somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অন্ধ মন

১০ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ঘটনা-১
অনেকক্ষন থেকেই ব্যস্ত রাস্তায় একজন দাঁড়িয়ে আছেন , উদ্দেশ্য আপাতত রাস্তার ওপাশে যাওয়া। বেশ কিছুটা সময় ধরেই তিনি রাস্তার একপাশে দাঁড়িয়ে আছেন। হয়ত অনেকেই বলতেই পারেন-দাঁড়িয়ে থাকার দরকারটা কি? পার হয়ে গেলেই তো হয়। কিন্তু একটা কথা বলা হয়নি,তা হল-লোকটা ছিল দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। না- কেউ যে তাকে সাহায্য করেনি তেমনটা না। কেউ একজন এসে তাকে ঠিকই সাহায্য করেছিল। এবারের কেউ একজনটা আমিই ছিলাম।

ঘটনা-২
বি আর টি সি এর একটা বাস(যেটা মহিলাদের জন্য) এ করে উত্তরা থেকে আসছিলাম,উদ্দেশ্য বাংলামটর। অনেকটা সকাল,সাতটা অথবা সাড়ে সাতটা হবে। ভালই লাগছিল। চারিদিকে যখন কোন রকমে বাসে ওঠার জন্য যুদ্ধ চলছিল আর আমি তখন কোন ঝামেলা ছাড়াই বেশ ফাঁকা একটা বাসে এসির বাতাসে দিবানিদ্রা যাচ্ছিলাম।হঠাৎ করে ঘুমটা ভেঙ্গে গেল। কারনটা হল-এয়ারপোর্টের কাছ থেকে লোক উঠানো হবে। যেহেতু এটা শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য, তাই অপেক্ষারত মহিলারাই উঠতে লাগলো।শেষ পর্যায়ে এক বৃদ্ধ মা আর তার দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ছেলেটাও বাসে উঠে পড়লো। এবং যথেষ্ট সিট ফাঁকা থাকার কারনে তারা বসেও পড়লো। আর ড্রাইভারও গাড়ী স্টার্ট দিয়ে চলতে শুরু করলো। কিন্তু হঠাৎ করেই দু,একজন চিৎকার দিয়ে ড্রাইভারকে বললো গাড়ী থামাতে। কেন? কি সমস্যা-জানতে চাইল ড্রাইভার। বেশ কয়েকজন মহিলা চিৎকার দিয়ে বললো-কেন বুঝতে পারছেন না-এই মহিলাদের বাসে একটা ছেলে কিভাবে উঠল?থামান- ওদের বাস থেকে নামিয়ে দেন। কোথাও একটু শান্তিতেও যেতে পারি না। ড্রাইভারটা বেশ শান্ত স্বরেই বললো-আপা দেখতেই পাচ্ছেন, ছেলেটা চোখেই দেখতে পায়না আর তাছাড়া বুড়ো মানুষটার কথাও একটু ভাবেন। এই মাঝ রাস্তায় নামিয়ে দিলে কিভাবে যাবে?এতশত বুঝি না-আগে গাড়ী থেকে নামান। কে কোথায় যাবে,সেইটা আমরা কিভাবে বলবো?
এত সময় আমি নিশ্চুপ হয়েই শুনছিলাম। কিন্তু ভেতরে ভেতরে বেশ অস্থির হয়ে পড়ছিলাম কিছু বলার জন্য। ভাবছিলাম বলি-এতগুলি সিট খালি, আর ছেলেটা তো চুপ করে একটা জায়গাতে বসেই আছে, কি সমস্যা তাতে?মাথাটা ঘুড়িয়ে মুখগুলো দেখলাম-বেশ সুন্দরী স্মার্ট দেখতে এক একজন মানুষ। কিন্তু ভেতরে ভেতরে এত স্বার্থপরতা কেন? বড় বেশি আক্ষেপ হচ্ছে এখন-কেন সেদিন আমি একাই কিছু বলতে পারলাম না, কেন?ওরা সংখ্যায় অনেক বেশি ছিল? কেন আমি সেদিন নিড়বে দেখলাম এক বৃদ্ধ মা আর তার দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে কত অসহায় ভাবে নেমে যাচ্ছে মাঝ পথে।

সর্বশেষ এডিট : ১০ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:০২
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিসিএস দিতে না পেরে রাস্তায় গড়াগড়ি যুবকের

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

আমাদের দেশে সরকারি চাকরি কে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। আমি যদি কোটি টাকার মালিক হলেও সুন্দরী মেয়ের বাপ আমাকে জামাই হিসেবে মেনে নিবে না। কিন্তু সেই বাপ আবার ২০... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কে কাকে বিশ্বাস করবে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯


করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।

সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×