ছোট ছেলে দুইটাকে নিয়ে ভালই বিপদে আছে হালিমা। সারাক্ষন এদিক ওদিক করে বেড়ায়। চুলায় রান্না হচ্ছে। আজকে বাতাস অনেক, কতখনে যে রান্না হবে জানা নেই। ফুটপাথের গাছ গুলোর ঝরে পড়া পাতা আর শুকনো ডাল দিয়েই আগুন ধরানো গেছে। কেরোসিনের যা দাম।
হালিমা হাক দেয় '' সেলিম, জসিম এদিকে আয়।এদিকে আয় কুত্তার ছাও। ''
বাচ্চারা সতর্ক হয়।সুবোধ শিশুদের মতো চুপ হয়ে যায়।যদিও জসিমের এখনো বোঝার বয়স হয়নাই তবুও মায়ের চিতকারে সে থমকে যায়।
আগুন নিভু নিভু। আবারো আগুন টা চাগিয়ে দেয়ার চেস্টা করে হালিমা। ধোঁয়ায় চোখ জ্বালা করে কিন্তু আগুন বাড়ে না। কতখনে যে রান্না হবে, এদিকে ছেলে দুইটা ও না খাওয়া, বেলা পরে যাচ্ছে। নিজে না খেয়ে থাকাতে কোন মাথা ব্যাথা নেই হালিমার। বাচ্চা দুইটার মুখের দিকে চেয়েই এতো জ্বালা। এই দিন আর থাকব না ভাবে হালিমা। আর রাস্তায় পোলা দুইটা নিয়া ভিক্ষা করন লাগব না, কয়ডা টেকা জমলে একটা পিডা বেচার দোকান দিমু,এক্টা ঘর তুলুম। দিন ফিরা জাইব, স্বপ্ন দেখে হালিমা। চুলার আগুন নিভে যায়, আবার চুলায় ফুঁ দিতে থাকে । আগুনের দেখা নেই,শুধু স্বপ্নের মত ধোঁয়ায় ভরে যায় চারপাশ...

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




