এত গুলো কাচের চুড়ি কেউ দিয়েছে কখনো?
কিংবা এত গুলো কপালের টিপ?
কোনোটা লাল, কোনোটা বেগুনী, খয়েরী, আসমানী
নীল রংয়েরটা কেমন জানি এক টুকরো আকাশের মত চেয়ে থাকতো।
তুমি বলতে “নীল রংয়ের সাথে আমার দুঃখের কথা হয়, ও আমার দুঃখু সই”
জানো, আমিও নীল হতে চেয়েছিলাম খুব।
সেবার যখন পূজোতে শেষ দেখা হলো, সেই আবির রাঙআ শাড়িটা ছিলো গায়ে
পায়ে তোমার লাল টকটকে আলতাটাও চোখের আড়াল হয়নী কিছুই।
শাড়িটাও ছিলো আমারই দেওয়া, কতনা ঝগড়া করেছিলে এই শাড়ি নিয়ে।
নীল পেড়ে খয়েরী শাড়ি পাশের বাসার বেনু ভাবীর ,
আবির রঙয়ের কালো পেড়ে শাড়িতে ক্ষেত দেখাবে তোমায়!
সেবার পড়োনী,
বাচ্চামী জেদে নীল রঙয়ের পুরোনো শাড়িটা পড়েই অঞ্জলী দিতে গিয়েছিলে।
কত না জেদ ছিলো আমাদের।
সে কত কাল আগে হবে বলোতো।
কাল কি আমাদের চলে যায় নি?
এতদিন পরে সেই আবির রঙয়ের শাড়িটা পড়েছো দেখে নিজেকে বেশ বিজয়ী মনে হচ্ছিল?
কত দিন তোমায় আলতা কিনে দেই না,
কাচের চুড়ির দোকানটা এখনো আগের মতই আছে
লাল, নীল, খয়েরী টিপের দোকানটা অবশ্য এখন আর শাখারি বাজারে নেই।
তবে ধোপা পল্লীর পেচনে এখনো পাওয়া যায় এমন লাল নীল খয়েরী টিপের দোকান।
আমি এখনো মাঝে মাঝে যাই, মুগ্ধ হতে!
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:০৩