কতোটা বিবেক বুদ্ধিহীন না হলে,
মানুষ নিজেকে এমন পৈশাচিক রুপে রুপান্তরিত করে।
ধিক তাদের !
আমি ধিক্কার জানাই
সেই সব নরপশুদের প্রতি!!
রাসেল,প্রিয় ভাই আমার,
নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির উদ্দেশ্যে
যারা তোর বুকের রক্ত দিয়ে হোলি খেলতে একটুও দ্বিধা করেনি।
ধিক! ধিক!!ধিক!!! সেই নরকের কীটদের।
আমি দুঃখ প্রকাশ করছি..
সমগ্র বাঙালি জাতির পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করছি-
নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারিনি আমরা তোর জীবনের
তোর সুন্দর শৈশব,কৈশর এবং যৌবনের।
প্রিয় ভাই,
না জানি কতটা কষ্ট দিয়ে তোকে ওরা আশার ছলনে ভুলিয়ে
অবশেষে তোর রক্ত শুষে
পৈশাচিক নৃত্যে মেতেছিলো ওরা।
আমি দেখিনি তোর কষ্টগুলো
তবু অনুভব করি।
আমি দেখিনি তোর কান্না
তবু যেন আমার কানে বাজে এখনও।
আমি দেখিনি,
থরে থরে পড়ে থাকা ছিন্ন ভিন্ন প্রিয় আপনজনের লাশের
বিভৎস বিকৃত অবয়বসমূহ।
তবুও অনুভব করি অন্তর থেকে।
প্রিয় বাবা, মা ,চাচা ,ভাই ভাবী সহ আরো অনেকের লাশ দেখে,
তোর সীমাহীন কষ্টের অনুভূতি কি হয়েছিলো?
আহ!!!
ওরা পিশাচ!
ওরা নরাধম!!
আমি যেটুকু শুনেছি,
যা জেনেছি।
সেটুকুতেই আমার গায়ের লোম আজো দাড়িয়ে যায়,
নিদারুণ ভয়ে আর আতঙ্কে।
হে সাহসী ছোট্ট বালক
তোর ছোট্ট প্রাণে কি করে ধরেছিলি এতোগুলো কষ্ট?
কান পাতলে,
আমি এখনও শুনতে পাই তোর চিৎকার,
সকরুণ আর্তনাদ
’আমি মায়ের কাছে যাবো!
’আমি মায়ের কাছে যাবো!
আমি চোখ বুঝলে
এখনো দেখতে পাই-
তোর ঝলসে যাওয়া পা,
তোর মস্তকবিহীন দেহটা।
স্রোতের মত বয়ে যাওয়া রক্ত সহ মগজ ও অন্যান্য দেহাংশ।
উফ! ওরা কি মানুষ!
ওরা তো পশুর চাইতে অধম।
ওরা জাতীয় বেইমান।
জাতির লজ্জা।
নয়তো এগারো বছরের ছেলের সাথে কি নিয়ে থাকতে পারে তাদের শত্রুতা?
আমি ক্ষমা চাই।
আমি করজোড়ে ক্ষমা চাই তোর কাছে ।
আমি বাঙালি জাতির হয়ে ক্ষমা চাই তোর কাছে প্রিয় ভাইটি।
নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারিনি আমরা তোর জীবনের।
তোর সুন্দর শৈশব,কৈশর এবং যৌবনের।
প্রার্থনায় রাখি তোকে সর্বদা,
ওপারে ভালো থাকিস ভাই আমার।
ভালো থাকিস সবসময়।
ভালো থাকিস তোরা সবাই।
© রফিকুল ইসলাম ইসিয়াক
ছবি গুগল থেকে। দুঃখিত ছবির লিঙ্কটি অসাবধানবশত হারিয়ে ফেলেছি।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:১৪