তবুও কেটে যাবে শত সহস্র বছর, হাত বাড়িয়ে ডাকবে জীবন। প্রতিদিন ঘরে ফিরে চেনা বিছানায় গা এলিয়ে দেয়া দিন শেষে। একটা রাত হোক, শতাব্দী পার করে হেটে চলব উদ্যেশ্যহীন হয়ে। ব্যস্ত নাগরিক জীবনে আরেকজনের দিকে তাকানোর সময় কোথায়? হাইওয়ে ধরে সাঁ সাঁ করে ছুটে চলে সাদা গাড়ি।কালো কাঁচে মোড়ানো শহুরে বিলাসী জীবন।
-ওস্তাদ!
-বল
-যাইবেন কই?
-হাঁটছি শতাব্দীর পথে, ইচ্ছে হলে গা এলিয়ে দেব আজ পাহাড়ি কুয়াশায়।
-ওস্তাদের কি মন খারাপ?
-নাহ রে পাগলা, মন খারাপের সময় কোথায় আমার?
- আপনারে চিনি ওস্তাদ, আপনি এমন কইরা কখনো কথা কইতেন না আমারা লগে!
-মানুশের এত কাছে যাস না,প্রতিটা মানুষের ভেতর টা কালো, এক ফোঁটা হলেও। উপদেশ টা মাথায় রাখবি, বুঝলি?
-আমি উপদেশ জাইনা কি করমু কন?
-তা অবশ্য ঠিক, বাদ দে, রহমত মামার দোকানের চা খাবি?
-আমারে চা খাওয়াইবেন? মানুশ আপনেরে পাগল কইয়া দাবড়ানি দিবো!
সখ্যতা খারাপ জিনিস না, সখ্যতা করা যায় কচি বালিকা থেকে প্রাচীন বুড়োর সাথেও, যদি না সেটা উদ্দ্যেশ্য প্রবণ হয়। মাঝ রাতে সোডিয়াম লাইটের আলোয় ভিজে যাচ্ছি আমি। এভাবেই রাতের পর রাত পেরোয়, আমার সাথেও সোডিয়াম আলোয় ভিজে যায় লুঙ্গি পড়া সবুজ কুকুর টা। আজ রাতে গলা ভেজাবো দুইজন দুই কাপ চায়ে, ঝড় উঠবে, খুব ঝড়, ঝড়ো বাতাসে উড়ে যাবে লুঙ্গি, রাত পেরিয়ে ভোর হবে, শহুরে রাস্তায় ঘুরে বেড়াবে ওস্তাদ হীন এক নেড়ী কুকুর।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই মে, ২০১৮ রাত ১:১৪