এই শোকাতুর অন্ধকারে
গালিব এলেন,
এলেন মদ্যস্নাত গোফ নাচিয়ে।
তখনও শোকোয়নি ফুসফুস,
ব্যাকটেরিয়া চষছিল সিক্ত শ্বাসকুঠুরে।
ক্লান্ত এন্টিবায়োটিকের সাথে
যোগ দিলেন কবি।
ক্লান্তির শুষ্ক গলায় নিবারিত গাঢ় জল
আর শায়েরের নিষুতি স্বরে
কেমন জেগে ওঠে এন্টিবায়োটিক।
কুড়ে কুড়ে খাওয়া কোষে তখন
ভরপুর ব্যাকটেরিয়ার পেট।
কবি, জল, আর নবপ্রাণ নিরামায়ক
খোলে দেয় তখন
ফুসফুসের অজস্র দ্বার।
তখন আমের মুকুল আসে, আসে ভাটফুলের মাতাল ঘ্রাণ
আর ভরে দেয় বিক্ষত ফুসফুসের মাঠ।
শুকোয় ফুসফুস সারাবেলা,
আহ, কি শ্বাসের আরাম!
কি আকন্ঠ নিরাময়!
শেষে সারেঙ্গি বাজে সুরালয়ে,
দোলে ঝাড়বাতি, ঘুঙুরে নাচন তোলে জহরবাঈ।
পাইনা গালিবকে আর,
কোনওখানে আর,
কেবল বাঈয়ের কন্ঠে ঝরে পড়ে কবির শায়ের।
আবারও ভিজে শ্বাসকুঠুরী,
জহরবাঈয়ের কাজল-চুয়া বিবাগী জলে!
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৩৫