somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

গায়েন রইসউদ্দিন
আমি রইসউদ্দিন গায়েন। পুরনো দুটি অ্যাকাউন্ট উদ্ধার করতে না পারার জন্য আমি একই ব্লগার গায়েন রইসউদ্দিন নামে প্রকাশ করতে বাধ্য হয়েছি এবং আগের লেখাগুলি এখানে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য আবার প্রকাশ করছি।

দানবের পেটে দু'দশক (মূল গ্রন্থ- IN THE BELLY OF THE BEAST) পর্ব-২২

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আরএসএস-এর ছয়টি উৎসব
হিন্দু মন্দির ও পুরোহিতদের না চটিয়েও তাদের বাদ দিয়ে চলার এক চতুর প্রচেষ্টা
ছয়টি “পবিত্র” দিনকে সঙ্ঘ পরিবার হিন্দু গৌরবের প্রতীক হিসেবে উদযাপন করে। এই ছ’টি দিন উদযাপন করার মধ্য দিয়ে তাদের সংগঠনগুলির কাজকর্মে বাড়তি উৎসাহ আসে। উৎসবের দিনগুলিতে যত বেশি সম্ভব স্বয়ংসেবক (নিয়মিত ও অনিয়মিত) জড়ো করে প্রতিটি শাখা তাদের শক্তি জাহির করে। সপ্তাহান্তে সভায় সারা শহরে বা জেলায় মোট উপস্থিতির হিসেব নেওয়া হয়। উৎসবের দিন নিয়মমাফিক শারীরিক কসরতের পর একজন বক্তা—
সাধারণত শহর বা জেলার কোনও সিনিয়র নেতা—
এই উৎসবের গুরুত্ব বোঝানোর জন্য একটি ভাষণ দেন।
ভাষণটি হয় লম্বা, একতরফা, ভুল ও অনেক ক্ষেত্রেই বিকৃত তথ্যে ভরা। আলাপ আলোচনা বা প্রশ্নের কোনও অবকাশ দেওয়া হয় না। এমনকি হর্ষধ্বনি করা বা হাততালি দেওয়াও বারণ। সদস্য নন এমন কেউ উপস্থিত থাকলে তাকেও বলে দেওয়া হয় হাততালি না দিতে। সঙ্ঘের সমস্ত সভায় একই নিয়ম—তা সে উৎসবের দিন হোক, বা বার্ষিক প্যারেড, কিংবা সরসঙ্ঘচালকের প্রকাশ্য সভা। “প্রকাশ্য” সভাতেও শ্রোতা কারা হবেন, সেটা আগে থেকে স্থির করা থাকে। সেখানেও আগে থেকে বলে দেওয়া হয় কোনওরকম আবেগ প্রদর্শন না করতে। সামরিক ধরনের শৃঙ্খলা মেনে চলা হয়, “স্বেচ্ছাসেবকদের” বলা হয় জমায়েতের ওপর কড়া নজর রাখতে, ন্যূনতম বিশৃঙ্খলা দেখা দিলেই সতর্ক করতে। তাই আরএসএস নেতারা যখন বলেন যে তাদের মধ্যে কোনও সামরিক ধরনের শৃঙ্খলার প্রচলন নেই, এসব তথ্য তার বিপরীত সাক্ষ্য দেয়।
(১) বর্ষ প্রতিপদ (চৈত্র শুক্লা প্রতিপদ)
এই দিনে যুধিষ্ঠির বর্ষ, বিক্রম সংবত, শালীবাহন বর্ষ ইত্যাদি শুরু হয়। বলা হয়, এই দিনে শ্রীরাম সিংহাসনে আরোহন করেন। যুদ্ধে শকদের পরাজিত করে বিক্রমাদিত্যও এই দিনে শালীবাহন উৎসব পালন করেন। এই দিনটি আবার আরএসএস-এর প্রতিষ্ঠাতা ডঃ কে বি হেডগেওয়ারের জন্মদিনও বটে।
ডঃ কে বি হেডগেওয়ারের জন্মদিন বলেই বোধ হয়ত এই দিনটি বিশেষ ভাবে উদযাপিত করা হয়। সমস্ত জমায়েতেই সঙ্ঘ নেতারা এই দিনটির গুরুত্ব ও পবিত্রতার কথা স্মরণ করিয়ে দেন। স্বয়ংসেবকদের জমায়েতে ডঃ কেশব হেডগেওয়ারের জীবন নিয়ে আলোচনা করা হয়, তাঁর কাজকর্মের কথা বেশ বাড়িয়ে দেখানো হয়। তাঁকে সাধারণত “ডক্টরজী” বলে উল্লেখ করা হয়। সঙ্ঘের কর্মীদের মনে এক দেবতুল্য মানুষ ও দেশপ্রেমিক বীর হিসেবে— প্রায় এক অবতার হিসেবে—তাঁর পরিচিতি গড়ে তোলা হয়। সব সময়ে মনে করিয়ে দেওয়া হয় যে ডঃ হেডগেওয়ারের জন্মদিনটি হল শ্রীরামের সিংহাসনে আরোহনের দিন, বিক্রমাদিত্যের শকদের পরাজিত করার দিন—মনে রাখতে হবে যে “হিন্দু ভারতবর্ষে” বিদেশি আক্রমণকারীদের মধ্যে শকরা অন্যতম।
“কেশব তুমহে প্রণাম
যজ্ঞ ঘৃতসমিধ তুমহারি
প্রেরণা উদ্বোধকারী”
[কেশব, তোমাকে প্রণাম, যজ্ঞের আগুনের ঘি আর কাঠ হিসেবে তুমি আমাদের মধ্যে প্রেরণা সঞ্চার করেছ]
এটি একটা সংস্কৃতগন্ধী হিন্দি গান, “ডক্টরজী”-র দেবতুল্যতাকে স্মরণ করতে এদিন এ গানটি প্রতিটি শাখায় গাওয়া হয়।... (ক্রমশ)

সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:২৬
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×