একবসায় তিন ঘন্টা লম্বা পডকাস্ট দেখা/শোনার ধৈর্য আমার আছে কিন্তু Mohammad A. Arafat এর দশ মিনিটের ইন্টারভিউ দেখার ধৈর্য বা রুচি নাই, তবুও খালেদ মহিউদ্দিনের শো বলে দেখে ফেললাম। উনার আত্মবিশ্বাসের সাথে মিথ্যারে ডিফেন্ড করার ক্ষমতার কোনো তুলনা হয় না। এইরকম চাপার জোড় আমরা সাধারণত উকিলদের মধ্যে দেখি, ঘটকদের মধ্যে দেখি। গরুর বাজারের দালাল, নাপিত, কিংবা আদম ব্যবসায়ীদের মধ্যে দেখি।
তবে এই ইন্টারভিউতে আরাফাত সাহেব অনেক সময় "পোকার ফেইস" রাখতে পারেন নাই, আমার মতো যারা বডি ল্যাংগুয়েজ সম্পর্কে অল্পবিস্তর জানি তারা সহজেই ধরে ফেলতে পারবো যে উনি কোন কথা বিশ্বাসের জোরে বলছেন আর কোন কথা চাপার জোড়ে।
টিভি টকশোতে উনার অভিজ্ঞতা প্রচুর আছে কিন্তু সেখানে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা হয় বিধায় সারপ্রাইজড কুয়েশ্চন কম আসে, আর তখন উনি কোন দল বা প্রতিষ্ঠানের মুখপাত্র ছিলেন না বিধায় বেফাস কথাবার্তা বললেও চলতো, মানুষ তেমন গোনায় ধরতো না।
এখন এমপি ও প্রতিমন্ত্রী হওয়ায় উনি একইসাথে দল, সংসদ, ও মন্ত্রনালয় রিপ্রেজেন্ট করেন, রিপ্রেজেন্ট করেন সরকারকে, এখন উনার কাছে প্রশ্ন আসবে বিভিন্ন বিষয়ে, বিভিন্ন এংগেলে। উনার চাপার জোড়ে উনি সেসবের উত্তর দিবেন সহজেই, কিন্তু কোনটা উনি বিশ্বাস করেন আর কোনটা শুধুমাত্র দল আর সরকারের ইমেজ রক্ষায় বলছেন সেটার প্রভাব চেহারা থেকে সরিয়ে স্ট্রেইত ফেইসে উত্তর দেওয়ার চ্যালেঞ্জ উনার সামনে।
গরুর দালালরা যেভাবে স্ট্রেইট ফেইসে বাঁজা গরুকে দুই বাচ্চা দেওয়া গরু বলে ঘোষণা দেয় সেই স্ট্রেইট ফেইস পেতে উনার কিছু কাজ করতে হবে। সেটা করতে পারলেই পরের মেয়াদে আর প্রতি ট্রতি নাই ডিরেক্ট মন্ত্রী, আর না পারলে আগামী ইলেকশনে আর নমিনেশন নাই (বিএনপি নির্বাচনে আসলে এবারও পেতেন না, ফেরদৌসও পাইতো না)
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:১১