somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলাদেশ পুলিশ এবং কিছু বাস্তবতা।দয়া করে সম্পুর্ন পড়ে তারপর পুলিশ কে গালি দিন

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অনেকদিন থেকেই দেখছি কিছু হলেই পুলিশ কে গালি।লিখব লিখব করে আজ লিখেই ফেললাম।একবার হলেও দেখে যান বাস্তবতা।

আজকে এক ব্লগার ভাই কোন এক পোস্টে বলেছেন “আমরা চাই, এমন একটি সুসভ্য পুলিশ বাহিনী, যার উপর দেশের ধনী-গরীব, শিক্ষিত-অশিক্ষিত, শহরের-গ্রামের সবাই আস্থা রাখতে পারবে, বিপদে নির্দিধায় যেতে পারবে পুলিশের কাছে। মানুষের জীবন হবে নিরাপদ। “

ভাই আপনার কাছে এটি প্রশ্ন, আমরা কি সুসভ্য জাতি? শুধুমাত্র সুসভ্য জাতি হলেই আমরা একটি সুসভ্য পুলিশ বাহিনী পাব।অনেকেই বলে ইউকে,আমেরিকার পুলিশ কত ভালো ,আমাদের পুলিশ সেরকম হয় না কেন? আরে ভাই ওইসব দেশের পাব্লিক কিরকম আর আমদের কিরকম? পুলিশে লোকজন তো আমাদের সমাজ থেকেই যায়,তারা তো আর বাইরের কোন দেশ থেকে আসে না? আমরা যেরকম ,আমদের পুলিশ ও সেরকম।
সবাই শুধু একবাক্যে পুলিশের উপরে দোষ চাপিয়ে খালাস আর কিছু দেখার সময় নাই।আরে ভাই আমাদের দেশের পুলিশ চলে এখনও ১৮৬১ সালের পুলিশ এক্ট দিয়ে যা ব্রিটিশ রা বানিয়ে ছিল শুধু মাত্র তাদের সার্থ উদ্ধারের জন্য, মারপিট করে খাজনা আদায় করার জন্য,লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে ব্যহারের জন্য।এজন্য তারা service oriented police act না করে ,করেছিল এমন এক পুলিশ বাহিনী যা শুধু তাদের ক্ষমতা ধরে রাখতে সাহায্য করবে আর নিজেদের দেশের জন্য বানিয়েছিল service oriented police act যেখানে কিনা এক জন constable ও একজন officer।আর সেখান কার এক জন পুলিস অফিসার prime minister এর গাড়ি কে থামাতে পারে কর্তব্যের খাতিরে।

এখন আসি বাংলাদেশের পুলিশে, সেই ব্রিটিশ রা আইন করে দেয়ার পর সময় চলে গেছে।এরমধ্যে অনেকবার ক্ষমতার পালাবদল হয়েছে কিন্তু কেউ আর সেই আইন টা পরিবর্তন করে নি।কেন করবে?তারা কি আমার আপনার মত গাধা নাকি যে এত সুন্দর অস্র টা হাতছাড়া করবে।সামনে শুধু মূলো ঝুলিয়ে রেখেছে যে পরিবর্তন করব,আগামীবার ক্ষমতায় গেলে নিশ্চিত করব।কেউ কি চায় নিজের ক্ষমতা কমাতে? চায় না।বাংলাদেশের পুলিশ বাহিনি সম্পূর্ন ভাবে সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত সোজা কথায় পলিটিক্যাল পার্টি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।আজ লীগ তো কাল বিএনপি।জনগনের জন্য কাজ করার সময় কই এদের কাজ করেই সময় পাওয়া যায় না।আপনি একজন সৎ পুলিশ অফিসার,আপ্নাকে সৎ থাকতে দেবে তো?
অনেক কষ্ট করে আপনি অপরাধী ধরলেন,তারপর কি হল?দেখা গেল ওই সন্ত্রাসী ওমুক দলের লোক বা ওমুক এমপির লোক।শুরু হয়ে গেল ফোনের পর ফোন তা না হলে থানা ঘেরাও।কার এত বড় বুকের পাটা এমপির এলাকায় এমপির কথা শুনবে না?না শুনলে খবর আছে, স্বরাষ্টমন্ত্রি কে বলে এক্ষুনি ট্রান্সফার,ওএসডি,সা্সপেন্ড করিয়ে দেব,বেশি বাড়াবাড়ি করলে বাধ্যতামূলক অবসর অবাধ্য হওয়ার জন্য।আর মিডিয়া তো আছেই একাজে সাহায্য করার জন্য, জেলা প্রতিনিধি কে বলে দিব এমন সব নিউজ দিতে যাতে ওই পুলিশ অফিসার বলে, ছাইড়া দে মা কাইন্দা বাচি।কত্তবড় সাহস আমি ওমুক দলের তমুক নেতা ,আমার কথা শুনে না।শালা যত দোষ পুলিশের,কিছু করলে দোষ আবার কিছু না করলেও দোষ।মাইনক্যা চিপা কারে কয় হাড়ে হাড়ে টের পাইবা।বিরোধি দলের কোন নেতারে ধর তাতেও নিস্তার নাই,এমন সব থ্রেট দিব কইলজা শুকায়া যাইব,তারা কি কম নাকি?এক কাজ কর কাউরে ধরার ধরকার নাই,চুপচাপ বইসা থাক,ওরে খাইছে মিডিয়া আছে না,সুশীল সমাজ আছে না!!!তার কি কোন উপায় আছে??
এখন শুনেন মিডিয়ার কথা।রাত ১১ টা দিকে ওমুক পত্রিকার তমুক প্রতিনিধি ওসি সাহেবের রুমে। কিরে ঘটনা কি ,ঘটনা হইল এই যে,ঃ
সাংবাদিকঃ ওসি সাহেব, আপনার এলাকায় তো আইনশৃংখলা পরিস্থিতি তো খুব খারাপ।ভাবতাছি কাল একটা বিশাল নিউজ দিমু এইটা নিয়া।আপ্নি কি কন?
ওসি ঃ ভাই কি যে বলেন না।ভাই চা দিতে বলি চা খান।আপ্নারে আমাদের সাথে এরকম করলে চাকরি কিভাবে করব,বলেন? আমার ক্যারিয়ার টা ধংস কইরেন না।আপ্নার জিনিস রেডি আছে।

(এই বলে ওসি সাহেব দশ হাজার টাকার একটা বান্ডিল সাংবাদিক সাহেবের হাতে ধরাইয়া দিলেন)
সাংবাদিকঃ না না ,এসবের কি দরকার ছিল।আপ্নি বললে আমি এম্নিতেও লিখতাম না।শুধু শুধু কস্ট করলেন।
ওসি ঃ না না রাখেন,এ আর এমন কি?
সাংবাদিকঃ ভাই,আপ্নার মত ভালো ওসি আমি আমার সাংবাদিকতা জীবনে কমই দেখেছি।চিন্তা করবেন না আমি থাকতে কেউ আপনার বিরুদ্ধে টু শব্দটাও লিখবে না।আচ্ছা এখন তাহলে যাই,প্রেস ক্লাবে একটা মিটিং আছে।আমি কিন্তু মাঝে মাঝেই আসব।
ওসি ঃ ঠিক আছে।আর অই ব্যাপারটা কিন্তু মাথায় রাইখেন।

এই হইল ঘটনা।মিডিয়া ইচ্ছা করলে রাতকে দিন বানাতে পারে আবার দিনকে রাত।্মিডিয়ার লোকজন সব একজ়োট হয়ে যদি কারো পিছনে লাগে,তাইলে তার ক্যারিয়ারের বারোটা বাজতে বেশি টাইম লাগবো না।এর জন্য পুলিশ ও সাংবাদিক দের সাথে লাগতে চায় না।দেখবেন সাংবাদিক দের মোটরসাইকেল কিংবা গাড়িতে সাংবাদিক কথাটা লেখা থাকে যাতে পুলিশ আগে থেকেই সাবধান হতে পারে যে এই গাড়ি আটকানো যাবে না।আটকালেই আমার নামে নিউজ দিয়ে দিবে যে আমি রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে চাদাবাজি করেছি।
আর পাব্লিক এসব নিউজ খুব খায়।পুলিশ নিয়ে যত খারাপ কথা লিখবেন তত বেশি তা পাব্লিক খাবে।পাব্লিক কি আর দেখতে যাবে কতটুকু সত্য না মিথ্যা।
এসি আকবরের কথা মনে আছে?ওই যে এক সাংবাদিক কে ঘুষি মারতে গিয়েছিল।সব পেপারে হেডলাইন এসেছিল ছবি সহ।আগের ঘটনা কয়জন জানে,সাংবাদিক রা আগে তার উপর চড়াও হয় এবং একজন সাংবাদিক তাকে ঘুষি মারে,তারপর না তিনি ওই সাংবাদিক মারতে যান আর সেই ছবি দিয়ে তার পুলিশ জীবনের ক্যারিয়ার ধংস।আমাকে কেউ ঘুষি মারলে, আমি নিজেও কি তাকে ছেড়ে দিব?কি মনে হয় আপ্নাদের।আর সে তো ছিল ডিউটিরত একজন পুলিশ অফিসার।পুলিশ বাহিনি তে অনেক সত,সাহসী লোক আছেন কিন্তু কত আর ঝামেলা স হ্য করা যায়।এক সময় গিয়ে সেই প্রফেশ্নালিজম আর থাকে না।
বাংলাদেশের আর কোন জব আছে যেটা পুলিশের চেয়ে বেশি রিস্কি?আমার জানা মতে নেই।মিছিল,হরতাল,বোমাবাজি কখন কোন দিক দিয়ে একটা ইটের টুকরা বা বুলেট এসে গায়ে লাগবে তার কোন গ্যারান্টি আছে?মাঝে মঝে পাব্লিকের মার খেয়ে আজ্রাইলের সাথে বাধ্য হয়ে দেখা করতে হয়।হরতালের সময় পুলিশ দেখে যেন কেউ সরকারি বা বেসরকারি সম্পতি ভাংচুর না করতে পারে,পাব্লিক যেন সহজে চলাচল করতে পারে,গাড়ি যেন না ভাঙ্গা হয়,এসব পুলিশের ডিউটি।আর ডিউটি পালন করতে গেলেই দোষ,পুলিশ কেন আমাদের ভাংচুরে বাধা দেয়
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১২:০২
৮টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্যবহারে বংশের পরিচয় নয় ব্যক্তিক পরিচয়।

লিখেছেন এম ডি মুসা, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৫

১ম ধাপঃ

দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে কত মানুষের সাথে দেখা হয়। মানুষের প্রকৃত বৈশিষ্ট্য আসলেই লুকিয়ে রাখে। এভাবেই চলাফেরা করে। মানুষের আভিজাত্য বৈশিষ্ট্য তার বৈশিষ্ট্য। সময়ের সাথে সাথে কেউ কেউ সম্পূর্ণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন

অধুনা পাল্টে যাওয়া গ্রাম বা মফঃস্বল আর ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়া শহুরে মানুষ!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০০


দেশের দ্রব্যমুল্যের বাজারে আগুন। মধ্যবিত্তরা তো বটেই উচ্চবিত্তরা পর্যন্ত বাজারে গিয়ে আয়ের সাথে ব্যায়ের তাল মেলাতে হিমসিম খাচ্ছে- - একদিকে বাইরে সুর্য আগুনে উত্তাপ ছড়াচ্ছে অন্যদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমুল্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

×