সর্ব প্রথম আমাদেরকে মনে রাখতে হবে ডা: জাকির নায়েক একজন সাধারন মানুষ। তাই ভুলের উর্দ্ধে আমরা কোন মানুষই নই। বর্তমানে কিছু মুসলিম ভাই-বোন ডাঃ জাকির নায়েক এর বিরদ্ধে এমন ভাবে লেগে পরেছেন যা না কাফিরদের বিরদ্ধেও তারা লাগেন না। আমাদের সমাজে শিরক,কুফর,বিদ’আত এত পরিমাণে বিদ্যমান যা বলার অবকাশ রাখে না কিন্তু আমরা তার বিরোধিতা না করে তার বিরোধিতা করছি, যে দ্বীন(ইসলাম) এর একজন বড় দায়ী। যিনি অমুসলিমদের কাছে ইসলামকে সুন্দর করে উপস্থাপন করছেন তার পিছনে আমরা লেগে আমরা কিসের পরিচয় দিচ্ছি?
ডাঃ জাকির নায়েক এর বই ‘রচনা সমগ্র’ অথবা ‘লেকচার সমগ্র’ বই থেকে তারা বিভিন্ন বিভ্রান্তমূলক কথা বলছে। তার ই জবাব আজ এখানে আমি দেওয়ার চেষ্টা করবো……।। (আল্লাহ আমাদের হক কে বুঝার তৌফিক দান করুন।-আমিন)
১. অপবাদঃ ডাঃ যাকির নায়েক বলেছেন আল্লাহকে আমরা ব্রাহ্ম ও বিষ্ণু নামে ডাকতে পারবো।
উত্তরঃ ব্রাহ্ম ও বিষ্ণু এই নামগুল সংস্কৃত নাম। এই ২টি নামই আরবীতে নিলে আল্লাহর ৯৯টি নামের মধ্য হতে ২টি নামের কাছে চলে যায়। যেমনঃ ব্রাহ্ম নামটি আরবীতে নিলে তা অনেকটা ‘খালিক’ নামের মত অর্থ করে।
বাংলাতে অর্থ হয় ‘স্রষ্টা’ আর যেহেতু আমরা আল্লাহকে ‘খালিক’ অথবা ‘স্রষ্টা’ নামে ডাকতে পারবো তাই ডাঃ যাকির নায়েক এই কথা বলেছেন।তাহলে যারা আল্লাহকে ‘ব্রাহ্ম’ নামে ডাকতে বলাতে নিন্দা করছেন তারা ‘স্রষ্টা’ নামে ডাকতেও বাধা দেওয়ার দরকার। কারণ হিন্দুরাও তো তাদের দেবতাদের ‘স্রষ্টা’ বলে ডাকে। যেহেতু ‘ব্রাহ্ম’ বলে ডাকা যাবে না সেহেতু ‘স্রষ্টা’ বলেও ডাকা যাবে না কারণ এই ২ টি অর্থ এক। কিন্তু ডাঃ জাকির নায়েক এটিও বলেছেন যদি কেও বলে ‘ব্রাহ্ম’ হল সে যার কয়েকটা হাত আছে,এরকম করে যদি আকার দেওয়া হয় তাহলে আমরা মুসলিমরা আপত্তি জানাবো (লেকচারঃ ইসলাম ও হিন্দু ধর্মের মধ্যে দৃশ্য/প্রধান ধর্ম গুলতে স্রষ্টার ধারনা) কিন্তু একটি জিনিস আমাদের বুঝতে হবে তা হল ডাঃ জাকির নায়েক এসব কথাগুলো হিন্দুদের বলেছেন। তিনি মুসলিমদের এই কথা বলছেন না যে আপনারা ‘খালিক’ নাম বাদে ব্রাহ্ম
নামে আল্লাহকে ডাকুন। তিনি শুধুমাত্র ইসলাম ও হিন্দু ধর্মের মধ্যে সাদৃশ্য দেখিয়েছেন। আমরা আল্লাহকে ‘খালিক’ নামেই ডাকব ‘ব্রাহ্ম’ নামে ডাকব না।
'আসুন আমরা সবাই ইসলাম নিয়ে বেশি বেশি গবেষনা করি আর সঠিক ইসলামকে জানি।'
মূল লেখক: Mainuddin Ahmed Shuvo
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:১৫