somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

শিশির খান ১৪
সময় পাইলে ব্লগ লেখাটা এখন নেশায় পরিণত হয়েছে। ব্যাস্ততার ফাকে যারা আমার ব্লগ দেখেন তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আপনাদের অনুপ্রেরণা থাকলে নিশ্চই সামনের দিন গুলোতে লেখা চালিয়ে যাবো।

কিরণমালা জামা’ কিনে না দেয়ায় আত্মহত্যা

৩০ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আসলেই অমরা হতাশ নিরুপায় আর অসহায়।ঈদের আনন্দের চে দুঃখের পাল্লা টাই ভারি হয়ে উঠে যখন দেখি প্রতি ঈদ আসলে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়। আমার স্পষ্ট মনে আছে গতো বারের ঈদ এর সময়েও স্টার জলশার মেগা সিরিয়াল থেকে উদ্ভব ওই সময়ের হালের ফ্যাশন বাজারের প্রচলিত পাখি জামা কিনে না দেয়ায় অনেক মের আত্মহত্যা দেখতে হয়েছিলো। আবারো কি সেই একই ঘটনার পুরাবৃত্তি হচ্ছে এই বারের ঈদেও।রোববার রাতে কালকিনি জেলাতে ভারতীয় টিভি চ্যানেল স্টার জলশার জনপ্রিয় মেগা সিরিয়াল ‘কিরণমালা’ নামে বাজারে ‍প্রচলিত জামা কিনার জন্য পরিবারের কাছে টাকা চেয়ে না পেয়ে অভিমান করে এক যুবতী নিজ ঘরের বৈদ্যুৎতিক পাখার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।পরিবার গুলো হয়তো আর্থিক ভাবে সচ্ছল নয় ভারতের মেগা সিরিয়ালের হালের ফ্যাশন এর সাথে তাল মিলিয়ে কাপড় কিনা হয়তো তাদের সাধ্যে নাই কিন্তু তারপর ও গ্রামের সাধারণ মে গুলো তাদের পরিবারের সীমাবদ্ধতা জানা সত্বেও মরিয়া হয়ে উঠছে কেনো ?কি রহস্য এর পিছনে যে সামান্য কাপড়ের জন্য তারা নিজের যান পর্যন্ত কোরবানী করছে ? উত্তরটা খুব সহজ কারণ এই মেগা সিরিয়াল গুলো এমন ভাবে তৈরী যে কয়েকটা পর্ব দেখার পর দর্শকরাও নিজেদের ওই পরিবারের অংশ মনে কোরতে শুরু করে।তারা কাল্পনিক ভাবে কোনো একটি পছন্দের চরিত্রের সাথে এতোটা একাত্ম হয়ে পরে যে তারা ওই কাল্পনিক চরিত্রের মত করে ভাবতে চায় ,তার মত কথা বলতে চায় ,তার মতো কাপড় পড়তে চায়। ধীরে ধীরে তারা মানসিক ভাবে এতটাই দুর্বল হয়ে পরে যে একটা সময় এই মেগা সিরিয়ালের চরিত্র গুলো তার নিজের ঘরের মানুষ থেকে বেশি আপন হয়ে উঠে। তখনি ঘটে বিপত্তি। পছন্দের মেগা সিরিয়ালের জামা না পেলে মাথা খারাপ হওয়া যায়। আমি তো প্রায় সময় শুনি ভারতীয় মেগা সিরিয়াল দেখার কারণে অনেক পরিবারে অশান্তি হচ্ছে। আবার এই ভারতীয় মেগা সিরিয়াল গুলো কিন্তু মানসিক ভাবে আসক্ত করে দর্শকদের ঠিক ইয়াবা বা নেশা জাতীয় মাদকদ্রব্যের মতো। এমন ঘটনাও শুনেছি যে পছন্দের ভারতীয় মেগা সিরিয়াল না দেখতে দেবার ফলে ডিভোর্স পর্যন্ত হয়েছে। দুঃখ এই যে আমরা ওদের সংস্কৃতির ভালো কিছু না গ্রহণ করে সব খারাপ দিক বা বর্জ গুলো আমাদের সমাজে ও আমাদের পরিবারে ঢুকাচ্ছি। ওরা কিন্তু ঠিকই শতভাগ নিজের দেশ প্রেম বুঝে। আমাদের বাংলাদেশের একটা চ্যানেলও ওপার বাংলায় দেখা যায় না। জীবনেও শুনবেন না যে কোনো ভারতীয় মে বাংলাদেশের নাটকের কাপড় না পেয়ে আত্মহত্যা করেছে।আমি সত্তি জানি না , কেনো এই চ্যানেলগুলো বন্ধ হয় না ? আর কতো পরিবারে অশান্তি দেখতে হবে ? আর কতো মানুষের কান্নার জল লাগবে ?আর কতো আত্মহত্যা দেখতে হবে আমাদের ?

এই রকম পরিস্তিতি থেকে যেভাবেই হোক আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। আমি কিন্তু আশাবাদী আর একটা আত্মহত্যার ঘটনাও শুনতে চাই না ,দেখতে চাই না সবাই একত্রে চাইলে এই পরস্তিতি মোকাবেলা করা করা খুব সহজ আপনার একটা ফেইসবুক স্টেটাস ই যথেষ্ঠ যদি আমরা সবাই স্টেটাস দেই "এই বার ঈদে পরবো দেশীয় বুটিক হাউসের কাপড় আর নয় ভারতীয় মেগা সিরিয়ালের ফ্যাশন" আপনার সামান্য স্টেটাস হয়তো বদলে দিতে পারে সব কিছু ,হয়তো এখান থেকেই নিরব বিপ্লবের সূচনা হবে হালের ভারতীয় ফ্যাশন এর কাপড় আর কেউ পরলেও পাবে লজ্জা আর দেশী প্রতিষ্ঠান গুলোর পাশাপাশি সমাজের সকল স্তরের মানুষ আর্থিক ভাবেও হবে লাভবান। দেশের সংস্কৃতি আবার গর্বের সাথে মাথা উচু করে দাড়াবে। পৃথিবীর নামী দামী ব্র্যান্ড গুলোতো বাংলাদেশ থেকেই কাপড় তৈরী করে মান ও দামের দিক থেকে বিবেচনা করলে বাংলাদেশের কাপড় ভারতের কোনো মেগা সিরিয়ালের কাপড় থেকে কম যায় না সারা পৃথিবীর মানুষ আমাদের কাপড় পরছে আমরা কেনো লজ্জা পাবো। বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম এর মতো নিশ্চই আমরাও জয়ী হোবোআসলেই অমরা হতাশ নিরুপায় আর অসহায়।ঈদের আনন্দের চে দুঃখের পাল্লা টাই ভারি হয়ে উঠে যখন দেখি প্রতি ঈদ আসলে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়। আমার স্পষ্ট মনে আছে গতো বারের ঈদ এর সময়েও স্টার জলশার মেগা সিরিয়াল থেকে উদ্ভব ওই সময়ের হালের ফ্যাশন বাজারের প্রচলিত পাখি জামা কিনে না দেয়ায় অনেক মের আত্মহত্যা দেখতে হয়েছিলো। আবারো কি সেই একই ঘটনার পুরাবৃত্তি হচ্ছে এই বারের ঈদেও।রোববার রাতে কালকিনি জেলাতে ভারতীয় টিভি চ্যানেল স্টার জলশার জনপ্রিয় মেগা সিরিয়াল ‘কিরণমালা’ নামে বাজারে ‍প্রচলিত জামা কিনার জন্য পরিবারের কাছে টাকা চেয়ে না পেয়ে অভিমান করে এক যুবতী নিজ ঘরের বৈদ্যুৎতিক পাখার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।পরিবার গুলো হয়তো আর্থিক ভাবে সচ্ছল নয় ভারতের মেগা সিরিয়ালের হালের ফ্যাশন এর সাথে তাল মিলিয়ে কাপড় কিনা হয়তো তাদের সাধ্যে নাই কিন্তু তারপর ও গ্রামের সাধারণ মে গুলো তাদের পরিবারের সীমাবদ্ধতা জানা সত্বেও মরিয়া হয়ে উঠছে কেনো ?কি রহস্য এর পিছনে যে সামান্য কাপড়ের জন্য তারা নিজের যান পর্যন্ত কোরবানী করছে ? উত্তরটা খুব সহজ কারণ এই মেগা সিরিয়াল গুলো এমন ভাবে তৈরী যে কয়েকটা পর্ব দেখার পর দর্শকরাও নিজেদের ওই পরিবারের অংশ মনে কোরতে শুরু করে।তারা কাল্পনিক ভাবে কোনো একটি পছন্দের চরিত্রের সাথে এতোটা একাত্ম হয়ে পরে যে তারা ওই কাল্পনিক চরিত্রের মত করে ভাবতে চায় ,তার মত কথা বলতে চায় ,তার মতো কাপড় পড়তে চায়। ধীরে ধীরে তারা মানসিক ভাবে এতটাই দুর্বল হয়ে পরে যে একটা সময় এই মেগা সিরিয়ালের চরিত্র গুলো তার নিজের ঘরের মানুষ থেকে বেশি আপন হয়ে উঠে। তখনি ঘটে বিপত্তি। পছন্দের মেগা সিরিয়ালের জামা না পেলে মাথা খারাপ হওয়া যায়। আমি তো প্রায় সময় শুনি ভারতীয় মেগা সিরিয়াল দেখার কারণে অনেক পরিবারে অশান্তি হচ্ছে। আবার এই ভারতীয় মেগা সিরিয়াল গুলো কিন্তু মানসিক ভাবে আসক্ত করে দর্শকদের ঠিক ইয়াবা বা নেশা জাতীয় মাদকদ্রব্যের মতো। এমন ঘটনাও শুনেছি যে পছন্দের ভারতীয় মেগা সিরিয়াল না দেখতে দেবার ফলে ডিভোর্স পর্যন্ত হয়েছে। দুঃখ এই যে আমরা ওদের সংস্কৃতির ভালো কিছু না গ্রহণ করে সব খারাপ দিক বা বর্জ গুলো আমাদের সমাজে ও আমাদের পরিবারে ঢুকাচ্ছি। ওরা কিন্তু ঠিকই শতভাগ নিজের দেশ প্রেম বুঝে। আমাদের বাংলাদেশের একটা চ্যানেলও ওপার বাংলায় দেখা যায় না। জীবনেও শুনবেন না যে কোনো ভারতীয় মে বাংলাদেশের নাটকের কাপড় না পেয়ে আত্মহত্যা করেছে।আমি সত্তি জানি না , কেনো এই চ্যানেলগুলো বন্ধ হয় না ? আর কতো পরিবারে অশান্তি দেখতে হবে ? আর কতো মানুষের কান্নার জল লাগবে ?আর কতো আত্মহত্যা দেখতে হবে আমাদের ?

এই রকম পরিস্তিতি থেকে যেভাবেই হোক আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। আমি কিন্তু আশাবাদী আর একটা আত্মহত্যার ঘটনাও শুনতে চাই না ,দেখতে চাই না সবাই একত্রে চাইলে এই পরস্তিতি মোকাবেলা করা করা খুব সহজ আপনার একটা ফেইসবুক স্টেটাস ই যথেষ্ঠ যদি আমরা সবাই স্টেটাস দেই "এই বার ঈদে পরবো দেশীয় বুটিক হাউসের কাপড় আর নয় ভারতীয় মেগা সিরিয়ালের ফ্যাশন" আপনার সামান্য স্টেটাস হয়তো বদলে দিতে পারে সব কিছু ,হয়তো এখান থেকেই নিরব বিপ্লবের সূচনা হবে হালের ভারতীয় ফ্যাশন এর কাপড় আর কেউ পরলেও পাবে লজ্জা আর দেশী প্রতিষ্ঠান গুলোর পাশাপাশি সমাজের সকল স্তরের মানুষ আর্থিক ভাবেও হবে লাভবান। দেশের সংস্কৃতি আবার গর্বের সাথে মাথা উচু করে দাড়াবে। পৃথিবীর নামী দামী ব্র্যান্ড গুলোতো বাংলাদেশ থেকেই কাপড় তৈরী করে মান ও দামের দিক থেকে বিবেচনা করলে বাংলাদেশের কাপড় ভারতের কোনো মেগা সিরিয়ালের কাপড় থেকে কম যায় না সারা পৃথিবীর মানুষ আমাদের কাপড় পরছে আমরা কেনো লজ্জা পাবো। বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম এর মতো নিশ্চই আমরাও জয়ী হোবো
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:২২
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

#প্রিয়তম কী লিখি তোমায়

লিখেছেন নীল মনি, ২১ শে মে, ২০২৪ সকাল ৭:৫১


আমাদের শহর ছিল।
সে শহর ঘিরে গড়ে উঠেছিল অলৌকিক সংসার।
তুমি রোজ তাঁকে যে গল্প শোনাতে সেখানে ভিড় জমাতো বেলা বোস, বনলতা কিংবা রোদ্দুর নামের সেই মেয়েটি!
সে কেবল অভিমানে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভুল শুধু ভুল নয়

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ২১ শে মে, ২০২৪ সকাল ৮:১৬

এক
লেখাটা একটি কৌতুক দিয়ে শুরু করি। ১৯৯৫ সালের ৩০ নভেম্বর থেকে শফিপুর আনসার একাডেমিতে বিদ্রোহ হয়। ৪ ডিসেম্বর পুলিশ একাডেমিতে অভিযান চালায়। এতে চারজন আনসার সদস্য নিহত হয়েছিল। এটি ছিল... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। VF 3 Mini: মাত্র 60 মিনিটে 27 হাজার বুকিং!

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২১ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১২:০৪



আমার ব্যাক্তিগত গাড়ি নেই কিন্তু কর্মসূত্রে বেঞ্জ , ক্যাডিলাক ইত্যাদি ব্যাবহার করার সুযোগ পেয়েছি । তাতেই আমার সুখ । আজ এই গাড়িটির ছবি দেখেই ভাল লাগলো তাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ময়লাপোতার কমলালেবুর কেচ্ছা!! (রম্য)

লিখেছেন শেরজা তপন, ২১ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৫:১৩


বাংলাদেশের বিশেষ এক বিভাগীয় শহরে ময়লাপোতা, গোবরচাকা, লবনচোরা, মাথাভাঙ্গা, সোনাডাঙ্গার মত চমৎকার সব নামের এলাকায় দারুণ সব সম্ভ্রান্ত পরিবারের বাস।
আমার এক বন্ধুর আদিনিবাস এমনই এক সম্ভ্রান্ত এলাকায় যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাময়িক পোস্ট: বন্ধ হয়ে গেল সচলায়তন

লিখেছেন করুণাধারা, ২১ শে মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৭


বন্ধ হয়ে গেল সচলায়তন! view this link

সামহোয়্যারইনব্লগ থেকে কয়েকজন ব্লগার আলাদা হয়ে শুরু করেছিলেন সচলায়তন বা সংক্ষেপে সচল ব্লগ। এটি বন্ধ হবার মূল কারণ উল্লেখ করা হয়েছে দুটি:

১)... ...বাকিটুকু পড়ুন

×