ইন্টারমিডিয়েটে পড়ি তখনকার ঘটনা।
আমার এক বন্ধু শিমুলী নামের এক মেয়েকে পছন্দ করতো্। মেয়েটির বাবা ডিফেন্সে চাকুরী করতো । একই রকম আমার বন্ধুর বাবা ও ডিফেন্সে চাকুরী করতেন। সেই সুবাদে তাদের দুই পরিবারই সরকারি ভাবে কোয়ার্টার পেয়েছিল। মেয়েটি প্রতিদিন কলেজে যাবার সময় কবির নামের আমার সেই বন্ধুটি তাকে নানা ভাবে ইমপ্রেস করার চেষ্টা করতো । কখনো কখনো দাড়িয়ে কথা বলতো । মেয়েটিকে ও আমি যথেষ্ট পজিটিভ অবস্থাতেই দেখতাম। আমার ধারণা ছিলো আর কিছুদিন বাদেই মেয়েটি্ পটতে বাধ্য।
একদিন জানা গেল,নতুনভাবে কিছুলোক নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। আমার বন্ধুর ডিফেন্সে কাজ করার ইচ্ছা না থাকলেও সে জানতো এই নতুন লোকদের প্রিলিমিনারী মেডিকেল টেস্ট শিমুলীর বাবাই করে থাকেন। তাই অনেক আগ্রহ নিয়েই কবির সেইদিন আর দশজনের মতোই লাইনে দাড়িয়ে গেল। যাওয়ার আগে বলে গেল দোস্ত দোয়া করিস যেন শ্বশুড় মেডিকেল টেস্টে আমাকে উত্তীর্ণ করে। আমরাও তেমনটাই দোয়া করলাম।
কবির মেডিকেল টেস্টের জন্য শিমুলীর বাবার সামনে দাড়িয়ে আছে। শিমুলীর বাবা কবিরকে চেনে না। চিনলে মেডিকেল টেস্ট করতো কিনা সন্দেহ । তিনি কবিরকে বললেন-তোমার প্যান্ট হাটু পর্যন্ত নামাও।
কবির বিন্দুমাত্র দেরি করলো না। নামাল।
শিমুলীর বাবা হাতে হাতমোজা লাগিয়ে কবিরের দিকে এগিয়ে এলেন। কবিরের মোটেও লজ্জা করছেনা। সে মোটেও লজ্জা পাওয়ার পাত্র নয়্ ।
শিমুলীর বাবা বলদ্বয় চেক করে দেখলেন। এবার বললেন-রুকুতে যাওয়ার ভঙ্গিতে দাড়াও। কবির তাই করলো।
শিমুলীর বাবা এবার কবিরের পশ্চাদদেশে কিছু খুব মনোযোগ সহকারে দেখতে লাগলেন। আর বললেন-জোরে কাশি দাও।
কবির জোরে কাশি দিল। এবার শিমুলীর বাবা কবিরের সামনে এসে বললেন-সিগারেট্ টিগারেট্ খাও নাকি?
কবির জিজ্ঞেস করল-নাতো আঙ্কেল ,কেন ধোয়া বের হইছে নাকি?
এই ঘটনাটা আমরা শোনার পর বেদম হেসেছি। কবিরের চাকরি হয়নি। আজ কবির বি ফার্ম কমপ্লিট করে চাকরি করছে। সেইদিন দেখা হতেই সেই পুরনো ঘটনা মনে করে আরো একবার হাসলাম।