"গোধুলীতো সব প্রান্তেই অস্তমিত হয় ;
তবু কোন কোন সন্ধ্যা ভীষন অন্যরকম,
কোন কোন বিকেল বিষন্ন কুহেলী ,
কোন কোন রাত একলা এলোমেলো ।
তুমি সেই প্রান্ত স্পর্শ করোনি,
তুমি কবিতাতে স্নান করোনি,
তুমি জানতেই পারোনি –
কবিতার মাঝেই বাস্তবতার সুন্দরতম পরাজয়।।"
আমি সেই গোধূলীর রঙ স্পর্শ করতে চেয়েছি আমার নিমগ্ন গোধূলীতে।
“নিমগ্ন গোধূলী”- ইংরেজীতে অনুবাদসহ একটি নিরেট প্রেমের উপাখ্যান ...
নারী মনের অসমাপ্ত আর্তনাদ , সীমাহীন আকুতি জড়িয়ে আছে প্রতিটি শব্দ গাঁথুনিতে।
আকন্ঠ ভালোবাসা নিয়ে প্রতীক্ষারত কোন এক নারীর ব্যক্ত আহবান প্রতিটি কবিতার প্রতি পংতিতে।
"তবু অপেক্ষারা ক্লান্ত হতে হতে প্রতীক্ষায় নিজের খোলশ আবৃত করে ,
কালবোশেখীর ঘন্টা বাজে দম দমা দম দম, বাজে মাদুল, বাজে ঢাক ;
সেই সাথে ভীষন তীব্রতায় বাজতে থাকে বুকের কাঁপন।
তোমার উড়োজাহাজে গোধুলী সন্ধ্যা বেঁধে দেই-তুমি ফিরে যাও,
সাইক্লোনের তীব্র থাবায় লন্ড ভন্ড হই একা দাঁড়িয়ে থাকা আমি।
তুমি না হয় সুনামী হয়েই ফিরে এসো কোন এক শ্রাবণ সন্ধ্যায় ,
অঝর ধারা বৃষ্টি মাথায় নিয়ে ।
আমি সেই দিন না হয় ভিজবো ,
দরজাটা খোলাই থাক,ওকে বন্ধ করো না কেউ ভুলেও।। "
প্রফেসর আহমেদ রেজা (জাবি) বেশ যত্ন করে এই কবিতার অনুবাদ করেছেন,সিমাহীন কৃতজ্ঞতা তার কাছে।
"I wait for long , and get tired.
And, then I find Kalboishakhi ringing its bell
With it there is the call of Madal and Dhaks,
And, my heart beats fast.
You return in the dark twilight
I remain alone like a Cyclone-affected soul.
Wont you came back again as a Sunami
Amidst endless rain in a Sravana evening?
I ‘ll so out
Every drop of rain will touch my warm body .
And, I ‘ll keep my door open
So that we can enter together again."
বসন্তের শুরুতে নারি মনে ফাগুনের যে উতল হাওয়া বেজে ওঠে তারো এক ঝংকার আঁকতে চেয়েছি ,
শহরের ইট কাঠের প্রাচীর ঘেরা এক পেশে জীবন থেকে নিতে চেয়েছি মুক্তির স্বাদ।
'বালুর শহরে ফুল ফোঁটে কৃত্তিমতার ডালা সাজিয়ে ;
ফাগুন আসে ভাইবার অথবা ফেইস বুকের কোল জুড়ে ।
মাঘের শেষ রাত্রিটাকে বিশাল সমুদ্রের মতোন মনে হয় ;
ভীষন ঠান্ডা,যেন নামেনি কখনো ।
পায়ের নীচে মুচড়ে ওঠা পাতারা ক্ষান ক্ষান করে ভেঙ্গে যায় ,
বিকেলের শেষ আলোয় ভূমিকম্প বুঝি ভেঙ্গে দিলো এ শহরকে ।
ছোট রাস্তার ওলি গলি হেঁটে বেরিয়েছি ,
নাহ ; কোথাও কোন নীলপদ্ব নেই ,
কোথাও এক টুকরো গাঁদা ফুলও নেই।
বসন্তকে বরন করি আজ কি দিয়ে?"
কখনোবা নগর জীবনে ক্লান্ত আমার কবি মন চেয়েছে ফুল টাইম চাকরি,কোন এক চাকরি দাতার উদ্দেশ্যে লিখে দিয়েছি "চাকরি চেয়ে আবেদন পত্র"।
"I need a job indeed;
Neither from nine to five
Nor a casual hour –based assignment
But , a full time job –for twenty four hours ;
Though I have no job –experience as much
Still I assure you –you will find your
Breakfast ready every morning.
If you fail to fasten the knot of your tie
Please give me a call ,
I’ll be there at once
I have acquired this still through u-tube .
If you confirm my job,
I assure you-you won’t have to employ anyone ;
Any cook either ;
Everyone says the foods I prepare are amazing
And, I ‘am an M/Sc in Math’s
You won’t have to go to the market on holidays
I’ll buy all onions and garlic at the right price.
I need a full time job , indeed.
A job for full-time-twenty-four hours,"
কখনোবা পুরনো অভিমান প্রকাশ হয়ে গিয়েছিল আমার হাতের কী-বোর্ডে -
"আমাকে তোমার প্রয়োজন ছিলনা –
বুঝতে পেরেছিলাম , তুমি মুখ দিয়ে উচ্চারন কোরবার অনেক আগেই।
আমি ছিলাম তোমার শোবার ঘরের সুদৃশ্য পারফিউম ,
কখনো ছিলাম ড্রইং রুমের সুস্বজ্জিত আসবাব ।
আমাকে তোমার প্রয়োজন ছিলনা –
বুঝেছিলাম তুমি বোঝানোর অনেক আগেই।
আমি শুধুই ছিলাম স্কুল গোইং বাচ্চার মা ,
নাইট পার্টির সমঝদার কুক ;
মাঝে মধ্যে শরীর ঠান্ডা করার বিশুদ্ধ নোনাজল।
যে জল ইচ্ছে করলেই অন্য কারো হাতের নাগালে যেতে পারে না ,
এমন সুরক্ষিত জলাসয় ছাড়তেও চাইছিলেনা –তুমি ।
কিন্তু এও সত্য আমাকে তোমার প্রয়োজন ছিল না একদমই।"
এতো সব অভিমান আর উপেক্ষাকে বুকের ভেতর জমিয়ে রেখেও ক্লান্ত মন অপেক্ষা করেছে কোন এক ফাল্গুন রাতের জন্য-
"আমার অপেক্ষা আর তোমার উপেক্ষা ;
দু’য়ে মিলে কোন দিন যদি মাপক যন্ত্র আবিষ্কার করতে পারো ,
সেই দিন দেখে নিও –এ বিশ্বের সমস্ত যন্ত্র হার মেনে যাবে আমার আকুলতার কাছে।
শ্রাবণের তানপুরা হয়ে হয়তো বাজবেনা বাদলের পদধ্বনি ;
তবু এক গোধূলী লগ্নে আমি এখানেই ঠায় দাঁড়িয়ে থাকবো-
কোন এক অব্যর্থ মাপক যন্ত্রে আবিষ্কারের প্রতীক্ষায়।।"
দীর্ঘ অপেক্ষার পথ যখন পরিশেষে ক্লান্ত -বিষন্ন,তখন অভিমানী মন বিদায় নিয়ে গেছে প্রিয় মানুষের ঘেরাটোপ থেকে-
"চলে যাচ্ছি ,
মিটিং হলেই বিকেল বেলা লাঞ্চ করোনা,
খাবার আগে লিওসেকটিল খেয়ে নিও ।
মানিব্যাগের কোনায় একটি পাতা রাখাই আছে।
রাত্রি হলে নেটের বুকে মুখ গুঁজোনা,
ঘন ঘন সিগারেটে টান দিও না।
আমার আর কিবা ক্ষতি,
যাবার বলেই চলে যাচ্ছি।
তোমার জীবন যত্ন করে তোমার রেখো,
অবহেলার তীব্র দহণ সঙ্গে থাকুক।
ভালোথাকার সব’কটা সুর তোমার ঘরের তানপুরাতে ছন্দ তুলুক।"
আর এমন সব কবিতাকে সারাটা রাত ধরে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে যিনি অনুবাদ করেছেন তাকে দেখলে কেউ বুঝতেই পা্রবেনা -কর্পোরেটের ভেতরেও একজন কবি মন জেগে উঠতে পারে।
তিনি আর কেউ নন,আমার প্রিয় বন্ধু কবি হাসান কামরুল।তার কাছে অনেকটাই দায়বদ্ধ রয়ে গেলাম।দিন রাত এক করে প্রেসের কালিতে ঘেমে যিনি অসাধ্য সাধন করেছেন।
"I incur no harm or damage
Going because -I have to leave
Take care of own life
Severe pain of neglect may
Give you never ending company
Keeping well all the tunes
may blow on your Symphony !"
এবার বই মেলার বই গুলো নিয়ে সাংঘাতিক রকম অভিযোগ আছে ।খুব আনাড়ি হাতের লেখকদের লেখা ছাপানো হচ্ছে শুধু মাত্র পয়সার বিনিময়ে।তবে আমার বইটি সেই লিস্টে আছে কিনা জানি না,কারন বহুবার টাকার জন্যে চাপাচাপি করেও প্রকাশক আমার কাছ থেকে আর্থিক কোন সাহায্য পান নি।পয়সা দিয়ে বই করার মতোন যোগ্যতা সৃষ্টিকর্তা আমাকে দেন নি।তবে কপালে যা জুটলো তা হচ্ছে খুবই যেন তেন করা একটি "নিমগ্ন গোধূলী"।চার ফর্মার বই জুরে কেবল বানান ভুল নয়, একটি কবিতার অর্ধেক কেটে ফেলে দেওয়া হয়েছে।কাগজ বেশি লাগবে বলে কবির কবিতার আধেক রাখার এমন বুদ্ধি আমাকে হতবাক করলো,পুরো কবিতা ফেলে দিলেও এমন কষ্ট পেতাম না।যেহেতু সব কবিতারই ইংরেজী অনুবাদ করা সেহেতু প্রকাশককে ইংরেজী বোঝেন এমন কাউকে দিয়ে প্রুফ দেখিয়ে নেওয়া উচিৎ ছিল।কারন,কবিতার অনুবাদে সাহিত্য থাকতে হয়।তবে,যে দুই জন অনুবাদ করেছেন তাদের ইংরেজী ঞ্জান সম্পর্কে আমার কোন সন্দেহ নেই।কিন্তু আমি লেখক,আমার ইমোশন দিয়েতো আর বানিজ্য হবে না ।১০০ টাকা দিয়ে পাঠক ভুলভাল জানুক তা কোন দিনই আমি চাই নি।তাই নতুন করে আবার উদ্যোগ নিলাম ,এবার অন্য ধারার সহায়তায় একদম পাঁচ ফর্মার একটি বিশুদ্ধ " নিমগ্ন গোধূলী" পাঠককে উপহার দিতে যাচ্ছি।পরিবেশক হিসেবে থাকবে -আলপনা প্রকাশনী,স্টল নং-২৮৫,মূল্য-১৪০ টাকা।কমিশন নিশ্চই আছে।
বইটির মোড়ক উন্মোচন করবেন আমার প্রিয় কবি এবং উপস্থাপক রেজাউদ্দিন স্টালিন।আশা করছি আগামীকাল ১৫ ফেব্রুয়ারী প্রিয় কবি -সাহিত্যিক বন্ধু এবং পাঠকদের উষ্ম আন্তরিকতায় নজরুল মঞ্চ ভরে উঠবে।
পরিশেষে যার কথা না বললেই নয় ,তিনি হচ্ছেন কবি ড;সৈয়দ রনো –এই বিশিষ্ঠ কবির হাত ধরেই আমার অনুশীলন সাহিত্য সংগঠনে পদার্পন ,
তিনি উৎসাহ না দিলে কোন দিনই রোদেলার একক কবিতা সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হতোনা। তার আগ্রহেই ব্লগের গন্ডি থেকে এতো কাল পর সামনে এলাম।
এর আগেও আমার কবিতাগুচ্ছ এসেছে বইমেলায় তাও প্রায় পাঁচ বছর হলো,
একটি ভাষাচিত্র প্রকাশনীর “ফাগুন ঝরা রোদ্দুর “(২০১০)
,অন্যটি যমুনা প্রকাশনীর “নীল পদ্ম”(দ্বৈত)(২০১৪)
গল্প গুচ্ছ আছেএকটি –রোদ্দুরের গল্প(২০১৪)
আর একটি গল্প গুচ্ছ "চলতি পথের গপ্পো" আসছে বিদ্যা প্রকাশন থেকে এবারই।
এবারের দুটো বইয়ের প্রচ্ছদ করেছেন প্রখ্যাত চিত্রকর ধ্রুব এষ।
সব লেখকই তার প্রিয় বইটিকে যত্ন করে কাউকে না কাউকে উতসর্গ করেন,আমিও তার ব্যতিক্রম নই।
তাই এই বইয়ের প্রত্যেকটি কবিতা আমি দিয়ে দিয়েছি পরবাসী কোন এক মেঘকে ,
যার ভালোবাসা মিশ্রিত অবহেলা না পেলে হয়্তো এক বছরের মধ্যে এমন পান্ডুলিপি আমার পক্ষে লেখা সম্ভব হতো না।
সবাইকে বসন্তের শুভেচ্ছা...
(বাংলা অভিধানে ি এবং ী ব্যবহার নিয়ে আমি ভয়ংকর রকম শংকিত।)
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫৪