somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

PARIS IS BURNING. WHO CARES?

০৩ রা জুলাই, ২০২৩ রাত ৮:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পৃথিবীতে সিভিলাইজড এবং ইতিহাস ঐতিহ্যে সৌন্দর্য ভরপুর শহরগুলির মধ্যে একটা শহর হচ্ছে প্যারিস। সবচেয়ে সুন্দর শহরগুলির একটা জ্বলতে চোখের সামনে দেখাটা একটা ভয়াবহ অনুভূতি। ঘন্টাখানেক আগে খবর এসেছে, প্যারিসের একটা সাবার্বের মেয়র অভিযোগ করেছেন তাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে, তার স্ত্রী, সন্তান আহত হয়েছে। ফ্রান্সে এখন যা হচ্ছে তা মূলত একটা রায়ট, ধর্ম আর রেসিজম মিলেমিশে যা হয়েছে সেটা মূলত একটা আধুনিক কুরুক্ষেত্র। কালো সাদার দ্বন্দ্ব আগেই ছিলো সাথে যুক্ত হয়েছে ধর্মীয় পরিচয়।
আলজিরিয়ান বংশোদ্ভূত ১৭ বছরের মুসলিম তরুণ নাহেলকে এক পুলিশ গুলি করেছে। পুলিশ কর্তৃক এমন আচরন কখনই কাম্য নয়। আমি বা আমরা যারা মানবাধিকার কর্মী আমরা কখনও এভাবে নাহেল হত্যাকে মেনে নিতে পারি না এবং স্পষ্টত এইটা মানবাধিকার লঙ্গন।কিন্তু আপনি একই সাথে খবর নিয়ে দেখেন ফ্রান্সের পুরো এডমেনিস্ট্রসন একসাথে জোর গলায় জানিয়ে দিয়েছে এই হত্যার পরিপূর্ণ এবং সুষ্ট বিচার হবে এবং সেটা তারা শুরু করে দিয়েছে। সেই পুলিশকে অলরেডি মার্ডার কেসের চার্জে ফেলে ডিটেনশনে নেয়া হয়েছে।

কিন্তু এইদিকে কি হয়েছে?
যারা প্রতিবাদ করছিলো তারা এই জিনিস এমন ধর্মীয় জায়গায় নিয়ে গেছে, ৮০ বছর বয়সী গির্জার ফাদারকে পেটানো হয়েছে, দোকানপাট লুট, মার্সেইতে লাইব্রেরী পুড়ানো, পাবলিক ট্রান্সপোর্ট বন্ধ করা- এই মুহূর্তে ফ্রান্স পুরো দুনিয়ার লিড নিউজে বসে আছে। ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্ট জরুরী এলার্ট জারি করেছে। ইউরোপের প্রায় সব দেশ ট্রাভেল এলার্ট জারি করেছে। প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রো তার সফর বাতিল করেছেন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের জন্য।
সম্ভবত সামনে একটা জরুরী অবস্থা ঘোষণা করা হতে পারে।
এইজন্য এখন সবচেয়ে উগ্র আচরণ কারা দেখাচ্ছে?
উত্তর হচ্ছে- মেইনলি মুসলিমরা।
অথচ আপনি জেনে অবাক হবেন কাবা শরীফে যখন জিম্মি নাটক সাজানো হয়েছিল, তখন গিয়ে কাবা উদ্ধার করেছিল ফ্রেঞ্চ মিলিটারি!
কোনো তথাকথিত মুসলিম দেশ না। অথচ শার্লি হেবদোর ঘটনার পর ফ্রান্সকে বয়কট করার হিড়িক কেন পড়েছিল?
কারণ শার্লি হেবদোর ঘটনায় ফ্রান্সের সাধারণ মানুষ বাক স্বাধীনতার পক্ষে দাঁড়িয়েছিল।
দুনিয়ায় ধর্ম একটা না, আরো ধর্ম আছে। কিন্তু ধর্মের দোহাই দিয়ে মানুষের স্বাভাবিক জীবনের বারোটা বাজানো, অন্য ধর্মের যাজককে লাঞ্চিত করার অধিকার কারোর নাই। এইগুলি একেকটা ক্রাইম।
যারা অন্যদের মানুষ হিসেবে ট্রিট করতে শেখে নাই, নিজেদের ওপর অন্যায়ের জন্য অন্যদের ওপর অন্যায় করতেছে- তারা ন্যায়বিচার পাবে কেমন করে?
ধর্ম যদি মানুষকে বর্বরতা হাত থেকে সামনে নিয়ে আসতে পারে তবে কেনও এই শতাব্দীতে এসেও নির্দিষ্ট কিছু ধর্মের মানুষ এমন বর্বরতা আর হিংস্রতা চালায়।
কিন্তু এই কথা গুলো বলতে এখন থেকে আমাকে কী ১০০ বার চিন্তা করতে হবে? হয়ত পরেরবার এই কথা বলতে আমি ভয় পাবও কারন আমার সামনে আমি দেখেছি কী বিশাল ধ্বংসলীলা
অথচ আমার বলতে ভালো লাগে-
মিথ্যা শুনিনি ভাই,
এই হৃদয়ের চেয়ে বড়ো কোনো মন্দির কা'বা নাই।

আপনি না পারলেন মানুষকে আপন করে নিতে, না পারলেন ধর্মীয় সহাবস্থান রাখতে, না পারলেন অন্য ধর্মের মানুষের জন্য আশ্রয় হতে। আপনি নিজেকেই নিজে চিনলেন না, অন্যের ব্যথার কারণ হলেন, এখন আপনি ব্যথা পেলে অন্যমানুষ আপনার ব্যথা চিনবে- এই আশাই বা কেমনে করেন?
আপনি শান্তির কথা বলে মানুষের শান্তি শেষ করে দিলেন, কাজটা কি ঠিক হলো?
যে ধর্মের দোহাই দিয়ে মানুষের শান্তি শেষ করে দেয়, সেই স্বার্থপর কেমন করে শান্তি পাবে?

সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জুলাই, ২০২৩ রাত ৮:০৪
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৩২

আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে[

স্বাধীন সাংবাদিকতার কণ্ঠরোধে রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা, মব-রাজনীতি ও এক ভয়ংকর নীরবতার ইতিহাস
চরম স্বৈরশাসন বা ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রেও সাধারণত সংবাদমাধ্যমের কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার সাহস কেউ করে না। কারণ ক্ষমতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

=হিংসা যে পুষো মনে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৮


হাদী হাদী করে সবাই- ভালোবাসে হাদীরে,
হিংসায় পুড়ো - কোন গাধা গাধিরে,
জ্বলে পুড়ে ছাই হও, বল হাদী কেডা রে,
হাদী ছিল যোদ্ধা, সাহসী বেডা রে।

কত কও বদনাম, হাদী নাকি জঙ্গি,
ভেংচিয়ে রাগ মুখে,... ...বাকিটুকু পড়ুন

গণমাধ্যম আক্রমণ: হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিলেন নূরুল কবীর ও নাহিদ ইসলাম !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:০৫


জুলাই গণঅভ্যুত্থানের রক্তস্নাত পথ পেরিয়ে আমরা যে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলাম, সাম্প্রতিক মব ভায়োলেন্স এবং গণমাধ্যমের ওপর আক্রমণ সেই স্বপ্নকে এক গভীর সংকটের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। নিউ এজ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিএনপিকেই নির্ধারণ করতে হবে তারা কোন পথে হাটবে?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:০৫




অতি সাম্প্রতিক সময়ে তারেক রহমানের বক্তব্য ও বিএনপির অন্যান্য নেতাদের বক্তব্যের মধ্যে ইদানীং আওয়ামীসুরের অনুরণন পরিলক্ষিত হচ্ছে। বিএনপি এখন জামাতের মধ্যে ৭১ এর অপকর্ম খুঁজে পাচ্ছে! বিএনপি যখন জোট... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় আগ্রাসনবিরোধী বিপ্লবীর মৃত্যু নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৭



শরিফ ওসমান হাদি। তার হাদির অবশ্য মৃত্যুভয় ছিল না। তিনি বিভিন্ন সভা-সমাবেশ, আলোচনা ও সাক্ষাৎকারে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি অনেকবার তার অস্বাভাবিক মৃত্যুর কথা বলেছেন। আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও ভারতবিরোধী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×