somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সকল নাস্তিকরাই প্রকারান্তরে আস্তিক

৩১ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ১০:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আস্তিকতা হচ্ছে সৃষ্টিকর্তাকে না দেখে বিশ্বাস করা আর নাস্তিক্যবাদীরা বলে, না দেখে কোনো কিছু বিশ্বাস করা মানে বোকার স্বর্গে বসবাস করা। তারা তাছাউফ কিংবা মারেফাতের মতো অদৃশ্য বিষয় নিয়ে আলোচনা না করে বস্তুনিষ্ঠ বিষয়ভিত্তিক আলোচনাতে বিশ্বাসী। তবে মজার বিষয় হচ্ছে- এই নাস্তিকরাও কিন্তু তাদের নিজের অজান্তেই অনেক কিছু না দেখে বিশ্বাস করে। আস্তিক মুসলমানরা তাদের নবী/রসূলদের না দেখে বিশ্বাস করে এবং উনারা যা বলেছেন তা বিনা বাক্যে বিশ্বাস করে মেনে নেয়। আর নাস্তিকরাও ডারউইনকে দেখেনি তবে তাকে না দেখেই বিশ্বাস করে। সে যখন বনে জঙ্গলে তার গবেষণার জন্য ঘুরে বেড়িয়েছে, তখন আজকের কোনো নাস্তিক তার সাথে ঘুরেনি, কি গবেষনা করেছে তা দেখেনি; কিন্তু এই নাস্তিকরা না দেখেই তা বিশ্বাস করে যে, সে বনে জঙ্গলে ঘুরে ফিরে গবেষনা করেছে।

সে যখন রাতের পর রাত তার বাসায় বসে সংগৃহিত প্রমান প্রতিপাদ্য নিয়ে গবেষনা করেছে কিংবা তা দিনের পর দিন লিপিবদ্ধ করেছে তাও আজকের নাস্তিকরা স্বচক্ষে দেখেনি, কিন্তু না দেখেই তার ওই ভুয়া গবেষণালব্ধ সব বক্তব্য নাস্তিকরা মনে প্রাণে বিশ্বাস করে নিয়েছে। তবে আর তাদের আস্তিক হতে বাকি থাকলো কি?

আস্তিক আর নাস্তিকের মধ্যে তফাৎ শুধু এইখানে যে ডারউইন তাদেরকে বুঝিয়েছে যে, তারা মানুষের বাচ্চা নয় বান্দরের বাচ্চা এবং বোকার স্বর্গে বসবাসকারী নাস্তিকরা তা বিনা প্রতিবাদে মেনে নিয়েছে। এক্ষেত্রে কোনো আস্তিক যদি রাগের মাথায় কোন নাস্তিককে কুকুরের বংশ(কুত্তারবাচ্চা) বলে বকা দেয়, তবে তা হবে জাত হিসেবে কুকুর প্রাণীটির প্রতি চরম অন্যায়। কারণ আনুগত্যতা, দক্ষতা ও বুদ্ধি বিবেচনায় কুকুর অনেক উচু স্তরের প্রাণী এবং অনেক উপকারী জন্তু। সে তুলনায় বান্দর হচ্ছে এক অনিষ্টকারী প্রাণী। কুকুর এতো অনুগত এবং উপকারী যে, পশ্চাত্য জগতের মানুষেরা ক্ষেত্র বিশেষে মানুষের চেয়ে কুকুরকেই বেশি ভালবাসতে শুরু করেছে।

কুকুরকে নিজ বিছানায় নিয়ে ঘুমানো ছাড়াও তারা আজকাল মৃত্যুর পূর্বে কুকুরকে তাদের সম্পত্তি পর্যন্ত উইল করে যাচ্ছে।

তবে বানর থেকেও মানুষ কম বেশি কিছু উপকার পেয়ে থাকে, তা হচ্ছে গলায় দড়ি বেধে মানুষকে খেলা দেখানোর মাধ্যমে, কিছু গরীব মানুষ তাদের পরিবারের রেজেকের ব্যবস্থা করে। যদি কখনো ওই বানর নাচ দেখাতে অনীহা প্রকাশ করে, তখন হাতের চাবুক দিয়ে সপাং করে আঘাত করলেই সে নাচতে শুরু করে দেয়। আসলে বানর বংশের মানুষ আকৃতির নাস্তিকগুলোর পশ্চাৎ দেশে সপাং করে স্বশব্দে ওই একই চিকিৎসার ব্যবস্থা করাটাই ওদের মনস্তাত্বিক অসুস্থতার একমাত্র সমাধান।

এ বিষয়ে তথাকথিত বিশ্ব সেরা মনস্তাত্বিক বিশেষজ্ঞ ইউরি ব্রেজমেনভ কি বলেছে দেখে নিন তিনি বলেছেন যে মিলিটারী বুট দিয়ে পালিশ করলেই মগজ ধোলাই হওয়া মানুষগুলোকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব।

এক্ষেত্রে শয়তানের কুটবুদ্ধির প্রশংসা করতে হয়। সে কতগুলো গর্ধব চেতনার মানুষকে বুঝাতে সক্ষম হয়েছে যে, তারা মানুষের নয় বানরের বাচ্চা। চেতনায় গর্ধব হতে চার পা আর লেজের প্রয়োজন হয় না। একজন মানুষ তার চিন্তার ব্যপতি এবং সিদ্ধান্তের প্রকৃতির মাধ্যমে মানুষ হিসেবে দাবি করার যোগ্যতা অর্জন করে। নতুবা সমাজে সে গাধা হিসেবে পরিচিত হয়। সেই হিসেবে আজকের সমাজের নাস্তিকগুলোকে গাধা বললে অন্যায় হবে না। তাদের লেজ নেই তারপরও যদি তারা মনে করতে পারে যে তারা বানরের বংশধর তবে, চার পা, থাকলেও তাদের কে কেন গাধা বলা যাবে না? কারণ গাধাতো বানরের চেয়ে অনেক বেশি উপকারী ভারবাহী প্রাণী।

সর্বশেষে, একথা না বললেই নয় যে পশ্চাত্য জগতের বাঘা বাঘা বিজ্ঞানীরা ইতোমধ্যে হাজার হাজার প্রমান উপস্থাপন করেছে যে ডারউইনের উৎঘটিত তথ্যসমূহ সম্পূর্ণই ভিত্তিহীন।

নাস্তিকতা দিয়ে শুরু, পরবর্তীতে তাদেরকে সমলিংঙ্গে বিবাহ এবং সর্বশেষ জন্তু জানোয়ারের সাথে শারিরীক সম্পর্কের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়াই হচ্ছে শয়তানের চূড়ান্ত উদ্দেশ্য। শয়তানের উপস্থিতি নাস্তিকরা বিশ্বাস করুক আর না করুক, পশ্চাত্য দেশসমূহ সিভিলাইজেশনের নামে যে এনিমালাইজেশনের দিকে দ্রুত ধাবমান তা আমরা প্রতি নিয়তই প্রতক্ষ্য করছি। আমেরিকা আইন জারী করেছে যে পশুর সাথে মানুষের মিলনে কোনো বাধা নেই।

এটা হচ্ছে নাস্তিকের দ্বিতীয় শেষ পরিনতি আর সর্বশেষ পরিনতিটি হচ্ছে খোদাই গজব। যে গজবে আমেরিকা ইতোমধ্যেই আক্রান্ত এবং দ্রুত ধাবমান ধংসের শেষ প্রান্তে পৌঁছাতে। এ দেশে নাস্তিকতার মগজ ধোলাই কিভাবে করা হচ্ছে তা জানতে হলে ক্লিক করুন।

আর আমেরিকা কিভাবে ধ্বংস হচ্ছে তা জানতে হলে ক্লিক করুন
৯টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তোমাকে লিখলাম প্রিয়

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ০২ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০১


ছবি : নেট

আবার ফিরে আসি তোমাতে
আমার প্রকৃতি তুমি,
যার ভাঁজে আমার বসবাস,
প্রতিটি খাঁজে আমার নিশ্বাস,
আমার কবিতা তুমি,
যাকে বারবার পড়ি,
বারবার লিখি,
বারবার সাজাই নতুন ছন্দে,
অমিল গদ্যে, হাজার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ মিসড কল

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়

লিখেছেন ঢাকার লোক, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:০৭

সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩



সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইল বিরোধী প্রতিবাদ বিক্ষোভ

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ০৩ রা মে, ২০২৪ সকাল ৮:০২

গাজায় হামাস উচ্ছেদ অতি সন্নিকটে হওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্ক ও লসএঞ্জেলসে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরেছিল। আস্তে আস্তে নিউ ইয়র্ক ও অন্যান্ন ইউনিভার্সিটিতে বিক্ষোভকারীরা রীতিমত তাঁবু টানিয়ে সেখানে অবস্থান নিয়েছিল।


... ...বাকিটুকু পড়ুন

×