জীবনানন্দ বলেছিলেন,
"সুরঞ্জনা, অইখানে যেয়োনাকো তুমি,
বোলোনাকো কথা অই যুবকের সাথে;
ফিরে এসো সুরঞ্জনা :
নক্ষত্রের রূপালি আগুন ভরা রাতে;
ফিরে এসো এই মাঠে, ঢেউয়ে;
ফিরে এসো হৃদয়ে আমার;
দূর থেকে দূরে – আরও দূরে
যুবকের সাথে তুমি যেয়োনাকো আর।"
-----------------------------------------
কিন্তু সুরঞ্জনা-রা কবির সে আকুতি ভরা কণ্ঠ শুনবে কেন??
তাদের রয়েছে যে অগুনিত সুদর্শন যুবকের হাতছানি
গুণের বিচারে তারা যাই হোক,
রুপের বিচারে তারা যেন কামদেব সম।
রুপ, সে তো থাকে অন্তরের গহীনে
বাইরের খোলস দেখে কি আর অন্তর বোঝা যায়??
যেমন যায় না বোঝা শামুকের খোলস দেখে;
ভিতরের কদাকার রূপটিকে।
সুরঞ্জনা-রা শুধু খুঁজে বেড়ায় ভালো থেকে ভালতর-
সবচেয়ে ভালো যুবকের সন্ধানে।
এ যেন একগুচ্ছ ধানের ছড়া থেকে সবচেয়ে ভালো ধানটি খুঁজে বের করার মতন
তাই কি হয় কখনও??
তারা এটা বুঝতে চায় না যে,
সবচেয়ে ভালো যে খুঁজে, অধিক ভালো যে তাকে হারাতেই হয়।
ভালোর কি আর শেষ আছে??
কবি অনেক আকুতি নিয়ে সুরঞ্জনা কে ফিরে আসতে বলেছিলেন
আমিও অনেক মিনতি করে সুরঞ্জনাদের কে বলছি-
বহির-অঙ্গের রুপ দেখে মুগ্ধতা নয়,
অন্তরের রুপ দেখে নিয়ে মুগ্ধ হও।
কাটবে জীবন অনেক সুখে;
যদি কোন যুবকের
অন্তরের গহীনে লুকনো সৌন্দর্যের সন্ধান পাও। —