যেসব বাচ্চারা ইন্টারনেট ব্যবহার করে চ্যাট, টেক্সট মেসেজিং অথবা ব্লগ লিখে, তাদের লেখালেখির দক্ষতা তুলনামূলকভাবে ভালো হয়। এ তথ্য জানা গেছে বৃটেনের ন্যাশনাল লিটারেসি ট্রাস্ট কর্তৃক পরিচালিত এক জরিপে। খবর বিবিসি অনলাইনের।
ন্যাশনাল লিটারেসি ট্রাস্ট ৯ থেকে ১৬ বছর বয়সী ৩ হাজার ১ জন বাচ্চার উপর পরিচালিত এক জরিপের ফলাফলে দেখতে পায় যে, এদের মধ্যে ২৪ শতাংশ ব্লগ লিখে থাকে এবং ৮২ শতাংশ মাসে অন্তত একটি টেক্সট মেসেজ পাঠিয়ে থাকে। এছাড়াও এদের মধ্যে ৭৩ শতাংশ ইন্টারনেটে বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং বা চ্যাট করে অভ্যস্ত।
ন্যাশনাল লিটারেসি ট্রাস্টের পরিচালক জোনাথন ডগলাস বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমাদের এই গবেষণায় দেখা গেছে, যারা প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন বই পড়েন ও লিখেন, তাদের সঙ্গে বেশ মিল রয়েছে সেসব বাচ্চাদের যারা ইন্টারনেটে যোগাযোগের বিভিন্ন প্রযুক্তি যেমন ব্লগিং, চ্যাটিং ইত্যাদি ব্যবহার করে থাকে।
তিনি আরো বলেন, ‘প্রযুক্তির সঙ্গে এসব বাচ্চাদের পরিচয় করিয়ে দিলে তারা ছোটগল্প, চিঠি-পত্র, কবিতা, ডায়েরি কিংবা গানের কথা লিখতে উৎসাহিত হয়ে থাকে।’
বর্তমান প্রজন্মে ইন্টারনেট চ্যাট ও ব্লগে অধিকাংশ মানুষই কথ্য ভাষাতেই লিখে থাকে যেখানে ব্যাকরণ ও বানানের প্রচুর ভুল থাকে। তবে ডগলাস এসব বিষয়ে সমালোচনা করা সমর্থন করেন না বলেই জানিয়েছে বিবিসি। কারণ তার মতে, বাচ্চারা যত বেশি যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহার করতে পারবে, তারা ততো বেশি শিক্ষিত হওয়ার সুযোগ পাবে এবং শিক্ষিত হয়ে গড়ে উঠবে।
অবশ্য শিক্ষকরা মনে করেন না যে বাচ্চাদের ক্লাসরুমে বসে ইন্টারনেটে বেশি সময় ব্যয় করা উচিৎ। ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন ফর প্রাইমারি এডুকেশনের জেনারেল সেক্রেটারি জন এর মতে, অধিকাংশ প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকরা বাচ্চাদের অধিক সময় কম্পিউটার ব্যবহার করতে দেয়া ঠিক কি না এ ব্যাপারে অনিশ্চিত। তবে, তিনি বাচ্চাদের প্রযুক্তিগত সুবিধা দেয়ার পক্ষে মত দেন।
সূত্র: Click This Link

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




