somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পাত্রী দেখার ১০ টি ট্রিপস

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সবার প্রথম মেযের বায়োডাটা ও ছবি দেখতে পারেন। এতে একটা প্রাথমিক ধারনা পাওয়া যায়। যদিও ছবি ও বাস্তবের মানুষের মাঝে বিস্তর ফারাক তবু যে মানুষ ছবিতে অসুন্দর সে বাস্তবে সুন্দর হওয়ার চান্স ২৫%।এতে আপনার পাত্রী ফিল্টার করতে সুবিধা হবে এবং অনাকাংক্ষিত ঝামেলা ও খরচ হতে বেচে যাবেন।অনেকেই আপনাকে অনেকভাবে প্রলোভন দেখাবে, অনেক সুন্দর সুন্দর কথা বলবে।কিন্ত মনে রাখবেন সবার সৌনন্দয্যবোধ এক রকম নয় আবার অনেকে শুধুমাত্র নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য আপনাকে মেয়ে দেখাবে। তাই আগেই ফিল্টার হওয়া ভাল।
১। যখন পাত্রী দেখতে যাবেন তখন যতটা সম্ভব আধুনিক ডিজাইনের পোষাক পড়ুন।দামী এবং ভাল মানের মিষ্টি নিতে ভুলবেন না।
২। যতটা সম্ভব নিজের মধ্যে একটা বেপরওয়া ভাব বজায় রাখুন কিন্তু কথনই অভদ্র আচরন করবেন না এবং কোন প্রশ্নের প্রতি প্রশ্ন বা অতি উত্তর দেবেন না।
৩। যখন মেয়েকে দেখবেন তখন সবার প্রথম দেখবেন তার হাত, কারন হাত দেখে তার মুখের রং সম্বন্ধে আসল ধারনা পাবেন।
৪। মেয়ের শারীরিক গড়ন বোঝার জন্য অবশ্যই অবশ্য একটু খোলামেলা পোষাক সবচেয়ে ভাল হয় শাড়ীতে তাকে দেখলে। আর এজন্য প্রয়োজনে মেয়ে পক্ষকে আগে হতে বলে রাখা যেতে পারে।
৫। মেয়ের সাথে একলা কথা বলুন-এটা শুধু আধুনিকতার জন্যই জরুরী নয় বরং জরুরী তার মনমানসিকতা বোঝার জন্য। আরও বেশি জরুরী তার বাবা মা যে জোর করে তার বিয়ে দিচ্ছে না তা পরিষ্কার হ্ওয়ার জন্য। এসময় অবশ্যই অবশ্যই যে প্রশ্নটি করবেন তা হল-আমরা তো একটা সম্পর্কের জন্য এখানে মিলিত হয়েছি....এব্যাপারে আপনার মতামত কি?আরেকটি মজার প্রশ্ন করতে পারেন…আপনি কখন প্রেম করেছেন?(আশা করি উত্তর অবশ্যই না হবে)তখন প্রশ্ন করবেন কেন করেননি?
মেয়ের উত্তর হতে তার মনোভাব তখা মতামত সম্পর্কে একটা সুরহা পাবেন।
আর এক্ষেত্রে কোন প্রকার লাজ-লজ্জার কোন অবকাশ নেই কারন এতে দুটি মানুষের সারা জীবনের প্রশ্ন জড়িত। ভেবে দেখুন আপনার একটু লাজুকতায় কেন আপনি বা আপনার জীবনসঙ্গী সারাজীবন মানসিক পীড়ায় ভুগবে।
৬।মেয়ের উচ্চতা বোঝার জন্য আশপাশের কারো সাথে তার উচ্চতার তুলনা করতে পারেন।
৭। খাওয়া দাওয়ার ক্ষেত্রে কখনই আগ বাড়িয়ে কিছু নেবেন না আর অতি ভোজন তো কখনই নয়।
৮। প্রথম দেখায় হতো আপনার পাত্রীকে ভাল নাও লাগতে পারে এবং আপনি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলতে পারেন যে এখানে আপনি বিয়ে করছেন না তারপরও আপনা আচরনে সেটা বুঝতে না দেওয়াই উত্তম কারন এতে কন্যা পক্ষ মনে শুধু খুব কষ্টই দেওয়া হবে না বরং আপনার ভবিষ্যৎ পাত্রী খোজার ক্ষেত্রেও তা নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।সুতরাং ভদ্র আচরনের কোন বিকল্প নাই।
৯।একসময় পাত্রীর অনেককিছু খুটিয়ে দেখা হত- তার চুল হতে শুরু করে পায়ের পাতা পযর্ন্ত।কিন্তু এখনকার যুগ যামানা তা তো আর সম্ভব নয়। কিন্তু সম্ভব না হলেও যতটা সম্ভব বেশি সময় নিয়ে এবং পরিবারের সে সব সদস্যদের নিয়ে দেখা যাদের ভাল লাগা এবং না লাগার উপর আপনার সিদ্ধান্ত নির্ভর করছে। তবে হ্যা পরিবারের সব সদস্যকে রাজি করিযে বিয়ে করবেন?-এমনটা আশা না করাই ভাল। কারন ঐযে আগেই বলেছি সবার সৌনন্দয্যবোধ এক রকম নয় আবার অনেকে শুধুমাত্র নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য বা নিজের মতামতকে প্রধান্য দিতে আপনাকে না বলবে। সেক্ষেত্রে আপনি নিজের বাবা-মা এবং নিজের মতামতকে প্রধান্য দিন। আর এজন্য দরকার আপনার নিজের মেয়েকে ভালমত দেখা যে কথা আগেই বলেছি।
১০। মেয়ে দেখার পর কখনই পাত্রী পক্ষকে আপনাদের সিদ্ধান্ত জানাতে দেরী বা তাড়াহুড়া করবেন না। আবার খুব রুঢ়ভাবে কখনই কাউকে প্রত্যাখান করবেন না। আমাদের সমাজে অনেকেই আছে যারা বিয়ে নামক পবিত্র সম্পর্কটাকে একটা ব্যবসায়িক তথা লাভ ক্ষতির ব্যাপার মনে করেন। তারা অর্থ বিত্ত ও সামাজিক অবস্থান লাভ করার একটি হাতিয়ার হিসাবে বিবাহকে বিবেচনা করে যা নিঃসন্দেহে একটি নিন্দনীয় কাজ। দুটি মানব-মানবীর ভাল লাগা, ভালবাসাই হতে পারে বিয়ের মূলমন্ত্র অন্য কিছু নয়। অনেকেই একটি পাত্রী দেখার পর আরো ভাল অফারের খোজে নেমে পড়েন এবং আগের টাকে হ্যা/না কিছুই বলেন না ।অনেক সময় আপনার অনেক নিকট আত্মীয় এরূপ ভূমিকায় অবতীন হবে। তখন যদি তাদের কথায় কান দেন তবে শেষে একুল-ওকুল দুকুলই হারেন। সুতরাং এমনটা কখনই করবেন না।
পরিশেষে বলি বিয়ে শুধু একটা সামাজিক অনুমোদন নয় বরং দুটি মানব-মানবীর সারাজীবন এক সাথে কাটানো জন্য জীবন সঙ্গী হিসাবে পরস্পরকে কাছে পাবার একটা দরজা বিশেষ। যে দরজা দিয়ে প্রবেশ করা খু্বই সোজা। কিন্ত আমরাই এই কাজটি জটিল করে তুলি। সুতরাং আসুন সকল প্রকার জটিলতা পরিহার করে উপরের বর্ণনা করা টিপস অনুযায় খুজে নেই নিজের মনের মানুষটিকে। ধন্যবাদ।
৭টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×