somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ব্রেইনওয়াশ কিভাবে হয়, নিজের অভিজ্ঞতা থকেে

০৮ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৩:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অর্টিজান রোস্তুোরায় ভয়াবহ জঙ্গী হামলার পর মনে ভিতরে প্রচন্ড রকম একটা কাপুনি দিল আরব দেশে ত হরহামেশাই দেখে যাচ্ছি জঙ্গীদের নির্মমতা কিন্তু এই প্রথম বাংলাদেশে এমন একটা ভয়ংকর ঘটনার নিজ চুক্ষে স্বাক্ষি হলাম!কত সুন্দর সুন্দর ছেলে গুলো দিয়ে এই কাজ করিয়ে নিজেদের স্বার্থ উদ্দার করল ধর্ম ব্যবসায়ীরা তখনি ভাবছিলাম নিজের চোখের দেখায় ধর্ম ব্যবসায়ীরা কিভাবে একজন সাধারন মানুষের ব্রেইনকে রিপ্রেশ করে দানবে পরিণত করে নিজ অভিজ্ঞতা থেকে কিছু লিখি কিন্তু বাস্তবতা কি আর কলম ধরতে দেয়? কত রকম চিন্তা মস্তিস্ককে অস্থির করে রাখে! কিছুক্ষন লিখলাম ভাবলাম একটু বাহির থেকে ঘুরে আসি দেখি মাথায় ভালো কিছু আসে কিনা আরও যাতে আরও সাজিয়েঘুছিয়ে লিখতে পারি! একটু পরেই এসে ভাবলাম একটা অনলাইন পত্রিকা চোখ বুলিয়ে নি কিন্তু কিসের কি পুরাই ভয়ংকর খবর যা কল্পনা করিনি মুহাম্মদ (স) রওজামুবারকের পাশেই বোমা বিশ্ফোরন!!! চোখে রিতিমত কপালে উঠে গেল ইয়া আল্লাহ কোন দিকে নিয়ে যাচ্ছ এই মুসলিম উম্মাকে!যে উম্মা যে নবীর আদর্শ বুকে ধারন করে চলে তার পবিত্র রওজামুবারকে মানুষ হত্যা করে অপবিত্র করল? এরা পৃথিবীতে আসলে কোন ইসলাম আনতে চায়? তারপরের দিন বাগদাদে শপিংমলে বোমা হামলা করে ৩০০ হত্যা আরও শতশত আহত আজ ঈদের নামাজ পড়ে আসতে আসতে নিউজ ওপেন করতেই দেখি দেশের বৃহত্তম ঈদ জামাত শোলাকিয়াই বোমা হামলা মুহুর্তেই থমকে গেলাম কি হচ্ছে এইসব কি শুরু হইছে দেশে!অথচ ঈদের জামাতে মাওলানা সাহেব বয়ান দিল মাত্র যে একটি মানুষকে হত্যা করল সে পুরো মানব জাতিকে হত্যা করল! এইসব নরপশুর মত কাজ দেশের ভাবমূর্তিকে ছোট করছে বীরের জাতি আমরা আজ কিছু হিংস্র শকুনের কাছে জিম্মি হয়ে যাচ্ছি ..

এইতো কিছুদিন আগেই এক শিক্ষকে এলোপাতাড়ি কিছু পোলা কুপিয়ে যাওয়ার সময় জনগন হাতেনাতে একজনকে ধরে পেলে! পত্রিকা মারপত জানতে পারলা ছেলেটি নাকি কলেজ লাইব্রেরিতে প্রায় নিরিবিলি এক বড় ভাইয়ের সাথে কথা বলত, এই সূত্রে পরে আসছি! ধর্ম ব্যবসায়ী ব্রেইনওয়াশকারিদের টার্গেট শুধু উচ্চ শিক্ষিত পড়ুয়া বা মাদ্রাসার ছাত্র হবে এমন কোন কথা নেই কৃষক শ্রমিক ক্ষেতের দিনমজুরও এদের হাত থেকে রেহায় পায়না! যেমন ক্যাটাগরি অনুযায়ি যাকে যে কাজে তারা ইউজ করতে পারে কাউকে প্রশিক্ষন কাউকে ধরেন বোমা পাটানো কাউকে সরকার পরিবর্তনের হাওয়াই গাড়ি পুড়ানো পেট্রল বোমা নিয়ে মানুষ পুড়ানো যাকে যে কাজে উপযোগি এইজন্য এদের হাত থেকে কেউ রেহায় পায়না ..

মগজধুলাইয়ের বিভিন্ন ধাপ "নিজ অভিজ্ঞতা :- আমি ছোট বেলা থেকে একটু ধর্মপরায়ন ছিলাম!মায়ের প্রতি ওয়াক্ত নামাজ নিয়ে বকাঝকা রোজা মানুষের সাথে খারাপ আচর নিয়ে বকাঝকার সাথে লজিং মাষ্টারের নিয়মিত কঠোর আদেশের ভয়ে ছোট বেলা থেকে নিয়মিত মসজিদে নামাজ পড়া হত আরও দল বাঁধে বন্ধুদের সাথে হইহুলুড় করতে করতে যেতাম বলে ভালোই লাগত! নিয়মিত নামাজ পড়তাম বলে বয়জেষ্ঠ মাওলানাদের সাথে একটা ভালো সম্পর্ক হয়ে গেছিল তারা খুব আদর করত!প্রায় নামাজ শেষে লক্ষ করতাম বাহিরের কিছুর বড় ভাই আর এলাকার বড় ভাইয়েরা মসজিদের এক কোনায় কি মিটিং করত যেমন আসর ওয়াক্ত আসলে মাগরিবের নামাজ পড়েই যেত! ইমামের সাথে তাদের মধুর সখ্য বলে বাহিরের থেকে আসা বড় ভাইদের ওই ওয়াক্ত নিজে চেড়ে তাদের ইমামকি করার সুযোগ দিত! এইভাবে কিছুদিন পর একদিন আমি ও আমাদের বন্ধুদের বলল আস করিম ইসলাম সম্পর্কে কিছু বলা হবে অনেক কিছুই জানতে পারবে বস, তুমাদের কে বলার জন্য বাহির থেকে হুজুর আসছে! আমরাও সবাই মিলে বসলাম এরি মধ্য তারা আগে অনেক মানুষ তাদের অনুসারি করে নিয়েছিল! বসলাম কিছুক্ষন টুকটাক ইসলামের কথা বলল তারপর কিছু কাগজ বের করে দিল ডাইরি থেকে! একটা কথা বলে রাখা ভালো জামাত শিবিরের যারা মাঠ পর্যায়ে কর্মী সংগ্রহ করে তাদের সাথী বলা হয় তাদের থেকে একটা ডাইরি থাকে আরও কিছু কাগজপত্র কতজন মানুষ মিটিংএ আসছিল তারা এইগুলো লিখে নিয়ে যায় উপরে রিপোট করে কারণ তারা একটা কৌশলে সুসজ্জিত সংগঠন! ডাইরি পথে প্রথম দিন যে কাগজ বের করে দিল তা কর্মী ফরম,কৌতুহল বসত জিগ্যাসা করলাম এইটা কি তারা বলল না যাস্ট এইখানে আসছ এইজন্য এইটা ফিলআপ করবে! এইভাবে কয়েক মিটিং পর বলল আমাদের ইসলামি সংগঠনটা আসলে অন্য দলের মত এত ধনী না তাই সংগঠন চালানোর জন্য বাইতুলমাল দিতে হবে! কি দারুন ফন্দি জামাত শিবিরের সারা দেশের জনগন থেকে এইভাবে টাকা তুলে তুলে জামাতের নেতারা আজ একএকটা হাজার হাজার টাকার মালিক! এইভাবে কয়েকমাস গেল এওইদিকে SSC পরিক্ষা দিয়ে রেজাল্টের আগে কয়েকমাস পাঁকা সময় পেলাম এর ভিতরে একদিন শিবিরের বড়ভাই বলল শহরে একটা ইসলামি কন্পারেন্স আছে চট্রগ্রাম জেলা থেকে বেঁচে বেঁচে কয়েক হাজার মানুষ নেওয়া হবে তার মধ্য তুই আর আরও ৩ জন আছে আমাদেরমধ্য যেন ৩ জন ছিল তারমধ্য একজন প্রতিবন্ধী, এইজন্যই আগে বলছিলাম ব্রেইনওয়াশের জন্য সব ধরনের মানুষ এদের খপ্পরে পড়ে! তুদের যেতে হবে আগামিকাল রাতে! তু আমাদের এরিয়ার সব মানুষ জড়ো করল একটা মাদ্রসায় ওইখানে গিয়ে দেখি ৪০ /৫০ জন হবে রাতে আমাদের একটা গাড়িতে তুলে দেওয়া হল ভোর হওয়ার আগেই গিয়ে পৌছলাম তখনো জানিনা কোথায় গেছি কারণ ছোট ছিলাম সাধারনত এলাকার বাহিরে কোথাাও কখনো চেনাজানা হয়নি! ফজরের নামাজের জন্য সবাইকে ডাকল তখন বাহিরে গিয়ে দেখি চট্রগ্রাম কলেজ আছি এখন! চট্রগ্রাম কলেজ হল শিবিরের তৃত্ স্থান! ফজরের নামাজের পর শুরু হল কিছুক্ষন বিরতি পর পর একটা একটা তাদের প্রশিক্ষিত ক্যাডার হুজুর আসে আর ভাষন দিয়ে যায়! এইভাবে ৩দিন ওইখানে থাকতে হল!কয়েক মাস পর SSC রেজাল্ট দিল কলেজে ভর্তি হলাম! ইসলামি দল গুলোকে আমি সবসময় শয়তানের দল বলি কারণ তাদের কাজগুলোত এমনিতেই সব শয়তানে তারমধ্য একবার যদি তাদের জালে আটকা পরেন ছুটা অনেক মুশকিল! কলেজেও তারা পিছু চাড়ল না তারা একদিন আবার বলল একটা মিটিং আছে, অনেক মিনতি করলাম যাবনা কিন্তু শেষ পর্যন্ত যেতেই হল! গিয়ে দেখি সেই মাদ্রসা! মাদ্রাসার একটা অন্ধকার রুমে আমি আরও ১৫ /২০ জনকে ঠুকাল কিন্তু আজ কেউ নেই আমাদের সবাইকে বসিয়ে রাখা হল ঘন্টার পর ঘন্টা চুপচাপ!বড় ভাইয়ের অনুমতি চাড়া ওইখান থেকে আবার বের হওয়া যায়না!আমি একটু চটপটে একজায়গায় শান্তিমত বসে থাকতে পারছিনা! কয়েক ঘন্টা অন্ধকার রুমে বসে থাকার পর অস্থির হয়ে গেছিলাম! কলেজ থেকে ধরে নিয়ে গেছিল তাই সাথে করে সবই খাতাও নিয়ে গেছিলাম!এইদিকে অন্ধকার রুমে বসে থাকতে থাকতে পাগল হয়ে যাওয়ার অবস্থা কোনমতে বাহানা দিয়ে রুমে থেকে অনেক কষ্টে বের হলাম তাও বইখাতা সাথে আনতে দেয়নি, ওইদিন যে বের হলাম বইখাতা রেখে আর কখনো তাদের আসেপাশের ঘেষতাম না! এখন বুঝছি ওই অন্ধকার রুমে সারাদিন বসিয়ে রাখার মানে কি ছিল তারা এই ধাপে আমাদের মনের যে অস্থিরতা তা কাবু করতে চাইছিল! সত্যকথা তখনো বুঝিনা রাজনীতির মারপ্যাঁচ কি ছিল শুধুমাত্র ধর্মের প্রতি টান ছিল বলে নামাজ পড়তে যেতাম এইভাবেই ধাপেধাপে বিভিন্ন স্টেপএ তারা একটা মানুষকে ব্রেইনওয়াশ বা আপনার স্বাভাবিক চিন্তা কে ফর্মেট করে তাদের চিন্তাকে আপনার মগজে ইনেস্টল করে দিবে ধাপে ধাপে! একটা কথা সত্য অনেক জঙ্গী জানেইনা তারা কি করছে বা কোন দলের হয়ে কাজ করে তারা তখন রোবট হয়ে যায় উপরে যা নির্দেশ দেয় তখন জঙ্গীরা তাই পালন করে

সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৩:৪২
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস-পরীক্ষার হলে দেরিঃ পক্ষ বনাম বিপক্ষ

লিখেছেন BM Khalid Hasan, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



বর্তমানের হট টপিক হলো, “১ মিনিট দেরি করে বিসিএস পরীক্ষার হলে ঢুকতে না পেরে পরীক্ষার্থীর স্বপ্ন ভঙ্গ।” প্রচন্ড কান্নারত অবস্থায় তাদের ছবি ও ভিডিও দেখা যাচ্ছে। কারণ সারাজীবন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৮




আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না। আমাদের দেশে মানুষ জন্ম নেয়ার সাথেই একটি গাছ লাগানো উচিৎ । আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানবতার কাজে বিশ্বাসে বড় ধাক্কা মিল্টন সমাদ্দার

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৭


মানুষ মানুষের জন্যে, যুগে যুগে মানুষ মাজুর হয়েছে, মানুষই পাশে দাঁড়িয়েছে। অনেকে কাজের ব্যস্ততায় এবং নিজের সময়ের সীমাবদ্ধতায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না। তখন তারা সাহায্যের হাত বাড়ান আর্থিক ভাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস দিতে না পেরে রাস্তায় গড়াগড়ি যুবকের

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

আমাদের দেশে সরকারি চাকরি কে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। আমি যদি কোটি টাকার মালিক হলেও সুন্দরী মেয়ের বাপ আমাকে জামাই হিসেবে মেনে নিবে না। কিন্তু সেই বাপ আবার ২০... ...বাকিটুকু পড়ুন

×