমানের অঙ্গ হিসেবে। হাদিসে বলা আছে ' হুব্বুল অতানে মিনাল ঈমান' অর্থাৎ দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ। মহানবী (সাঃ) নিজের জীবনের চেয়েও দেশকে এবং দেশের মানুষকে বেশি ভালবাসতেন। রাসূল (সাঃ) এর ভালোবাসায় মুগ্ধ হয়েই মরু আরবের উগ্র মানুষগুলো তাকে ছোটবেলাতেই আল-আমিন উপাধিতে ভূষিত করেছিল।
তিনি মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করার সময় বারবার মক্কার দিকে ফিরে তাকিয়েছেন। এটা তাঁর দেশ প্রেমের'ই বহিঃপ্রকাশ।
মানবতার ধর্ম ইসলামে দেশকে ভালবাসার প্রতি অত্যন্ত গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। ইসলামের কথা হলো, দেশের স্বাধীনতা সুরক্ষিত করতে স্বদেশপ্রেম অত্যাবশ্যক।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যে নির্মম অত্যাচার এবং নৃশংসতা দেখিয়েছিল, তার কোন অংশে বিন্দু পরিমান কম ছিল না রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস, মুজাহিদদের নৃশংসতা।
মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীনতাবিরোধী এই কুলাঙ্গারেরা চেয়েছিল দেশের মানুষের ঐক্যে'র ফাটল ধরাতে, চেয়েছিল দেশকে পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ করে রাখতে।
ইসলামের দৃষ্টিতে মানবহত্যা, দেশদ্রোহিতার শাস্তি অনেক কঠোর এবং কঠিন। রাসূল (সাঃ) বলেন, রোজ কিয়ামতের দিন বান্দাদের মধ্যে সর্বোপ্রথম খুনের বিচার করা হবে।-তিরমিজী;১৩৪৫।
মোদ্দা কথা হচ্ছে, অপরাধ সব ক্ষেত্রেই অপরাধ। আর তা আমাদের দেশের মতো গণতান্ত্রিক দেশ বা ইসলামি শরিয়া মোতাবেক, যা হোক না কেন।
অপরাধ করলে শাস্তি হবে, আজ অথবা কাল। বাংলা একটা প্রবাদ আছে, পাপ তার বাপেরেও ছাড়ে না।
ভাইলোক,
আসুন সবাই দেশকে ভালবাসি এবং ঈমান ঠিক করি। আর চিপায় পরে ধর্মকে ঢাল বানানো বন্ধ করি।