প্রথমেই একটা জোকস.......
কোরবানী ঈদের আগে মসজিদে একহুজুর কোরবানীর ফজিলত বর্ণনা করে ওয়াজ করছেন। তিনি সুরে সুরে কোরবানীর অনেক অনেক সওয়াব বর্ণনা করলেন। কদিন পরে একজন এসে সেই হুজুরকে বলছেন, হুজুর আপনার ওয়াজ শুনে আমার বেশ উপকার হয়েছে। হুজুর বল্লেন কি উপকার? লোকটি বল্ল আপনিতো বলেছেন কুরবানীর অনেক সওয়াব। হুজুর বল্লেন, হ্যা তাতো ঠিকই। লোকটি বল্ল আপনি আরো বলেছেন চুরি করলে পাপ হয়। হুজুর বল্লেন সেটাও ঠিক। লোকটি বল্ল, হুজুর আমি একটা গরু চুরি করে কুরবানী করেছি। হুজুর বল্লেন, কি সর্বনাশ.....তুমিতো মহা পাপ করেছে। লোকটি বল্ল তাতে কোন সমস্যা নেই, গরু চুরি করে পাপ হয়েছে আর গরু কুরবানী করে হয়েছে সওয়াব। এখন পাপ আর সওয়াবে কাটাকাটি হয়েছে, আর মাঝে আমি গরুর গোশত গুলো পেয়েছি ফ্রি.............
এবার আসল কথা.......
ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। কদিন আগে ইউনিপেইউটুর চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে এই প্রতিষ্ঠানের সকল কার্যক্রম অবৈধ ঘোষনা করা হয়। এরও আগে যুবক সহ আরো অনেক অনেক প্রতিষ্ঠান জনগনকে বাঁশ দিয়ে পরে আবার নিজেরাও বাঁশ খেয়েছে।
জোকসের সাথে আসল কথার সম্পর্ক...........
এইসব হায় হায় কোম্পানীগুলো প্রথমে যখন আসে তখন কি আমাদের কর্তা ব্যক্তিরা তাদের সম্পর্কে না জেনেই তাদের অনুমতি দেন???????
ব্যাপার হলো তারা আমাদের এইসব কর্তা ব্যক্তিদের তৈল মর্দন করে (শুধু অদৃশ্য তৈল নয় দৃশ্যমান তৈল) জনগনের বারোটা বাজান, আর কর্ত ব্যক্তিরা কিছুই দেখেননা। তার পর কোন কারনে তৈলে শর্ট পড়লে তারা ক্ষেপে যান।
এভাবে কদিন পর পর নতুন নতুন হায় হায় কোম্পানি আসবে, মন্ত্রী এমপিদের খুশি করে জনগনের বারোটা বাজাবে অত:পর জনগন ক্ষপে গেলে কিংবা কোন কোন মন্ত্রী এমপির চাহিদা পুরণ করতে না পারলে তাদেরকে থামেয়ে দেয়া হবে। মাঝে জোকসের ঐ লোকটার মত লাভবান হবে আমাদের মন্ত্রী এমপিরা.......তাতে তাদের কোন পাপও হবেনা পুর্ণ্যও হবেনা কিন্তু পকেট ফুলে ফেপে উঠবে। আর জনগন গরু মালিকের মত হায় হায় করবে।