অর্থনৈতিক কাঠামোতে, কাজ না করেও অর্থ লাভ করার পদ্ধতি( স্বত্বভোগী), সমাজে বৈষম্য তৈরির অন্যতম প্রধান কারণ। শ্রমবিহীন বা এককালীন শ্রম দিয়ে প্রতিনিয়ত অর্থ লাভ প্রাকৃতিক অর্থনৈতিক ভারসাম্য নষ্ট করে। সমাজে তিন ধরনের স্বত্বভোগী দেখা যায়। ক) প্রাকৃতিক সম্পদ স্বত্ব। যেমন: ভূমি/ স্বর্ণ/ মূল্যবান ধাতু/ প্রাকৃতিক সম্পদ। খ) ব্যক্তি নির্মিত দলিল স্বত্ব। যেমন: কোম্পানীর শেয়ার/ প্রাইজবন্ড/ অর্থের উপর সুদ ইত্যাদি এবং গ) জ্ঞান স্বত্ব। যেমন: গবেষণার স্বত্ব/ লেখক স্বত্ব/ জ্ঞান পেটেন্ট।
এইসব স্বত্ব, আমাদের জীবন কালে সামাজিক-রাজনৈতিক এবং মানসিক বৈষম্যমূলক সমস্যা সৃষ্টি করে। ৭০/৮০/৯০ বছর পর এই সকল স্বত্ব পৃথিবীর অংশ হিসাবে থেকে যায় কিন্তু ব্যক্তি তার জীবনদশায়, সৃষ্টিকে নিমার্ণ রূপে প্রতিষ্ঠিত করে এবং ব্যক্তি নিজেও বন্তুতে রূপান্তিত হয়। ভয়ংকর বিষয়, সমগ্র মানবজাতিকে ব্যক্তি তার বন্তু ধারনার বিপরীতে দেখতে শুরু করে। বন্তুর দৃষ্টি পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ংকর প্রাণীর চেয়ে নির্মম এবং অনুভূতিহীন। তাই পৃথিবীকে স্বত্ব আইন বা ধারণা নিয়ে নতুন করে চিন্তা করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।.... ’’
আমরা এই পৃথিবীর সকল মানুষের জন্য জ্ঞান উন্মুক্ত স্বত্ত্ববিরোধী পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করবো। পিডিএফ পাঠাগার বা কপি বই পাঠাগার। শিক্ষার্থী এবং গবেষকদের জন্য যা হবে উন্মুক্ত। ভবিষ্যতের প্রজন্মের কাছে বিশ্বের বিভিন্ন শিক্ষা ব্যবস্থা এবং বই পৌছে দিতে আমাদের পাঠাগার কাজ করবে।
স্বত্ত্ববিরোধী পাঠাগার আন্দোলন এ আপনার সংগ্রহের মূল বই/পিডিএফ/ফটোকপি দিয়ে অথবা সক্রিয় আন্দোলনে কাজ করার আমন্ত্রণ করছি।
গবেষকরা সহযোগিতামূলক অর্থযোগ করে আমাদের পাঠাগার থেকে কপি বই সংগ্রহ করতে পারবেন।
ইনবক্স এ যোগাযোগ করতে পারেন অথবা ০১৬২৪৪৮১৬০০ নাম্বারে।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৩৯