১৬ মার্চ বুধবার।
সাইবার সিকিউরিটি স্পেশালিস্ট তানভীর হাসান জোহা তাঁর এক বন্ধুর সাথে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে বাসায় ফিরছিলেন।
রাত সাড়ে ১১টার দিকে স্ত্রী ডা. কামরুন নাহার-এর সাথে মোবাইলে কথা বলেছেন তিনি।
রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর কচুক্ষেত এলাকায় দুটি মাইক্রোবাসে সাদা পোশাক পরা কয়েকজন ব্যক্তি কালো কাপড়ে মুখ বেঁধে বন্ধু ইয়ামিন এবং তানভীরকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর ইয়ামিনকে কিছু দূরে নামিয়ে দিয়ে তানভীরকে নিয়ে চলে যায়।
তানভীরের চাচা মাহবুবুল আলম বলেন, ইয়ামিনের কাছে খবরটি শুনে প্রথমে কলাবাগান থানায় যাওয়া হয়। ‘তাদের এলাকা নয়’ বলে আমাদের কাফরুল থানায় যেতে বলা হয়। সেখানে গেলে তারা ক্যান্টনমেন্ট থানায় যেতে বলে। সেখানে গেলে তারা বলে আবার কাফরুল থানায় যেতে। কাফরুলে আবার গেলে তারা বলে, এলাকাটি ভাষানটেক থানা এলাকায়। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত পুলিশের সাহায্য না পেয়ে হতাশ হয়ে ভাষানটেক থানায় আর যাইনি।
তানভীরের স্ত্রী ডা. কামরুন নাহার চৌধুরী বলেন, তানভীর সবসময় যেটি সত্য সেটিই বলত। দেশ ও মানুষের ভালোর জন্য কাজ করত। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা চাওয়া মাত্রই তথ্যপ্রযুক্তি সহায়তা দিয়েছে।
তানভীর হাসান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) মন্ত্রণালয়ের সাইবার নিরাপত্তা বিভাগের পরিচালক (অপারেশন)। তবে এই প্রকল্পটি গত দুই মাস ধরে স্থগিত রয়েছে। ইনসাইড ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালকও তিনি।
তানভীর বিভিন্ন সময় অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজে আইন-প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে আইটি সহায়তা দিয়েছেন। এটিএম কার্ড জালিয়াতির ঘটনায়ও তিনি পুলিশকে তদন্তে সহায়তা করেন।
সর্বশেষ, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি নিয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছিলেন তিনি। তানভীরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তদন্ত হলে অনেক রাঘব-বোয়াল ফেঁসে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। সে কারণেই তাকে অপহরণ করা হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই।
এ বিষয়ে তথ্য প্রকাশ করার কারণে হুমকি পাচ্ছিলেন বলেও আগেই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন তানভীর।
এর আগে তানভীর হাসান জোহা বলেছিলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের টাকা চুরির আসল ঘটনা আমি সংবাদমাধ্যমকে বলেছি,এ কারণে আমাকে চাপ দেওয়া হচ্ছে। আমাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তাই তারা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তারা তদন্ত সহায়তা থেকে আমাকে সরিয়ে দিতে চাইছে। কারণ,আমি অনেক বিষয়েই প্রশ্ন তুলছি। আমি প্রধানমন্ত্রীকে পুরো ঘটনা জানাতে চাই।
তিনি আরও বলেছিলেন,আমি বিদেশি নাগরিকদের তদন্তে রাখা নিয়ে আপত্তি করেছি। কারণ আমি মনে করি, হ্যাকাররা বাংলাদেশ ব্যাংকে একটি হোল (গর্ত) তৈরি করেছে,আর এখন বিদেশি বিশেষজ্ঞদের হাতে তদন্তের নামে তথ্য তুলে দিলে আরও বড় হোল তৈরি হবে।
তথ্যপ্রযুক্তিবিদ তানভীর হাসান জোহা অপহরণের ৭ দিন পূর্ণ হয়েছে আজ। ‘গুম’ হয়ে যাবার ৭ দিন পূর্ণ হয়েছে আজ। কোনও থানায় অভিযোগ গ্রহণ না করার ৭ দিন পূর্ণ হয়েছে আজ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন,তানভীর হাসান জোহাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গ্রেফতার করলেও করতে পারে। তবে তিনি এ বিষয়ে নিশ্চিত নন। এই বক্তব্য দিয়েই তিনি তাঁর দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর আর কোনও দায়িত্ব আছে বলে মনে হচ্ছে না।
দেশের সম্পদ এই তথ্যপ্রযুক্তিবিদকে ‘অপহরণ’ করে ‘গুম’ করে ফেলা হয়েছে; আমরা অসহায়ের মতো চুপচাপ বসে আছি! আমাদের কি কিছুই করার নেই?১৬ মার্চ বুধবার।
সাইবার সিকিউরিটি স্পেশালিস্ট তানভীর হাসান জোহা তাঁর এক বন্ধুর সাথে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে বাসায় ফিরছিলেন।
রাত সাড়ে ১১টার দিকে স্ত্রী ডা. কামরুন নাহার-এর সাথে মোবাইলে কথা বলেছেন তিনি।
রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর কচুক্ষেত এলাকায় দুটি মাইক্রোবাসে সাদা পোশাক পরা কয়েকজন ব্যক্তি কালো কাপড়ে মুখ বেঁধে বন্ধু ইয়ামিন এবং তানভীরকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর ইয়ামিনকে কিছু দূরে নামিয়ে দিয়ে তানভীরকে নিয়ে চলে যায়।
তানভীরের চাচা মাহবুবুল আলম বলেন, ইয়ামিনের কাছে খবরটি শুনে প্রথমে কলাবাগান থানায় যাওয়া হয়। ‘তাদের এলাকা নয়’ বলে আমাদের কাফরুল থানায় যেতে বলা হয়। সেখানে গেলে তারা ক্যান্টনমেন্ট থানায় যেতে বলে। সেখানে গেলে তারা বলে আবার কাফরুল থানায় যেতে। কাফরুলে আবার গেলে তারা বলে, এলাকাটি ভাষানটেক থানা এলাকায়। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত পুলিশের সাহায্য না পেয়ে হতাশ হয়ে ভাষানটেক থানায় আর যাইনি।
তানভীরের স্ত্রী ডা. কামরুন নাহার চৌধুরী বলেন, তানভীর সবসময় যেটি সত্য সেটিই বলত। দেশ ও মানুষের ভালোর জন্য কাজ করত। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা চাওয়া মাত্রই তথ্যপ্রযুক্তি সহায়তা দিয়েছে।
তানভীর হাসান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) মন্ত্রণালয়ের সাইবার নিরাপত্তা বিভাগের পরিচালক (অপারেশন)। তবে এই প্রকল্পটি গত দুই মাস ধরে স্থগিত রয়েছে। ইনসাইড ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালকও তিনি।
তানভীর বিভিন্ন সময় অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজে আইন-প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে আইটি সহায়তা দিয়েছেন। এটিএম কার্ড জালিয়াতির ঘটনায়ও তিনি পুলিশকে তদন্তে সহায়তা করেন।
সর্বশেষ, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি নিয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছিলেন তিনি। তানভীরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তদন্ত হলে অনেক রাঘব-বোয়াল ফেঁসে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। সে কারণেই তাকে অপহরণ করা হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই।
এ বিষয়ে তথ্য প্রকাশ করার কারণে হুমকি পাচ্ছিলেন বলেও আগেই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন তানভীর।
এর আগে তানভীর হাসান জোহা বলেছিলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের টাকা চুরির আসল ঘটনা আমি সংবাদমাধ্যমকে বলেছি,এ কারণে আমাকে চাপ দেওয়া হচ্ছে। আমাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তাই তারা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তারা তদন্ত সহায়তা থেকে আমাকে সরিয়ে দিতে চাইছে। কারণ,আমি অনেক বিষয়েই প্রশ্ন তুলছি। আমি প্রধানমন্ত্রীকে পুরো ঘটনা জানাতে চাই।
তিনি আরও বলেছিলেন,আমি বিদেশি নাগরিকদের তদন্তে রাখা নিয়ে আপত্তি করেছি। কারণ আমি মনে করি, হ্যাকাররা বাংলাদেশ ব্যাংকে একটি হোল (গর্ত) তৈরি করেছে,আর এখন বিদেশি বিশেষজ্ঞদের হাতে তদন্তের নামে তথ্য তুলে দিলে আরও বড় হোল তৈরি হবে।
তথ্যপ্রযুক্তিবিদ তানভীর হাসান জোহা অপহরণের ৭ দিন পূর্ণ হয়েছে আজ। ‘গুম’ হয়ে যাবার ৭ দিন পূর্ণ হয়েছে আজ। কোনও থানায় অভিযোগ গ্রহণ না করার ৭ দিন পূর্ণ হয়েছে আজ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন,তানভীর হাসান জোহাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গ্রেফতার করলেও করতে পারে। তবে তিনি এ বিষয়ে নিশ্চিত নন। এই বক্তব্য দিয়েই তিনি তাঁর দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর আর কোনও দায়িত্ব আছে বলে মনে হচ্ছে না।
দেশের সম্পদ এই তথ্যপ্রযুক্তিবিদকে ‘অপহরণ’ করে ‘গুম’ করে ফেলা হয়েছে; আমরা অসহায়ের মতো চুপচাপ বসে আছি! আমাদের কি কিছুই করার নেই?