-রাতের আকাশ রঁচিতে পারে কি কোন কবিতা?
-পারে তো,পারে!
নক্ষত্রমালা সাজিয়ে বলে হৃদয়ের কথকতা।
-নদী? নদী কি পারে গাইতে গান?
-হ্যাঁ সেও পারে
সেও গায়, কখনও কুলকুল ধ্বনি স্বরে
কখনও আবার উন্মাদিনী কলোরবে।
-বাতাসে পেতেছো কান?
-কেন?
-শুনতে তাদেরই গান?
-হুম!
শুনি তো - শোনা যায়
তার - তাহার অবারিত কলতান।
-আর ছায়া,
আলো ছায়া কি বলে কোন কথা?
-বলে তো শুধু বলে ই না গায় সে বড় কাব্যিক গান
সে সব শুনতে হয় অনুভূতির স্পর্শে।
-রোদও সুর সাধে জানো তো!
-সে কী কিভাবে?
-তাপদাহের অস্থিরতায়
অনুভবের পারদে চড়ে রুক্ষতার আবির মেখে
ভয়ানক গুরুগম্ভীর সে গীত।
-বৃষ্টির গান?
-সে শুনি- সে শুনি - কে ই বা না শোনে
আহা মুগ্ধতা - একটানা রিমঝিম।
অতি মনোহর,অতি মনোরম।
-শরতের গান কি বলো তো?
- সে-তো নীল আকাশে মেঘের ভেলা।
- আর হেমন্তের?
-সে হিম ঝরা জমানো শিশির।
আর কবিদের গান?
-সেতো সব অক্ষর বিন্যাস্ত
লেখার আকারে কবিতা।
আহা কত গান কত সুর
মধুময় সুমধুর
হোক তবে এই গান
সুমধুর কলতান
ভোরে যাক মন প্রাণ
জীবনের জয়গান।
© রফিকুল ইসলাম ইসিয়াক
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৭:১৯