৭০ সালের ১৮ই জানুয়ারী তোলা কিছু ছবি।
সত্তরের নির্বাচনের প্রচারণা শুরু হিসেবে অত্যন্ত জাঁকজমক এবং ধুমধামের সাথে এদিন জামায়াতে ইসলামী পল্টনে ডাকে একটি মহাসমাবেশ। পাকিস্তান থেকে উড়ে আসেন দলটির প্রধান মওলানা মওদুদী সাহেবও। ঝকমকে গালিচা, ইলেক্ট্রিক ফ্যান আর হাজারো ফুলের সমাহারে সে এক দেখার মত মঞ্চ ছিল বটে।
কিন্তু গোল বাঁধলো অন্য জায়গায়। পূর্ব পাকিস্তান তথা বাংলাদেশের উপর পূর্ণ স্বায়ত্বশাসন দাবী করে বঙ্গবন্ধুর দেওয়া ছয় দফা দাবীকে প্রত্যাখান করে পাকিস্তানপ্রেমী জামায়াতের সভা থেকে যখনই বিবৃতি দেওয়া হয় তখনই উত্তেজিত জনতা শুরু করে হট্টোগল। ক্ষুব্ধ স্বাধীনতাকামী জনতার ইট বৃষ্টির চোটে মওদুদী সাহেব তার ভারী শরীর নিয়ে পড়িমড়ি করে কোনো রকমে দৌঁড়ে পালালেও সেই সৌভাগ্য হয়নি অনেকের। জনতা পাকিস্তানী তাবেদার এই নরপিশাচ ধর্মব্যবসায়ীদের হাতের কাছে পেয়ে ছবির মত এমনই করে গণপিটুনী দেয়। পরবর্তীতে উত্তেজিত জনতা জামায়াতের মঞ্চেও অগ্নিসংযোগ করে। আর মওদুদী সাহেব ধাওয়া খেয়ে সোজা পাকিস্তান। সেই যে গেলেন, ক্রেন দিয়ে টেনেও তাকে আর এদেশে আনতে পারেনি রাজাকার জামায়াতের নেতারা।
সময় বদলেছে, এরই মাঝে পার হয়েছে ৪৪টি বছর। আজ একাত্তরের সেসব খুনে-ধর্ষক রাজাকারদের দাঁড় করানো হয়েছে বিচারের কাঠগড়ায়, বিচার কাজও এসে দাঁড়িয়েছে শেষের দিকে। ৪জন কুখ্যাত নরপশুর ফাঁসি হয়েছে! এই দেশদ্রোহীর বাঁচানোর জন্য কতযে হত্যা ভাংচুর দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করে মরন কামড় বসাচ্ছে এসব যুদ্ধাপরাধী, রাজাকার জামায়াত-শিবিরের চ্যালাচামুন্ডরা, মরিয়ে হয়ে উঠেছে তাদের জঙ্গিবাদী পাকিপ্রেমিক নেতাদের বাঁচাতে। বিজয়ের মাসেও তারা হরতাল ডেকে হুমকী দিয়েছিল আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি, নিরন্তর অপমান করে চলছে আমাদের ত্রিশ লাখ শহীদ ও এদেশের পতাকাকে। তাই আবার এসেছে সময় এদের কালো হাত গুঁড়িয়ে দেবার, এসব জামায়াতী-যুদ্ধাপরাধী দুস্কৃতিকারীদের উচিত জবাব দেবার।পাকি চর দের ফাঁসির কাঁটঘড়ায় দাঁড় করিয়ে সোনার বাংলা গড়তে ঔক্যবদ্ধ হউন! তরুণ প্রজন্ম যতবারই গর্জে উঠবে ততই দেশ সোনার বাংলা হিসাবে আত্মপ্রকাশ করতে সহজ হবে
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:১৬