একটি কালজয়ী কাহিনী,নায়িকার বাবা অতি মাত্রায় ধনী হওয়ায় কোন ভাব্ই হতদরিদ্র নায়কের সাথে তার পাউরুটি খেয়ে বড় হওয়া মেয়ের ভালবাসা কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছেন না। এক পর্যায়ে কোন ভাবেই এই অল্প বয়সের প্রেম এ ইতি টানতে না পেরে নায়িকার বাবা নায়িকার উপর শর্ত আরোপ করল-যদি তুমি আর কখনো ওর সাথে মেলামেশা কর,তাহলে সেদিনই হবে নায়কের শেষ দিন। আজ ও এ বাড়িতে আসলেই আমি তোমাকে যাযা বললাম তুমি তাই ওকে বলে দিবে,মনে রাখবে আমার কথার একচুল নড়চড় হলেই আমি বন্দুকের এক গুলিতে নায়কের বুক ঝাঝড়া করে দিব।
ওদিকে নায়িকা এমন শক খেয়ে কাদতে কাদতে বিছানায় ঝাপিয়ে পড়ল্ । (অবশ্যই নরম বিছানা ।)
এক পর্যায়ে নায়কের আবির্ভাব ঘটল। আমার প্রশ্ন হচ্ছে এত কড়া নিরাপত্তা থাকা সত্তেও কিভাবে প্রাসাদে প্রবেশ করল সেটা আমার বোধগম্য নয়। যাই হোক,নায়ক প্রাসাদে প্রবেশ করেই কোন দেরি না করেই নায়িকার নাম ধরে চিৎকার শুরু করে দিল।
এপর্যায়ে নায়িকা অত্যন্ত দৃঢ় ভঙ্গিতে দোতলার বারান্দায় এসে বলল-কি হয়েছে? এভাবে চিৎকার করছ কেন?
তোমাকে নিতে এসেছি বলতেই নায়িকা কক্ষনোই তাদের মধ্যে প্রেম ভালবাসা ছিলনা বলে সাফ মুখের উপর জানিয়ে দেয়। এমনকি এও বলে দিল-ওরকম একটা গরীবের ছেলে কি করে ভাবতে পারে যে তার সাথে তার ভালবাসা হবে।
নায়ক এ পর্যায়ে কাদতে কাদতে আর ভালবাসার আক্ষেপ ভর্তি একটা ঝুড়ি নিয়ে ফেরত চলে গেল।
এই দৃশ্যের এখানেই শেষ।
আমার কথা হচ্ছে ১০০০ বার এই দৃশ্য আমরা ১০০০টা ছবিতে দেখেছি ।। তাও কেন সেই একি কাহিনীর ছবি নির্মিত হচ্ছে ?হয়তো নায়া নয়তো নায়িকার আলালের ধরের দুলাল অথবা দুলালী হয়ে জন্মাচ্ছে। কারণ কি? এছাড়া আর কিছু কি সম্ভব নয় ?
আরে ভাই,এমন দিলেই বা সমস্যা কি,যে ভিলেন নায়িকাকে তুলে নিতে এসে দেখল নায়ক নায়িকা নাক ডেকে ঘুমাচ্ছে ,তারা সন্তর্পণে যেই না নায়িকাকে উঠিয়ে নিতে গেল ওমনি নায়ক নায়িকা সদ্য তিন মাসের জন্ম নেয়া ছেলে সন্তান চরম ফাইট দিয়ে নায়িকা তথা তার মাকে উদ্ধার করল। ভিলেন তো অবাক। অ্যা? হইল কখন?
আমি মনে করি আইডিয়া না পেলে আর কি ই বা করা যায় ।
আর যাই হোক আমার কাছে আসলে আমি ফিরিয়ে দিব না।