শতাব্দীর বহু পুরানো আক্রোশ এখনো ডাকে
আলোর বিচ্ছুরিত উল্লাস,
মৃত্তিকায় একেছিলো লাল কিছু নৃত্যময় দাগ,
ক্রমান্বয়ে সে দাগের প্রবাহ গড়িয়েছে প্রতিটি নদীর বাঁকে।
ক্লান্ত স্রোতধারা,বড় ক্লান্ত নদীর জল,
বুলেট আর বেয়োনেটের ক্ষত,
কিংবা পোড়া গন্ধের সে বাতাস,
আর কত সইবে তোরা বল?
সান্ধ্য পাখির সেই ভীত চোখ,
আজও উঁকি দেয় চৌরাস্তার মোড়ে,
একা হেটে যাওয়া যুবকের পথ রোধ করে ট্যাংকের সেই গর্জন,
ঘরের কোনে বসে থাকা গৃহবধূর কানে আজও বাজে,
মৃত্যু ছন্দময় জোড়া জোড়া বুটের নিকষ শব্দ।
ডোবার পুকুরে ভাসমান এলোচুলের নারী,
দিগন্ত জোড়া ধান ক্ষেত আর তার মাঝ বরাবর,
ছুটে যাওয়া কিশোর-কিশোরীর নির্মল হাসি,
মুহূর্তেই লাশের মিছিলে,
গুমরো বাতাস হয়ে উঠে ভারী।
এই সব শব্দরা আজও খেলা করে,
বেজে উঠতে চায় আরো একবার,
বুনো শেয়ালের ভীড়ে আজও হাহাকার,
ভয় শুধু,
মেশিনগন হাতে ছায়াময়,
নগ্ন পায়ের নিঃশব্দ অকুতোভয় হুংকার,
আর,
ঘুমিয়ে থাকা চির জাগ্রত সেই সব আত্নার।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৮:৪১