সংবিধানে বিসমিল্লাহ ও রাষ্ট্রধর্ম বহাল রাখার সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করে গতকাল এক সমাবেশে বক্তারা বলেছেন, বর্তমান সরকার মনে করছে বিসমিল্লাহ এবং ইসলাম বাদ দিলে ক্ষমতায় ফিরে আসতে পারবে না। বরং তারা এ দু’টি বিষয় রেখে স্বাধীনতার শত্রুদের ক্ষমতায় আনতে চাচ্ছে। যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতেই সংবিধানে বিসমিল্লাহ এবং রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম রাখা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তারা।
এদিকে অনুষ্ঠানে বিসমিল্লাহ ও রাষ্ট্রধর্ম নিয়ে দেয়া বক্তব্যের জবাবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিশেষ কমিটির কো-চেয়ারম্যান সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত কিছুটা ক্ষুব্ধকণ্ঠে বলেন, সংবিধানে বিসমিল্লাহ ও রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম এ দু’টির একটিও শেখ হাসিনা আনেননি। তারপরও সমস্ত দায় যেন তার পড়েছে।
তিনি বক্তাদের উদ্দেশ করে বলেন, শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের দাবির বিপরীতে দাঁড়াবেন এ কথা বিশ্বাস করি না। দাবির প্রতি অটল থেকে রাস্তায় নামুন। তাহলেই দাবি বাস্তবায়ন হয়ে যাবে। কোনো দলের পেছনে থেকে আন্দোলন বা দাবি আদায় করা যায় না। রাস্তায় নামতে হয়, আন্দোলন করতে হয়।
গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্যপরিষদ ও বাংলাদেশ
আদিবাসী ফোরামের উদ্যোগে ‘গোঁজামিলের সংবিধান নয়, ৭২’র সংবিধান চাই’ শীর্ষক এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্যপরিষদের সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) সিআর দত্ত। সুরঞ্জিত সেন ছাড়াও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, জাসদের কার্যকরী সদস্য মঈন উদ্দীন খান বাদল, গণফোরামের পঙ্কজ ভট্টাচার্য্য, জনসংহতি সমিতির জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা), আইনজীবী ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম, ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, সাবেক রাষ্ট্রদূত শিরিল সিকদার প্রমুখ।
সমাবেশে সংবিধানের সংশোধন প্রসঙ্গে সুরঞ্জিত সেন বলেন, আমরা সবেমাত্র একটা খসড়া দাঁড় করাচ্ছি। যেখানে প্রতিটি সদস্য তাদের মতামত দিচ্ছেন। আমরা চেষ্টা করছি মতপার্থক্যগুলো কমিয়ে আনতে।
আদিবাসীদের সঙ্গে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় আদিবাসীরা যে অবদান রেখেছিল সংশোধিত সংবিধানে তার স্বীকৃতি দেয়া হবে। এ বিষয়ে আমরা সব সদস্য একমত হয়েছি।
রাশেদ খান মেনন বলেছেন, সংবিধান সংশোধনের একটি সুযোগ এসেছে। এটাকে কাজে লাগাতে না পারলে তা হবে আমাদের জন্য আত্মহত্যার শামিল। এখন রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম মানা হলে আগামীতে শরিয়াহ আইনের দাবি তোলা হবে। তিনি বলেন, কোনো ধরনের আপস না করে ’৭২-এর সংবিধান বাস্তবায়ন করতে হবে। বিসমিল্লাহ এবং ইসলাম রাখলে জিয়ার স্বৈরশাসনকে সমর্থন করা হবে।
ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, আজকের সরকার মনে করছে বিসমিল্লাহ এবং ইসলাম বাদ দিলে ক্ষমতায় ফিরে আসতে পারবে না।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




