somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এক্সট্রা লার্জ ফুটোস্কোপিক সচিত্র অডিওভিস্যুয়াল ডিজিটাল রুপকথা : হিট লেখক

০৬ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ২:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ফুটোস্কোপিক হচ্ছে ফুটোস্কোপ দিয়ে দেখা গল্প। সামান্যই দেখা যায়। বলেছেন হিমু।
আর এক্সট্রা লার্জ ফুটোস্কোপিক রুপকথা মানে, ফুটোটা আকারে বড়, আর রুপকথাটি ছবি, ভিডিও, অডিও এবং ওয়েব লিংক দ্বারা সমৃদ্ধ

হিট লেখক
- এক দেশে ছিল এক হিমু
- কোন দেশে?
- এই দেশে।
- তারপর?
- তার ইচ্ছা সে খুব হিট লেখক হবে। কাতারে কাতারে মানুষ তার বই কিনবে। বই ছাপা হওয়ামাত্র সব কপি শেষ হয়ে যাবে। সকালে একটা এডিশন বের হবে, তো দুপুরে আরেকটা এডিশন প্রেসে চড়বে। সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়বে বইটা কিনতে। মেয়েরা তরল গলায় বলবে, ভাইয়া একটা অটোগ্রাফ ...
- তারপর?
- লেখকের তোষকের নীচে তার লেখা কিছু পুরনো গল্প ছিল। তিনি ওগুলো ঘর ঝাড়– দিয়ে কিছুদিন আগেই খুঁজে বের করেছিলেন, পুরনো কাগজ হিসেবে বেচে দিয়ে কটকটি খাবেন বলে। তো সেই আবর্জনাগুলোকে এক করে (মানে সংকলিত করে ) বই বের করে ফেললেন।
- কি বই?
- এই বই ।
-তারপর?
- বই তো বের হলো। এখন তো ঢোল বাজাতে হবে। হিমু সাহেব কিছু ঢুলি জোগাড় করলেন। তারপর সেই বই নিয়ে শুরু হলো লংকা কান্ড। এক বড় ভাইয়ের হাত পা ধরে সেই বইটার খুব জম্পেশ বাক বাকুম মার্কা একটা মোড়গ উন্মোচন করা হল।
- মোড়গ উন্মোচন কী?
- মোরগ হচ্ছে মুরগির হাজবেন্ড। মুরগি ডিম পাড়ে, মোড়ক শুধু কক কক করে। মোড়গ উন্মোচন হচ্ছে কক ককানি উৎসব।
- আচ্ছা। তারপর কী হলো?
- খুব ঢাকঢোল পিটিয়ে মোড়গ উন্মোচন করা হল। বইমেলা চত্তরে ঢুলীরা সবাই ঢোল বাজালোনারী এমনকি শিশুরাও ঢোল বাজাতে ছাড়লেন না। সেঁকিঁ হাঁতঁতাঁলিঁ বাঁজঁলোঁ। সেই হাততালির চোটে বাংলাদেশের সমস্ত অতিথি পাখি ভয়ে সাইবেরিয়ায় ফিরে গেল। সবাই বই নিয়ে ভালো ভালো কথা বললেন আর কি। বইটির ভূয়সী প্রশংসা করা হল । সেই বড় ভাইয়ের বদৌলতে একটা ছিটি পুরষ্কারের ব্যবস্থাও হলো । চারিদিকে ধন্য ধন্য পড়ে গেল। আরও কত কিছু যে করা হল ...
- আর কি কি করা হল?
- ব্লগে গাদা খানেক পোস্ট দেয়া হল , লেখকের অডিও সাক্ষাৎকার নেয়া হল , ওয়েব সাইট খোলা হল , মতামতের জন্য পুল ওপেন করা হল । আরও কত কি ...... সবই লেখকের ঐকান্তিক চেষ্টায়। কিন্তু তা হলে কী হবে? সেই বই আ-আ-আ-র চলে না। এতো বাজনাবাদ্যির পরও মাত্র ৩ কপি বিক্রি হল। একটা কিনলো হাজী মামুন , আরেকটা বই কিনলেন লেখক নিজে , তিনি একটা বিদেশী হুন্ডি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রকাশককে বইয়ের মূল্য পাঠিয়ে দিলেন। প্রকাশক আরেকটা বিদেশী কুরিয়ার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এক কপি বই পাঠিয়ে দিলেন লেখক হিমু সাহেবকে। ৩য় বইটা যে কে কিনলো, সেটা বেরই করা গেল না। বোধহয় মিথষ্ক্রিয়ায় সুবিধা করতে না পারা কোনও অতিথি লেখক হবেন।
- তারপর?
-তারপর লেখকের মন খুব খারাপ। ভাবলেন হায় হায়, তার বুঝি লেখক হওয়া হলো না। এদিকে দিন পার হয়, বছর পার হয়, কলমের কালি শুকিয়ে যায়, অবিক্রিত বইয়ের কপিতে বর্ষার বৃষ্টিতে ছাতা ধরে , লেখকের চুল বড়ো হতে থাকে ..... তখন তার বন্ধু হাজী মামুন তাকে একটা আইডিয়া দিল, ওস্তাদ আরেকটা বই লেখেন ... যে বই বাবা কিনবে এক কপি, ছেলে লুকিয়ে কিনবে আরেক কপি। লেখক ধমক দিয়ে হাজীকে থামিয়ে দিলেন। বললেন, চটি আমি লিখবো না রে, মান সম্মান যা অবশিষ্ট আছে, কিছুই থাকবে না। তখন হাজী মামুন তাকে বুদ্ধি দিল, এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে হিট ব্যাক্তি হচ্ছে মুসা ইব্রাহীম । আপনে তার জীবনী লেখেন। লেখক হাজী মামুনকে আরেকটা ধমক দিলেন। এবারেরটা বেশ জোরে।
- কেন?
- কেন আবার? মুসার জীবনী লেখার জন্য কত লোক লাইন দিয়ে আছে। হক, রবি, সিমু ....আর তাছাড়া মুসা নিজেই তো লেখক, সে তার কাহিনী অলরেডি লেখা শুরু করে দিছে।
- তারপর কী হল ...
- হঠাৎ তখন লেখকের মাথায় একটা আইডিয়া এলো। যেটাকে বলে অ্যান আইডিয়া ক্যান চেঞ্জ ইয়োর লাইফ। মুসা তো উচুঁতে উঠে রেকর্ড গড়েছেন, লেখক নিচুতে নেমে রেকর্ড করবেন। মুসাকে তিনি এভারেস্ট থেকে টেনে নামাবেনই। তসলিমা নাসরিন যেমন লজ্জা লিখে হিট হয়ে ছিলেন। ওটি দেখে এক মাওলানা ‘তসলিমার লজ্জা’ নামে আরেকটি বই লিখে ছিলেন, সেটিও হিট হয়েছিল। কাজেই মুসাকে নিয়ে কুৎসা লিখলে ওটা তো হিট হবেই। তখন লেখক করলো কি আদার সাথে জল মেশালো, তার সাথে মেশালো একটু বিয়ার। তারপর আদাজলবিয়ার খেয়ে তিনি লিখতে শুরু করলেন। কয়েক ছত্র লিখলেন। কিন্তু এতো অল্প লেখায় কি আর বইয়ের ফর্মা পুরে। এজন্য তিনি হঠাৎ তেনা প্যাচাতে শুরু করলেন। তবুও তো বইয়ের মাল মশলা শেষ হয় না। তখন লেখক করলেন কী...গণহারে সবাইকে ভিওআইপিতে ফোন দেয়া শুরু করলেন। এদিকে বাংলাদেশের টেলিফোন সংস্থা তো রেগে বুম। কোথা থেকে এতো অবৈধ ভিওআইপির কল আসে?তারা গণহারে সবাইকে জরিমানা করে বসলেন । কত কোম্পানির কপাল পুড়লো । আর লেখক ত্যানা প্যাচাতেই থাকলেন।

- তারপর?
- তারপর আবার কী! ঘটনা প্যাঁচ খেয়ে গেল
- ভালোই তো চলছিলো, তাহলে ঘটনা প্যাঁচ খেলো কেন?
- কেননা ফিফা প্রমাণ দিতে থাকলেন যে হিমুর যা লিখছে সবই হাড়ে বংশে মিথ্যা।
- তারপর কী হল?
- কী আর হবে? লেখক উল্টা পাল্টা লেখা শুরু করলেন ।
- কী রকম উল্টাপাল্টা?
- রে পামর এই লিংকের ৬২.২.২ নং মন্তব্য দ্যাখ।





সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:০২
৫৭টি মন্তব্য ৪২টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×