সেই কবেকার সৃষ্টি উৎসব অথবা মহাবিস্ফোরন,
নিরেট স্থির কনিকায় তুলেছিল গতির আলোড়ন।
সৃষ্টি আর ধ্বংসের অদ্ভুত এক অনন্ত অবলীলায়,
কত সভ্যতা তৈরী হল, কতই না মিশে গেছে ধূলায়।
কত নক্ষত্র জেগেছে আর কত মরে গেছে দূর ছায়াপথে,
জন্মেছে কত প্রান, কত প্রান আজ বিলুপ্তির পথে।
কত জল গড়িয়েছে সাগরে, কত মহাদেশ ভেঙেছে আবার,
তার কোন খোঁজ রাখিনি আমি, রাখেনি কেউ খোঁজ আমার।
আমি ধূলো উড়া পথে হেঁটে চলা পথিক এক,
ঘাসফুল ভাল লাগে আর যাযাবর শরতের মেঘ;
ছায়া জমে থাকা কোন ভীষণ শহুরে কাকের ডানায়,
রহস্য যে খোঁজেনি, চেয়ে গেছে অসীম মুগ্ধতায়।
কী নেই, কী হবে নতুন অথবা কী আছে কোথায়?
সেসব ভাবেনি সে কখনো, তাতে তার কী আসে যায়?
তবু এই নক্ষত্র, সাগর, সভ্যতা, কাকেদের মত;
তুমিও আছ, যেভাবে রয়েছে সময় শ্বাশত।
তুমি আছ হয়তো বিরাট কোন প্রয়োজনে পৃথিবীর,
কোন অজানা রহস্যে, ষোলকলার পূর্ণতায় সৃষ্টির।
আমি ঘাসফুল নিয়ে আছি, শরতের মেঘের ঝাঁক,
ভীষণ শহুরে কাক, কোথা কে নেই সে সেখানেই থাক।
তবু তুমি আছ, তাতে কী আর আসে যায়?
আমি পথিক এক, যার পথ ধূসর, পথের ধূলায়।
তারপর আবার মহাপ্রলয়, মিশবে সব অজানায়,
কার ঘাসফুল ভালো লাগে, শরতের মেঘেরা কোথায়,
কে নেবে খোঁজ? শুধু রয়ে যাবে শাশ্বত সময়,
পথিক হাঁটবেনা আর অজানায়, যে পথ ধূলোময়।
তার কোন অভিযোগ নেই, কেন তার অভিযোগ নাই?
সেসব ভাবেনি কেউ, তাতে কী আর আসে যায়?