কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী আবির রহমানের (২৩) মরদেহ নিতে রাজি হয়নি তাঁর পরিবার। এ জন্য ঘটনার চার দিন পর তাঁর মরদেহ আজ সোমবার সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জেই দাফন করা হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোশারফ হোসেন বলেন, আবিরের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা আবিরের মরদেহ নিতে রাজি হননি। আবিরের বাবা সিরাজুল ইসলামের বরাত দিয়ে ওসি বলেন, ‘যে ছেলে জঙ্গি হয়েছে সে ছেলের মরদেহ আমরা নেব না। জঙ্গি ছেলের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই।ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী মায়ের পা নিছে সন্তানের বেহেস্ত । যেখানে জন্মদাতা মা বাবা পরিবার নারাজ পৃথীবিতে তাদের মাথা ছোট করার জন্য এতো বড একটা জঘন্য কাজ সে করছে কিভাবে আল্লা তাদের জান্নাতের নিরিবিলি সুখের স্থান দান করবে ? বাংলাদেশ কখনো জঙ্গিদের অভঅরন্য হতে পারেনা তার প্রমান এদের জানাজা
এই পিশাচগুলোই ঠান্ডা মাথায় জবাই করেছে ২০ মানুষকে, রক্ত মাংসের মানুষকে। মৃত্যুর আগে নিরপরাধ মানুষগুলো হয়তো বাঁচার আকুতি জানিয়েছিলেন, তাদের পরিবারের কাছে ফিরে যাওয়ার জন্য প্রাণ ভিক্ষা চেয়েছিলেন!
না, মন গলেনি এই পিশাচগুলোর। নিষ্পাপ বিশজন মানুষের গলায় ধারালো ছুরি চালাতে একটু হাতও কাঁপেনি এই হায়েনাদের। মানুষের টকটকে লাল রক্ত গায়ে মেখে জান্তব উল্লাস করেছে এই পিশাচরা একটাই আশা অন্নতকাল সুখের লোভ । এদের লাশ ও এখনো পড়ে আছে মর্গে ।
এরা সবাই কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ।বয়সের একটা সময় আসে ছোট বেলার মত শাসন ছেলে মেয়েরা আর পছন্দ করেনা নিজের মত করে চলতে বাঁচতে শিখে । তাই একক ভাবে তাদের পরিবারের উপর দোষ ক্ষৃনা না চাপিয়ে আমাদের সবার সামাজিক ভাবে ঐক্যবদ্ধ্ সচেতনতা জরুরী
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১:২৮