
গত ১৬ বছর বিএনপির আন্দোলনে সাধারণ মানুষ কেনো যেতো না? কেনো বিএনপির হরতাল কেউ মানতো না? কারণ বিএনপি জনবিচ্ছিন্ন ছিলো।
জনগণের দাবিতে বিএনপি মিছিল করতো না, হরতাল দিতো না। দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি নিয়ে তাদের মাথাব্যথা ছিলো না, শেয়ার বাজার কেলেংকারির প্রতিবাদ জানিয়ে তারা একদিন হরতাল ডাকেনি, এস আলম যে ব্যাংক সব গিলে ফেলছে এর প্রতিবাদে একদিন অবরোধ ডাকেনি।
তাদের মিছিল আর হরতাল হতো শুধু তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে। গত ১৬ বছর এই দুইটাই ছিলো তাদের একমাত্র রাজনৈতিক এজেন্ডা।
তারা সাধারণ মানুষের দাবী নিয়ে মাঠে নামেনাই, তাই সাধারণ মানুষও তাদের ডাকে মাঠে নামেনাই।
এই একই পথে হাটছে এনসিপি, এরাও দিন দিন জনবিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। কেনো? কারণ সাধারণের দাবীর প্রতি তাদের কোনো আগ্রহ নাই। তাদের একমাত্র এজেন্ডা আওয়ামিলীগ নিষিদ্ধকরণ।
জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, শেয়ার বাজার খালি হয়ে যাচ্ছে, লুটপাটের মহোৎসব চলছে, দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে। এত্তসব ইস্যু রেখে তারা এমন একটা ইস্যু নিয়ে পড়ে আছে যা নিয়ে দেশের সিংহভাগ জনগণের কোন মাথাব্যথা নাই।
জনগণ বুঝতে পারছে যে এনসিপি নিজেদের ভবিষ্যৎ নিরাপদ করতে লীগকে নিষিদ্ধ করতে চায়। কারণ এদেশে লীগ থাকলে এনসিপির অস্তিত্ব থাকবে না। তাই তাদের সার্ভাইভালের জন্য লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। লীগ এনসিপির জন্য হুমকি স্বরূপ। কিন্তু লীগ সাধারণ জনগণের জন্য হুমকিস্বরূপ না।
লীগ নিষিদ্ধকরণ তাদের একমাত্র এজেন্ডা হয়ে যাওয়ায় জনগণ এই দলকেও বয়কট করবে, এদের ডাকে কেউ আসবে না, এখনো আসে না, ভাড়া করে আনতে হয়। কয়েকদিন পর ভাড়ায়ও কেউ আসবে না, এভাবে আস্তে আস্তে এনসিপি যমুনাতে ঢুকে যাবে।
কোনো রাজনৈতিক দলের একমাত্র এজেন্ডা যদি হয় আরেকটা দলের নিষিদ্ধকরণ তাহলে বুঝতে হবে সে দলের হাতে জনকল্যাণমুখী কোনো এজেন্ডা নাই বা তা বাস্তবায়নে তারা সক্ষম না, তাই তারা মাঠে ঠিকে থাকতে কোনোরকমে একটা এজেন্ডা আঁকড়ে ধরে আছে যেভাবে সাতার না জানা ডুবন্ত মানুষ খড়কুটো যা পায় আঁকড়ে ধরে।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা মে, ২০২৫ রাত ১২:০৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


